সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি খাদ্যাভাস। পরিমিত আহার অনেক রোগের হাত থেকে বাচাঁয়, উচ্চরক্তচাপ, ডায়বেটিস ও স্টোক প্রতিরোধ করে। আসুন দেখা যাক কেমন হবে আমাদের খাদ্যাভাস-
* সকালে পেট ভরে খান। প্রচুর পানি পান করুন। সকালের খাবার আপনার মেদ বাড়াবে না, বরং সারাদিনের শক্তি যোগাবে। সকালে পেট ভরে খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা থেকে অনেকাংশে রেহাই পাবেন।
* দুপুরে পরিমিত খান। লক্ষ্য রাখবেন খাবারে যেন যথেষ্ট ডাইজেস্টিভ ফাইবার থাকে। ডাইজেস্টিভ ফাইবার বলতে শাক ও আঁশযুক্ত খাবার বোঝায়। এসব খাবার থেকে কোনো শক্তি মেলে না। এরা অন্ত্রকে পরিষ্কার করার কাজ করে এবং কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমে যায়
* নিয়মিত প্রোটিন খান। ডিম, মাছ, মাংশ প্রোটিনের ভালো উৎস। অনেকেই ভুল ধারণা রাখেন প্রোটিন খেলে মুটিয়ে যাবেন। প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে মানুষ মোটা হয় না, মোটা হয় শর্করা ও চর্বিযুক্ত খাবার খেলে। ভাত যত বেশি খাবেন তত মুটিয়ে যাবেন, ডিম খেলে মুটিয়ে যাবেন না। মাংশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে চর্বিবিহীন মাংশ বা চর্বি কম এমন মাংশ যেমনঃ মুরগীর মাংশ খান। প্রচুর সামুদ্রিক মাছ খান। মাছে অনেক উপকারী অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, খনিজ ও রোগ প্রতিরোধক উপাদান থাকে।
* নিয়মিত একটি কলা খান। এছাড়াও সিজনাল ফলফলাদি খাবেন প্রচুর পরিমাণে। আপেলের চেয়ে পেয়ারার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। বিদেশী ফল পরিহার করে দেশী ফল বেশি বেশি খান।
* তামাক বর্জন করুন। ধুমপান, জর্দা, গুল থেকে বিরত থাকুন। রক্তচাপ, অ্যালার্জি, ক্যানসারসহ বহুরোগে ভোগাবে নিকোটিন বিষের আধার এই তামাক।
* বেশী তৈলাক্ত, লবণাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন। পাতে লবন খাবেন না। উচ্চরক্তচাপের সম্ভবনা বৃদ্ধি পাবে।
* সফটড্রিংস যেমন কোক, স্প্রাইট ইত্যাদি ও এনার্জি ড্রিংস থেকে বিরত থাকুন। সফটড্রিংসে মাত্রাতিরিক্ত চিনি ব্যবহৃত হয় যা দাঁত ও প্যারক্রিয়াসের জন্য ক্ষতিকর। এর পবিবর্তে ডাবের পানি পান করুন বা “র” চা খান। আখের রস ও স্বাস্থের জন্য উপকারী, তবে পানি বিশুদ্ধ কি না তা দেখে নিন।
* রাতে কম খান। গভীর রাতে খাওয়া পরিহার করুন। খাবার পর একটু হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
* ভাতের চেয়ে আটার পুষ্টিগুণ বেশি। তাই ভাতের বিকল্প হিসাবে রুটি খাবার অভ্যাস থাকা ভালো।
* পরিমিত পরিমাণ ঘুমান। নিয়মিত মেডিটেশন ও ব্যায়াম করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১১