স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের বড় অর্জন দেশের আঠার কোটি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। স্বৈরাচার জননীর ঝুঁলন্ত গদি হঠাতে রাস্তায় নামলেই কড়া এ্যাকশন। ঐতিহাসিক এই আতঙ্ক বিপ্লবের নাম গুম-খুন, বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড।
বিরোধী মানসিকতার যুবককে ঘরে না পেলো তার পরিবারের সদস্যকেও নির্যাতন করতে দ্বিধা করেনি শেখ হাসিনার পুলিশ-প্রশাসন। বেনজীর আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, গোলাম ফারুক, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, বিজয় বিপ্লব দাশ এরা একেকজন শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি মসনদ টেকানোর গোলাম। যখন যাকে দমন করা প্রয়োজন তাকেই টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে।
হাসিনা ভক্তের পাশাপাশি তারা প্রভুভক্তও। পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায়, রমজান মাসে রোজা পালন, সকল ধর্মীয় আদেশ মেনে চলেন। গ্রামের বাড়িতে যাকাত-সদকা, গরীব-দুখীদের মাঝে বণ্টণ, আত্মীয়দের অধিকার সবই করেন। সময় পেলেই হজ্ব পালন করেন মানুষ হত্যাকারী এই পুলিশ কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি হজ্বে গিয়ে ফেসবুকে ছবি দিয়ে ভাইরাল ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।
কিন্তু কেন? উদ্দেশ্যে হজ্ব হলো বছর শেষে হালখাতা। এ বছর হজ্বে গেলেন তো আগের বছরের পাপ মোচন। পাপ নেই তো বেহেশতের টিকিট পেয়ে গেলেন। আর বেহেশত মানেই তো ৭২ জন রাজকুমারী বা রূপবতী হুরের দেখা।
৭২ জন হুর দাসী হয়ে হারুন অর রশিদদের সেবা করবে। বেনজীরকে ম্যাসাজ, সংসার জীবনে অতৃপ্ত মনিরুলকে সুখ দিবে। হুররা দল বেঁদে গাইবে গান, নাচ-গান সুরের মূর্ছণা আর ঝংকারে কেঁপে উঠবে গোটা বেহেশত।
পেয়ালায় সাজানো থাকবে সুস্বাধু নানা খাবার, অমৃত ফল, বেহেশতের বাগানে হাজার ধরণের ফুল। যখন মন চাইবে তখনই এসবের স্বাধ নিতে পারবে বাংলাদেশী হজ্ব পালন করা পেটোয়া পুলিশ বাহিনী।
আবার বেনজীর-মনির-হারুন সাহেবেরা একেকজন ২-৩ ঘণ্টা ধরে একাধিক কুমারীর সঙ্গে যৌনমিলন করবে সেটাও ভায়াগ্রা ছাড়াই সম্ভব।
সেজন্যই গুম-খুনের পাপমোচনে প্রতিবছর হজ্বে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। ব্যয়ও হাতের নাগালে। বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজের জন্য সরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
তবে সমস্যাটা হলো বিপ্লব কুমার সরকার, কৃষ্ণ পদ রায়, বিজয় বিপ্লব কুমারদের। হিন্দু ধর্মে হুর-পরীর কথা নাই। তারা কি বঞ্চিত থাকবেন?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