হাঁপানি রোগটির কথা শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে প্রাণপণ নিশ্বাস টানতে থাকা একজন মানুষের ছবি, চোখদুটো কোটর থেকে বেড়িয়ে আসার উপক্রম, উদ্ভ্রান্ত লালাভ চেহারা! হঠাৎ করে দেখলে অনেকের মনে হবে এই বুঝি মারা গেলো মানুষটা!
এইরকম অসহায় বিপর্যস্ত শ্বাস কষ্টের কোন রোগীকে দেখলে মাঝে মাঝে অনেক সুস্থ লোকেরও দম আটকে আসতে চায়। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি বোধকরি আমাদের কারোরই হতে ইচ্ছে করবে না। তাই চলুন এই রোগটি সম্পর্কে কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনে নিই।
হাঁপানি বলতে আমরা সাধারণত শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এমন একটি রোগকেই মনে করে থাকি। কিন্তু প্রকৃত ক্ষেত্রে এইরকম দুইটি ভিন্ন ধরণের রোগ রয়েছে। যার একটি হল অ্যাজমা (ব্রংকিয়াল) যা আসলে আমাদের পরিচিত হাঁপানি। আরেকটির নাম COPD
আমরা এখানে মূলত প্রথমটি সম্পর্কে জানবো।
• হাঁপানি বা অ্যাজমা কি?
এটি শ্বাস প্রশ্বাস জনিত একটি রোগ যা মূলত হয়ে থাকে আমাদের শ্বাসনালীর অতি সংবেদনশীলতা (Hypersensitivity) এর কারনে। এর ফলে আমাদের শ্বাসনালীর স্বাভাবিক ব্যাস কমে গিয়ে শ্বাসনালীটি আগের চেয়ে সরু হয়ে যায়। যার ফলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমান বাতাস যাতায়াত করতে পারে না এবং দেহ অক্সিজেনের অভাব অনুভব করতে শুরু করে।
নিচের ছবিটি দেখুন-
• পৃথিবীতে এই রোগের চেহারা-
- বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত এবং বিশেষজ্ঞদের একটি হিসেব মতে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমায় আক্রান্ত হতে পারে।
- পৃথিবীতে মারা যাওয়া প্রতি ২৫০ জনের মাঝে একজন অ্যাজমার কারনে মারা যায়।
নীচের ছবিটি দেখুন। ডানদিকের সংখ্যা এবং রঙ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে পৃথিবী ব্যাপী কোন অঞ্চলে শতকরা কত ভাগ মানুষ অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছে।
বড় করে দেখুন এখানে
বাংলাদেশের চিত্রঃ
আমাদের দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের একটি সমীক্ষায় [National Asthma Prevalence Study (NAPS) 1999] দেখা গেছে –
* ৭ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমাতে আক্রান্ত যা সে সময়ের মোট জনসংখ্যার ৫.২%
* এদের ভিতর ৯০% সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে না।
* এই রোগীদের সিংহ ভাগই ১ থেকে ১৫ বছর বয়সী।
* মেয়ে শিশুদের চেয়ে ছেলেরা অধিক হারে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
* উপকূলীয় এবং গ্রামাঞ্চলে অ্যাজমার হার বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
যে সকল ক্ষেত্রে অ্যাজমা হবার ঝুঁকি বেশি থাকেঃ
• ধূমপান ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যাদি ব্যবহার করলে। সুতরাং-
• দৈনন্দিন জীবনে অতিরিক্ত ধুলাবালি, বিষাক্ত গ্যাস ও কলকারখানার সংস্পর্শে আসলে।
• শ্বাসনালীর ইনফেকশান বা জীবাণুর সংক্রমণ হলে।
• আবহাওয়ার তারতম্য ( অতি মাত্রায় ঠাণ্ডা, বায়ুতে পরাগ রেণুর অধিক মাত্রায় উপস্থিতি ইত্যাদি)
• পরিবারের ভিতর এই রোগের পূর্বাতিহাস থাকলে।
• বাসস্থান দীর্ঘদিন ধরে অতিমাত্রায় স্যাঁতসেঁতে থাকলে।
• পোষা প্রাণী যেমন বিড়াল, কুকুর, ঘোড়া – এসবের সংস্পর্শে আসলে।
• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করলে (কিছু কিছু ঔষধ অ্যাজমা হবার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়)
