তিলক, ঢোলক, কল্কি, হুক্কা, বাদ্য বাজনা, মোমবাতি পূজা, আগুন পূজা, পানি পূজা, মাজার আর মিনার পূজা, দুর্গা, গনেশ, রাম, ঠাকুর, দিদি, বৌদি, বেলেল্লাপনা, পহেলা বৈশাখ, চড়ক গাছ, বৈশাখী মেলা, ইলিশ মাছ আর পান্তার প্রসাদ, হুতুম প্যাঁচা, মুখোশ, জন্মদিন, মৃত্যুদিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতি নয়।
কারণ আমাদের পূর্বপুরুষরা একদিন ঘৃণাভরে এ সংস্কৃতিকে পরিহার করেছিলেন। এগুলো সনাতন সংস্কৃতি। দু-একটি নব্য আমদানীকৃত। যেমন থার্টি ফার্স্ট নাইট।
যে সংস্কৃতি আমাদের পূর্বপুরুষরা পরিহার করেছিলেন সে সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতি হতে পারে না। আমরা আমাদের সভ্য হওয়ার বিষয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের নিকট দায়বদ্ধ।
যে সংস্কৃতি আমাদের পূর্বপুরুষরা লালন করেছেন আমরা সে সংস্কৃতিরই ধারক ও বাহক। এটাই আসল বাঙ্গালী সংস্কৃতি। আমরা পরিত্যক্ত সনাতনী সংস্কৃতি বর্জন করে আমাদের পূর্বপুরুষদের গৃহীত সংস্কৃতি লালন করতে চাই। এতেই আমাদের গর্ব। এভাবে আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের ঋণ শোধ করতে চাই।
আসল বাঙালী সংস্কৃতিঃ
কুরআন তিলাওয়াত করা, সালাত আদায় করা, পর্দা করা, সুদ ঘুষ থেকে বেঁচে থাকা, মা বাবাসহ গুরুজনদের খেদমত করা দান সদকা করা, আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের খোঁজ খবর করা, হজ্ব করা, জানাজার নামায পড়া, জিহাদ করা, টুপী-দাড়ী রাখা, আতর লাগানো, জুব্বা পড়া এগুলো হচ্ছে আসল বাঙ্গালী সংস্কৃতি। অর্থাৎ মুসলিম চেতনা ধারণ করাই হচ্ছে মূল বাঙ্গালী সংস্কৃতি। এক হাজার বছরের পূর্বে মাটি চাপা পড়া শিরকী চেতনা মাটি খুঁড়ে বের করে আনার নাম বাঙালীয়ানা নয়। বরং শিরকের ওপর বিজয়ী ইসলামকে বরণ করার নামই বাঙালীয়ানা।
আমাদের অতীত
আমার বাপ-চাচাদের তুলনায় আমার দাদা বেশী ধার্মিক ছিলেন। মাটির সানকিতে হয়তো পান্তাভাত কাঁচামরিচ খেতেন ঠিকই, কিন্তু তিনি ছিলেন একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম। আমার দাদার উপরের দিকে গেলে আরো বেশী ধার্মিকতা পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের ইসলামপ্রীতি দেখি না বা অনুসরণ করি না। দেখি তাদের পান্তাভাত খাওয়া। তারা কখনো নারী-পুরুষ গায়ে পায়ে রং মেখে বেলেল্লাপনা করতেন না। তারা প্রতিদিন সকালে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। কোনদিন সুদ-ঘুষ-দুর্নীতি করাতো দূরের কথা এগুলো চিনেনও নাই। আমার দাদা তার এক ছেলেকে কুরআনে হাফেজ বানিয়েছেন। কিন্তু আমার বাপ-চাচারা তাদের কোন ছেলেকে কুরআনে হাফেজ বানায়নি। আমার দাদা-পরদাদা তারাই ছিলেন প্রকৃত বাঙ্গালী। তারা শিরকের বিরুদ্ধে ইসলামকে জয়যুক্ত করেছিলেন। এখনকার প্রজন্ম তাদের গৌরবময় বাঙালীয়ানা অতীত ভুলে গেছে। তারা উদ্দাম নৃত্য, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার নাম দিয়েছে বাঙালীয়ানা, অথচ যা কোনদিনও বাঙালীয়ানা ছিল না।
__________________
ডাঃ জহির
১৪ এপ্রিল, ২০১৫।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৮