আবুল বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
সে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ
করতে চায়। ক্রমেই সে শিক্ষকদের
প্রিয় হতে শুরু করলো। আর তার
প্রিয় ছিল বিজ্ঞানী নিউটন। হ্যাঁ
সেই আপেলওয়ালা নিউটন।
আবুল প্রথমেই নিউটনের মতো
চুল রাখলো। আর নিউটন সম্পর্কে
বিভিন্ন অজানা তথ্য সংগ্রহে
মনোনিবেশ করলো। তার প্রায়
সকল বন্ধুরাই তার এই বিজ্ঞান
প্রীতির কথা জানতো। তার বন্ধুরা
সব সময়ই তাকে বিভিন্ন ভাবে
সহযোগীতা করতো। এক সময়
আবুলের মনে হলো,
তথ্য সংগ্রহ অনেক হয়েছে এবার
কিছু ভালো অবিজ্ঞতা দরকার।
বন্ধু এবং শিক্ষকদের সাথেও এই
নিয়ে তার অনেক কথা হয়েছে।
সবাই জানে নিউটনের সেই
আপেলওয়ালা কাহিনীটি,
একদা নিউটন এক আপেল গাছের
নিছে বসে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিশেষ
চিন্তায় মগ্ন ছিলেন। কিন্তু মাথায়
কিছুই আসছিলোনা। এমন সময়
গাছ থেকে একটি আপেল নিউটনের
মাথায় পড়লো এবং নিউটনের
জ্ঞানের বাতি জ্বলে ওঠলো। সেই
থেকেই নিউটনের খ্যাতি সর্বত্র
ছড়িয়ে পড়লো ।।।
আবুলও চায় বিশ্ব বিখ্যাত হতে।
নিউটনের সেই আপেলওয়ালা
অভিজ্ঞতাটি সেও নিতে চায়।
কিন্তু মুশকিল হলো তাদের গ্রামে
কোনো আপেল গাছ নাই।
শেষমেষ সিন্ধান্ত নিল বল্টুদের
পুকুরপাড়ের বড় তাল গাছটির
নিছে বসেই অবিজ্ঞতা সম্পর্ন
করবে। যেই ভাবা সেই কাজ।
তালতলায় বসে বসে মাথায়
তাল পড়ার অবিজ্ঞতার নিতে
প্রস্তুত আবুল। বসে থাকার ঘন্টা
খানিকের মধ্যেই দু-তিনটি তাল
পড়লো ঠিকই কিন্তু আশেপাশে।
অবশেষে দীর্ঘ তিন ঘন্টার
অপেক্ষার পর আসলো সেই
শুভক্ষণ। তাল পড়লো আবুলের
মাথায়। কিন্তু তাল পড়ার পর
আবুলের কি হয়েছে?
নিউটনের মতো তারও কি
জ্ঞানের বাতি জ্বলে উঠছে?
আরে নাহ,,,,,,,
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর আবুলকে
খুঁজতে তালতলায় ছুটে গেল
বন্ধুরা। কিন্তু একি হায়,
আবুল তো অজ্ঞান। অবশেষে
সকলে আবুলকে ধরাধরি
করেই বাড়ি নিয়ে আসলো।
খবর পেয়ে শিক্ষকরাও ছুটে
এলেন, আবুলের জ্ঞান ফিরলো।
কিন্তু বেচারা চুপ করে শুয়ে আছে।
এই দিকেতো সকলেই আবুলের
অবিজ্ঞতার কথা জানতে অধির
আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
কিন্তু নাহ,
এরপর থেকে আবুল আর কিছুই
বলতে পারেনি, পারেনি বলতে
সেই অবিজ্ঞতার কথা।
তাল পড়ার আঘাতে মস্তিস্কে
রক্তক্ষরণের কারণে স্নৃতিশক্তি
এবং কথা বলার শক্তি হারিয়ে
ফেলেছে আবুল।
।
আসলে আমরা যে রকম ভাবি,
সব সময় সে রকমম হয়না।
.
"""নিউটনের মাথায় আপেল না
পড়িয়া, যদি পড়িত তাল,
তবে বেটা বুঝিত, কত ধানে
কত চাল"""
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২