আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন তো বলেই দিয়েছেন, দুনিয়া কাফেরদের জন্য জান্নাত, কিন্তু মু'মীনদের জন্য কারাগার। জান্নাতে মানুষকে স্বাধীন করে দেয়া হবে। মৃত্যু, ভয়-ভীতি, বার্ধক্য, দারিদ্র্য ও আরোও অনেক কিছু থেকে। কিন্তু কাফেররা দুনিয়াতেই স্বাধীনতা খুঁজে ফেরে। অন্যদিকে মুসলমানদের জীবন আল্লাহ তায়ালার হুকুমের শিকলে বন্দী। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের ফ্রেমে তাদের জীবন বাঁধা।
কিন্তু নিজের জীবনের দিকে তাকিয়ে কিছুতেই বন্দী জীবনের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই না। চারদিকে প্রবাহমান বাতাসের মত স্বাধীনতা আস্বাদন করি।
বড় বেশী স্বাধীন হয়ে গেছি। এত বেশী পরিমাণ স্বাধীন যে ভয় হয়, আমি হয়ত পথ হারাব, হয়ত জাহান্নামে যাব। পিঠে হাত বুলিয়ে দেখি তা অক্ষত আছে, বেশ নাদুশনুদুশ মনে হয় নিজেকে। ফার্মের মুরগীকে বড়ই করা হয় তাকে চুলায় নিক্ষিপ্ত করা হবে বলে। ফার্মের মধ্যে মুরগীকে যে ব্যক্তি আদর-আপ্যায়ণ করে সে-ই তার বড় শত্রু। কিন্তু মুরগীরা হয়ত তাকেই বন্ধু মনে করে। আমারও অবস্থা হয়েছে সেসব মুরগীদের মত। দুনিয়ার আদর-আপ্যায়ণে মজে গেছি। তবুও মাঝে মাঝে পিঠে হাত বুলোই। দেখি এখনও তা অক্ষত আছে। খুব অনুভব করছি হযরত ওমর রাযিআল্লাহু তায়ালা য়ানহুর বেতকে। আমীরুল মু'মিনীনের শাসনের দন্ডকে। ফজরের জামাতে দু'তিনদিন দেখতে না পেয়ে আমীরুল মু'মিনীন বা তার প্রতিনিধি বাসায় চলে আসবেন। জামাতে শরীক না হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করবেন। জু'মার নামাযের সময়ে বেঁচা-বিক্রীর অভিযোগে আমার তৈলাক্ত পিঠে দু'চার ঘা চাবুক পড়ুক। এ পিঠ জাহান্নামের জন্য তৈরী হচ্ছে। আমীরুল মু'মিনীনের চাবুক বড় স্নেহভরে আমাকে মারতে মারতে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে নিয়ে যাক।
_____________________
ডাঃ জহির
৬ মে, ২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২