উপরের এই বিষয়গুলোকে বলা হয় Predisposing/ Triggering factors. এইসকল ক্ষেত্রে অ্যাজমা হবার ঝুঁকি বেশি থাকে এবং ইতোমধ্যে কারো এই রোগ হয়ে গিয়ে থাকলে তার পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। তবে এগুলো ছাড়াও কিছু কিছু বিষয় আছে যেসব ক্ষেত্রে অ্যাজমা হবার বা পরিস্থিতির অবনতি হবার সম্ভাবনা থাকে যেমন অতিমাত্রায় আবেগ আক্রান্ত হওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।
এই পর্যায়ে যে কথাটি না বললে নয় তা হল- বিজ্ঞানীরা এখনো অ্যাজমা রোগটির মূল কারন সম্পর্কে পুরোপুরি পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেননি। তাই এই কথা নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাচ্ছে না যে উপরের ফ্যাক্টরগুলো না থাকলে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হবেন না আবার এগুলো থাকলেই নিশ্চিত কারো অ্যাজমা হয়ে যাবে।
রোগের লক্ষণ সমুহঃ
- কাশি (সাধারণত শুকনো)
- সমস্ত বুক চাপ চাপ লাগা
- শ্বাস প্রশ্বাসের সময় বাঁশির মত এক ধরণের আওয়াজ হওয়া
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
এছাড়াও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি এবং পরিস্থিতির ভিন্নতা ভেদে অন্যান্য কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষাঃ
কোন ব্যক্তি অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছেন এরকমটি ধারনা করলে চিকিৎসকেরা কয়েকধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন যা এখানে আলোচনা করলে বিষয়টা অনেক দুর্বোধ্য ও দীর্ঘ হয়ে যাবে। তবে একটি কথা সকলের জানা থাকা ভাল বলে এখানে উল্লেখ্য যে- শুধুমাত্র অ্যাজমা আক্রান্ত একজন রোগীর বুকের এক্স-রে করলে তা সাধারণত হুবহু একজন সুস্থ ব্যক্তির বুকের এক্স-রে’র মতই দেখতে হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক্স-রে তে কোনরূপ পরিবর্তন দেখা যায় না।
সুস্থ থাকতে হলে করনীয়-
অ্যাজমা সাধারণত কম বয়সীদের বেশি হলেও যে কোন বয়সে যে কারোই হতে পারে। যারা এখনো সুস্থ আছেন তারা এবং যাদের ইতোমধ্যে এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে তারা একটু সচেতন হলেই সুস্থ স্বাভাবিক জীবন করতে পারবেন। অতীতে এই রোগ নিয়েই অনেক মানুষ তার দেশ পরিচালনা করেছেন, অভিনয় জগতকে মাতিয়ে গেছেন, এমনকি অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পদক জিতে নিয়েছেন অনেকবার। তাহলে আসুন ঝুঁকি মুক্ত থাকতে হলে কি কি করনীয় একবার দেখে নেয়া যাক -
১। ধূমপান এবং অন্যান্য সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্য সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে।
২। রাস্তা ঘাটের অতিরিক্ত ধুলা বালি থেকে বাঁচার জন্য নিরাপত্তা মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩। সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়তে হবে।
৪। আমাদের ঘরবাড়িতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে চারপাশ স্যাঁতসেঁতে না হয়ে যায়। স্যাঁতসেঁতে ঘরে ছত্রাক জন্ম নেয় এবং ছত্রাকের কারনে অ্যাজমা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
৫। যে বাড়িতে অ্যাজমা রোগী আছে সে বাড়িতে কোন পোষা প্রাণী না রাখাই শ্রেয়। ঘরের মেঝেতে কোন কার্পেটও রাখা যাবে না।
৬। ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে শীতকালে এবং বর্ষাকালে এই সমস্যা অধিক হারে দেখা দেয় বলে এই সময়টাতে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
৭। বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন ধরণের খাবার খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে। সেসমস্ত খাবার একটু এড়িয়ে চলাই ভাল হবে। অতীতে দেখা গেছে যে এই সব খাবারগুলো কারো কারো ক্ষেত্রে সমস্যার কারন হয়ে থাকে- ইলিশ মাছ, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, গরুর দুধ, বাদাম, কিছু সবজি যেমন- কচু, বেগুন, পুঁইশাক ইত্যাদি।
