this series of columns is a tribute to the souls we lost for being free minded !
আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন, লেখালিখির জগৎ জুড়ে পরিচিত ছিলেন "থাবা বাবা" হিসেবে।
বাংলাদেশের একজন স্বাধীনচেতা ব্লগার ছিলেন আহমেদ রাজীব হায়দার। পেশায় স্থপতি হায়দারের ব্লগের লেখাগুলি ২০১৩ শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানপন্থীদের দ্বারা সংগঠিত গণহত্যার বিচারের দাবী জানায়। মৌলবাদী ইসলামী দলগুলি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নামক একটি নতুন দল গঠন করে এই প্রতিবাদের বিরুদ্ধতা করেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের কট্টরপন্থী সমর্থকরা হায়দারকে হত্যা করেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার মীরপুর অঞ্চলে তাঁর বাসস্থান থেকে বের হওয়ার সময় আহমেদ রাজীব হায়দারকে আক্রমণ করে হত্যা করা হয়। তাঁর দেহ এতটাই ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়, যে তাঁর পরিবার ও আত্মীয়রা তাঁর দেহ শনাক্ত করতে অক্ষম হন। পরের দিন তাঁর মরদেহ শাহবাগ স্কোয়ারে লক্ষাধিক মানুষের প্রতিবাদস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলাশনগরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন।
২রা মার্চ বাংলাদেশ গোয়েন্দা ব্যুরো আনসারুল্লা বাঙালি নামক একটি সদ্যপ্রতিষ্ঠিত কট্টরপন্থী সংগঠনের পাঁচজন সদস্যকে হত্যা করে। এই সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের ইসলামী ছাত্র শিবিরের একটি শাখা সংগঠন হিসেবে গঠিত হয়। গোয়েন্দাদের মতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা জনৈক রানা এই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী ছিলেন, ফয়সাল বিন নাঈম, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসান রেজা রহমান, নাঈম শিকদার ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ নামক পাঁচজন ছাত্র ম্যাজিস্ট্রিটের সামনে এই ঘটনার দায়ভার স্বীকার করে নেন।
হায়দার শাহবাগ আন্দোলনে, একটি দলের একজন সংগঠক ছিলেন যারা যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড ও জামায়াত-ই-ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। হায়দারের পরিবার জানায়, ব্লগে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করার জন্য লিখতেন, জামাত-ই-ইসলামী দলের স্পষ্টভাষী সমালোচনার জন্য নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় তাকে। শাহবাগ আন্দোলনের "প্রথম শহীদ" হিসেবে আহমেদ রাজীব হায়দার কে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০২