নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি অনেকেরই আগ্রহ আছে। আমিও তার বাইরে নই। নিষিদ্ধ জগৎটাকে এক নজর দেখতে চাই, উপভোগ করার মানসে নয়। পতিতালয়ে দু-দুবার ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। সংযত থাকতে সচেষ্ট হয়েছি প্রতিবারই। আমি ছদ্মনামি তাই এখানে লুকোচুরি করার কারন নেই। প্রসঙ্গের দিকে যাচ্ছি..
এতোদিন ধরে বাংলাদেশে কোনও একজন খুন হলেই মনে প্রশ্ন জাগত। নিহত মানুষটি কী নাস্তিক। নাকি অন্য সমস্যা। অনেকগুলোর প্রশ্নের উত্তরে মিলত' নাস্তিক কিংবা মুক্তমনা/বিজ্ঞানমনস্ক লেখক, ব্লগার, বিজ্ঞানমনস্ক বইয়ের প্রকাশক । তাহলে খুনী কারা? রিটা কাটৎজ এর ''সাইট ইন্টেলিজেন্স'' ওয়েবসাইট বা অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে বলা হতো বা হচ্ছে- ''আমরা আইএস''। পুলিশ এক বাক্যে বলে আসছে, খাস দিলে বলছি- এরা ''আনসারউল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)''। যাক সে বিতর্কে যাচ্ছিনা। তবে শিক্ষক, ভার্সিটি ছাত্র, কবি-সাহিত্যিক এ ধরণের মানুষ আক্রান্ত হলেই তার কারণ অনুধাবন করা সহজ হতো। যদিও আমি নাস্তিকতার পক্ষে বা বিরুদ্ধে বলছি না। ধর্ম বিশ্বাস করি, ধারণ করি। তবে খুনের মাধ্যমে প্রতিশোধ বা প্রতিরোধের পক্ষে না।
সোমবার জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় রাব্বি খুন হলেন। গণমাধ্যমের সুবাধে জানলাম দু'জনে সমকামী অর্থা ''গে''। জুলহাস সমকামীদের অধিকার আদায়ের মুখপাত্র ''রূপবান'' নামক একটি সাময়িকীর সম্পাদক। তার ৫২ পৃষ্ঠার সাময়ীকিতে এদেশে সমকামীদের স্বীকৃতি চাওয়া হচ্ছে। গত পহেলা বৈশাখে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এলাকার '' রঙধনু যাত্রা' নামে একটি রেলীর আয়োজনও করেন
পুলিশ সেখান থেকে চারজনকে আটক করে মৃদু বাটম দেওয়ার পর ছেড়ে দেয় বলে শুনেছি। এদেশে সমকামী বা এলজিবিটি (লেসবিয়ান/নারী সমকামী-গে/পুরুষ সমকামী-বিসেক্সুয়াল-ট্রান্সজেন্ডা/হিজড়া) হয়তো অনেক দূর এগিয়েছে। ডকুমেন্ট তৈরি করেছে। আরও কত কী না?
ইউটিউব:
এর আগে ''ধী' নামে ব্রিটিস কাউন্সিলে একটি নৃত্যানুষ্ঠান হয়। কোন কোন গণমাধ্যমে ওই সংবাদ ছোট করে হলেও প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গে আসি। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের একটি কনভেশনে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি নাকি সমকামীদের অধিকার বা স্বীকৃতি নিয়ে তার সদিচ্ছার কথা বলেন। মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ইউটিউব ঝড়ও বয়ে গেছে। ইউটিউব:
In what appears to be a significant change in government attitude, Dr. Dipu Moni, Bangladesh's Minister of Foreign Affairs, recognizes the need to protect lesbian, gay, bisexual, and transgender (LGBT) persons in Bangladesh, and affirms their constitutional equal rights & freedoms at the 16th Session of the Universal Periodic Review in Geneva on April 29, 2013.
সেকথা হয়তো অনেকেই ভুলে গেছি। তিনি আজ মন্ত্রীও নেই। তবে জানলাম জুলহাস মান্নান তারই খালাতো ভাই। বাংলাদেশে এলজিবিটি (লেসবিয়ান-গে-বিসেক্সুয়াল-ট্রান্সজেন্ডার) নিয়ে ভাল অবদানও রাখতেন জুলহাস। এ নিয়ে কেউ কেউ বলছেন, তাহলে মন্ত্রী মহোদয় ওইদিন কী তার জুলহাসের আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে বলেছেন। আর সেটার স্বীকৃতি দেওয়া বা না দেওয়ার মধ্যে ভাল-মন্দ দিক কী। স্বীকৃতি দিলে হয়তো এই খুন হতো না। নাকি ধর্মীয় আন্দোলন বাড়ত। এসব নিয়ে প্রশ্ন জাগে। তাহলে কী এভাবেই চলতে থাকবে হত্যার তালিকা?
যদিও মন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে এদেশে আওয়ামী ওলামী লীগ প্রতিবাদ জানায়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা আইয়ুব আনসারী। সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূসকে সামাজিকভাবে বয়কট করে তাকে যেখানেই পাবে সেখানেই প্রতিহত করা, রমজানের পর ইউনূস সেন্টার ঘেরাও এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণারও হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওলামা-মাশায়েখ সংহতি পরিষদের মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন সিরাজী, আবদুল আলিম ফরিদ, মাওলানা শরীফ উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমকামীদের সমর্থন ও তাদের পে গোপনে কাজ করার অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গোপনে সমকামীদের সমর্থন আদায়ে ও তাদের পে কাজ করেছেন এবং সমকামীদের পে আইন পাস করার সুপারিশ করেছেন। এজন্য তাকে মন্ত্রিসভা
থেকে অপসারণের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তারা বলেন, দীপু মনির স্বারিত ওই সুপারিশের লিখিত কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৯