৮। যাদের আগে থেকেই অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা আছে তাদের হাঁপানি বা অ্যাজমা হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই উপরিউক্ত বিষয়গুলো তাদেরকে আরও বেশি করে মনে রাখতে হবে এবং মেনে চলতে হবে।
৯। যারা ইতোমধ্যে এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং বছরে অন্তত চার থেকে ছয় বার একজন চিকিৎসক অথবা অ্যাজমা ট্রেনিং প্রাপ্ত নার্সের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিৎ।
আমাদের দেশে প্রচলিত অসংখ্য বুজরুকি ধান্দাবাজির ভিড়ে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের চিকিৎসা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অসাধু অপচিকিৎসা। এই নিয়ে নানান রকম চটকদার বিজ্ঞাপন ঝুলতে দেখা যায় রাস্তার চারপাশে, অলিতে গলিতে। পৃথিবী জুড়ে নামকরা সব চিকিৎসক যেসব রোগের চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন সেইসব রোগের চিকিৎসা নাকি গোমূর্খ কবিরাজরা, ভুয়া চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্যারান্টি সহকারে করে থাকেন!! অনেক শিক্ষিত লোকও অনেকদিন ধরে একটা রোগে ভুগলে এক সময় ঐ জাতীয় চটকদার বিজ্ঞাপন দাতাদের দ্বারস্থ হন। দু’একজন কে এমন বলতেও শুনেছি যে- হাঁপানি রোগ নিয়ে অনেকদিন ভাল ডাক্তার দেখানোর পরও পুরোপুরি আরোগ্য না হওয়ায় কোন এক কবিরাজের দেয়া ‘আশ্চর্য হালুয়া’ খেয়ে শ্বাস কষ্ট পুরো নাকি উধাও!
খুবই ভয়ংকর কথা! হাতি ঘোড়া গেলো তল, ছারপোকা বলে কত জল?
এখানে ছোট্ট একটি কিন্তু আছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা অনেকেই জানি না যে হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগের চিকিৎসা রোগের প্রকটতা অনুসারে পাঁচটি ধাপে করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধাপে চিকিৎসকেরা নানা ধরণের ট্যাবলেট, ইনহেলার, ইঞ্জেকশান ইত্যাদি দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। এই ধাপগুলোর একদম উপরের ধাপে আছে কিছু স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ (ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশান)। এই ঔষধ একজন অ্যাজমা রোগীর রোগের একদম প্রকটতম পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমনও দেখা যায় যে একজন ব্যক্তি হয়তো কয়েকবছর ধরে অ্যাজমা সমস্যা নিয়ে আছেন কিন্তু তার এখনো পর্যন্ত এই উচ্চ মাত্রার ঔষধ গুলো গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়েনি কখনো।
এবার শুনুন আমাদের এই কবিরাজ মহাশয়দের সুকীর্তি সম্পর্কে। এরা তাদের নানা প্রজাতির উদ্ভট হালুয়া, সরবত, সন্দেশের ভিতর এই স্টেরয়েড ট্যাবলেট গুলো গুঁড়ো করে সঠিক মাত্রার চেয়ে পাঁচ-দশ গুন বেশি পরিমানে মিশিয়ে দেয়। আর ফলস্বরূপ যে হাঁপানি রোগীটা গ্রেড ১ বা গ্রেড ২ এ আছে সে জাদুবলের মত শ্বাস কষ্ট থেকে মুক্তি পায় অল্প কিছু সময়ের জন্য। সেই থেকে এই কবিরাজ গুলোর প্রতি ঐ রোগীরও জন্ম নেয় চরম ভক্তি। কিন্তু বেচারা রোগী জানতেও পারেনা কি ভয়ংকর পরিণতি হয়তো অপেক্ষা করছে তার জন্যে সামনের দিনগুলোতে।
আমি নিজে একবার বছর তিনেক আগে আঠারো উনিশ বছরের এক রোগীকে পেয়েছিলাম যার সারা শরীরে পানি এসে ফুলে একাকার অবস্থা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেলো তার দুটি কিডনির অবস্থাই গুরুতর। ভালভাবে রোগীর মায়ের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম যে তার মেয়েকে হাঁপানি রোগের চিকিৎসার জন্য এক কবিরাজের কাছে নিয়েছিল মাস খানেক আগে। কবিরাজ তাকে একধরনের হালুয়া খেতে দিয়েছিল সাতদিনের জন্য। তার কিছুদিন পর থেকেই নাকি চোখ মুখ ধীরে ধীরে ফুলতে শুরু করে!
