চার্লস ব্যাবেজকে যদি কম্পিউটারের জনক বলা হয় তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের আধুনিক ব্যাংকিং এর জনক বলা যেতে পারে। একটু গভীর দৃষ্টি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলোর দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই আমাদের দেশের আধুনিক ব্যাংকিং এর স্বপ্নদ্রষ্টা। আমাদের বর্তমান ব্যাংগুলোতে প্রচলিত প্রডাক্টগুলোর ধারণা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একশ বছর আগেই তার কবিতার পরতে পরতে দিয়ে গিয়েছেন। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডিপিএস, এফডিয়ার, সেভিং স্কীম এগুলোর ধারণাও আকারে ইঙ্গিতে নানা ভাবে দিয়েছেন।
যেমনঃ .........ঝুলি হাতে দিলেম তুলে একটি ছোটো কণা,
যবে পাত্রখানি ঘরে এনে উজাড় করি-একি,
ভিক্ষা-মাঝে একটি ছোট সোনার কণা দেখি!
দিলেম যা রাজ-ভিখারির স্বর্ণ হয়ে এল ফিরে......
এখানে রবীন্দ্রনাথ এমন বিনিয়োগের কথাই বলেছেন সামান্য বিনিয়োগও একটা সময় পর স্বর্ণের মত দামী হয়ে হয়ে ফেরত আসে। যেমন, বর্তমানের ডাবল বেনিফিট স্কীম (ডিবিএস) বা ত্রিপল বেনিফিট স্কীম, যেখানে একটা সমইয় পর বিনিয়োগ ডাবল বা তিনগুন হয়ে ফেরত আসে। এধরণের স্কীম তিনি খুলতে পারেন নি বলে আফসোস করে লিখেছেন -
তখন কাদি চোখের জলে দুটি নয়ন ভ'রে,
তোমায় কেন দিই নি আমার সকল শূন্য করে?
মান্থলি সেভিং স্কীম বা (এম এস এস বা ডিপিস)এর ধারণা রবীন্দ্রনাথই সবার আগে দিয়েছেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় কিভাবে বিশাল সঞ্চয়ে পরিনত হতে পারে তা তিনি কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন এই ভাবে
'ছোট ছোট বালুকণা/বিন্দু বিন্দু জল/গড়ে তোলে মহাদেশ/সাগর অতল।
ব্যাংক লোন পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কিভাবে কৃষকরা সর্বশান্ত হচ্ছে তার ছবিও কবিগুরু দেখিয়েছেন -
...আর আছে?— আর নাই, দিয়েছি ভরে।
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে—...
... শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি—
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
যাইহোক আজকের দিনের আধুনিক ব্যাংকিং এর সব চিত্রই রবীন্দ্রনাথ তার কবিতায় শত বছর আগেই তুলে ধরেছেন... একটু সুক্ষ ভাবে চিন্তা করে পড়লে পরিস্কারই তা বোঝা যাই...
গবেষনা চলবে...
(কেঊ চাইলে গবেষনায় আরো তথ্য এড কর্তে পারেন)