প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর, দারুন আন্দোলিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ শিবির। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অতিকথন পছন্দসই না হলেও ক্ষমতার পালাবদল দেখতে চাননা সরকার। সমালোচকরা বলছেন, যে কোনভাবে সীমাহীন সময়ের জন্য গদি টিকিয়ে রাখতে মরিয়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।
এজন্য বিশ্বের উদীয়মান শক্তি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য, রাশিয়ান অস্ত্র আর প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে সকল দেনা-পাওয়া মিটিয়ে বিরোধী জোট ঠেকাতে সফল আওয়ামী লীগ। "প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় ভারতকে যা দিয়েছি, তা আজীবন মনে রাখবে।"
জল, স্থল, আকাশপথ ভারতের সুবিধাজনক নানা চুক্তিও করেছে সরকার, সুফল পাচ্ছে প্রতিবেশীরা। বিনিময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অতিকথনের সত্যতা।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দেশটির একজন প্রতিমন্ত্রী। একজন জুনিয়র পার্লামেন্ট মেম্বারকে দিয়ে একটানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে রিসিভ করা বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক। কারন বাংলাদেশে প্রথমবার এমপি হয়ে উপমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হওয়ার বহু নজির রয়েছে।
এনিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, সমর্থক বা তাদের ছাপোষা বিভিন্ন পেশার লোকজন এটা ভারতীয় রাষ্ট্রীয় প্রটোকল হিসেবে পাল্টা যুক্তি দেখাচ্ছেন সমালোচকদের।
যদিও ২০১৭ সালের নরেন্দ্র মোদী নিজেই বিমানবন্দরে গিয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। প্রতিবেশী দেশ মানে পরম বন্ধু, ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সহায়ক শক্তি। এক রাষ্ট্রপ্রধান প্রতিবেশি দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তাকে স্বাগত জানাবে সেটাই রীতি।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারত সফর করেন ১৯৭৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব রেড্ডী এবং প্রধানমন্ত্রী জনাব মোরারজী দেশাইসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ।
এমনকী ভারতের চরম শত্রু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকেও স্বাগত জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এনিয়ে বিএনপি বা সরকার বিরোধীদের খুশি হয়ে লাভ নেই যে মোদী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নাখোশ, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে
আওয়ামী লীগের অবস্থা কী ২০১৭ সালের চেয়েও দুর্বল। নাকি আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি। আমরা কী সম্মানের চেয়ে ক্ষমতাকে বড় চোখে দেখি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৯