সামান্য অ্যাজমা থেকে ত্বরিত মুক্তি লাভের আশায় এভাবে জীবনটা প্রায় খুইয়ে বসার কোন মানে হয় না। এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে আমাদের সবার মাঝে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি আর দশটি সাধারন রোগের মতোই একটি রোগ। এমন ভ্রান্ত ধারনা পোষণ করার কোন মানেই হয় না যে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগটি একবার হলে জীবনটা পঙ্গু হয়ে গেলো, আপনি আর কখনো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন না। আসুন লেখার এই শেষ পর্যায়ে এসে পুরো পৃথিবীতে নিজেদের প্রতিভার আলোয় আলোকিত কিছু মানুষকে নতুন করে আরেকবার চিনে নিই। কারন নীচের ছবিগুলোতে আমরা যাদেরকে দেখব এখন তাদেরকে এতোদিন তাদের স্বীয় কীর্তির কারনে চিনতাম। আজ থেকে তাদের আরেকটি পরিচয় জানব, তারা সবাই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত! এই রোগকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তারা ছুঁয়ে দেখেছেন সাফল্যের চূড়া। তাই তাদেরকে আমরা এখানে ডাকছি Famous Asthmatics!
বিটোভেন (১৭৭০-১৮২৭)- জগদ্বিখ্যাত পিয়ানো বাদক এবং সুরকার।
জন এফ কেনেডি (১৯২৭-১৯৬৩)- আমেরিকার ৩৫ তম রাষ্ট্রপতি।
চার্লস ডিকেন্স (১৮১২-১৮৭০)- বিখ্যাত লেখক। অলিভার টুইস্ট তার সুপরিচিত রচনা।
এলিজাবেথ টেলর (১৯৩২-২০১১)- বিখ্যাত অভিনেত্রী। ‘ক্লিওপেট্রা’ তার সুপরিচিত একটি মুভির নাম।
থিওডর রুজভেল্ট (১৮৫৮-১৯১৯)- আমেরিকার ২৬ তম রাষ্ট্রপতি।
অরসন উইলিস (১৯২৫-১৯৮৫)- অস্কার বিজয়ী অভিনেতা, চিত্রপরিচালক, প্রযোজক ও লেখক। ‘সিটিজেন কেইন’ তার বিখ্যাত একটি মুভির নাম।
জোসেফ পুলিতজার (১৮৪৭-১৯১১)- বিশ্বখ্যাত সংবাদ মাধ্যম ব্যাক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদ। তিনি বেশি পরিচিত তার নামে ১৯১৭ সাল থেকে প্রদানকৃত “পুলিতজার পুরস্কার”এর কারনে।
বিল ক্লিনটন (জন্ম ১৯৪৬ সাল)- আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতিদের একজন । তিনি ছিলেন আমেরিকার ৪২ তম রাষ্ট্রপতি।