গরম খবর-গরম খবর
বাদ যাচ্ছে সাঈদী, কাদরে মোল্লা, বাচ্চু রাজাকার।




























------------
-----------------------------------
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য আইনী ব্যাখ্যা খুঁজছে ইসি। কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে ইসি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংবিধানে ‘ভোটার তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা’ বিষয়ে-১২২ (২) (ঙ)-তে বলা আছে, ‘তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত না হইয়া থাকেন’ তাহলে তিনি ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন।
সাম্প্রতিক মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদেও মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবদুল কাদের মোল্লা ও আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ অবস্থায় দণ্ডিত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় রাখার সুযোগ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সংবিধানের ১২২ (২) (ঙ) ধারা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সব ব্যক্তি হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে কোন আদালতে ওই সব ব্যক্তিকে দণ্ডিত করলে তারা ভোটার তালিকায় স্থান পেতে পারে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তির েেত্রও ওই বিধান প্রযোজ্য হবে কি-না কমিশন এটিই খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে কমিশন আইন শাখা থেকে বিভিন্ন আইনি ব্যাখ্যা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন আইনজীবীর পরামর্শও নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবে ইসি। তবে আপিলের রায়ের আগে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে কি-না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনজীবীদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া গেলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ‘ভোটার তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা’ বিষয়ে সংবিধানের ১২২ (২)(ঙ)-তে বলা হয়েছে- ‘তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত না হইয়া থাকেন’ তাহলে তিনি ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন।