সিজন পরিবর্তনের সাথে বাড়ছে জ্বরের প্রকপ। ঠান্ডা লাগা, ফ্লু জ্বর যাই বলা হোক না কেন সেটি “হিউমান রাইনো ভাইরাস” নামের একটি ভাইরাসের সংক্রামনে হয়ে থাকে।
লক্ষণঃ
* নাক দিয়ে পানি পড়া
* গলা খুসখুস করা ও কাশি
* জ্বর
* রুচির অভাব
* সারা শরীরে ব্যাথা
রোগের বিস্তারকালঃ
শরীরে ভাইরাস প্রবেশের ৮-১০ ঘন্টার মধ্যে তা রেপ্লিকেশন শুরু করে বংশবিস্তার ঘটায়। রোগের লক্ষণগুলো ২-৫ দিনের মধ্যেই প্রকাশ পায়। রোগের লক্ষণগুলো ২-৩ দিন প্রকটভাবে থাকে এবং রোগীকে ভোগায়। ৭-১০ দিনের মধ্যে আপনা আপনিই সেরে যায়। ক্ষেত্র বিশেষে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত তা দীর্ঘায়িত হতে পারে।
চিকিৎসাঃ
* প্রচুর পানি পান করুন।
* তাপমাত্রা কমানোর জন্য এনালজেসিক (তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ) যেমনঃ প্যারাসিট্যামল, আইবুপ্রোফেন খেতে পারেন
* সর্দি বা এলার্জি রোধে এন্টিহিস্টামিন যেমনঃ লোরাটিডিন, ডিসলোরাটিডিন, সেটিরিজেন হাইড্রোক্লোরাইড খেতে পারেন।
* কখনোই নিজস্ব বিবেচনায় এন্টিবায়োটিক খাবেন না। ভাইরাস ধ্বংসে এন্টিভাইরাল আর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়। যেহেতু সিজনাল জ্বর ভাইরাস সৃষ্ট তাই এন্টিবায়োটিক তেমন কাজে আসে না।
* ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন সাইট্রাস ফল খান।
* অনেকে ড্রাগ পছন্দ করেন না এক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস যাতে টারপিনয়েড ও স্টেরয়েড বিদ্যমান, বা বাসক পাতার রস করে খেলে সর্দিতে ভালো উপকার পাবেন।
প্রতিরোধকঃ
সাধারণ ঠান্ডা লাগার কোনো টিকা নেই। রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুবেন। অযথা চোখে বা নাকে হাত লাগাবেন না।