লালাখাল যেতে হলে সিলেট শহরের সোবহানী ঘাট অথবা টিলাগড় থেকে জাফলংগামী বাসে উঠতে হবে। নামতে হবে সারিঘাট নামক স্থানে। এটি গোয়াইনঘাটের আগে পড়বে। সোবহানী ঘাট থেকে ৩০ টাকা এবং টিলাগড় থেকে ২৬ টাকা ভাড়া পড়বে(জনপ্রতি)। সারিঘাটে নেমে ইন্জ্ঞিনচালিত নৌকা নিয়ে যাওয়া যাবে লালাখাল। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৩০/৪০ টাকা( ওয়ান ওয়ে)। সবচেয়ে ভাল হয় ১০ জনের একটা গ্রুপ নিয়ে গেলে। বড় নৌকায় সহজেই ১০/১২ জনের জায়গা হবে। রাউন্ড ট্রিপে একটা নৌকায় ৩৫০/৪০০ টাকাতেই সেরে ফেলা যায় ২ ঘণ্টার( যাওয়া ১ ঘণ্টা, আসা ১ ঘণ্টা) এই ভ্রমণ। চাইলে লালাখালে পৌছে ঘুরে নিতে পারেন সেখানকার ছোট একটি টি-ফ্যাক্টরি।
মূলত সারিঘাট থেকে রওনা দেবার কিছুক্ষণ পরেই আপনার চোখে পড়বে দূরে মেঘালয়ের নীল পাহাড়গুলো। পথেই হয়ত দেখা মিলবে মহিষের পালের একসাথে গলা অবধি পানিতে ডুবে সাঁতার কাটার দৃশ্য। যত সামনে এগুতে থাকবেন ততই যেন মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকবে আপনাকে।
আমি যখন গিয়েছিলাম তখন পড়ন্ত বিকেল। লালাখালের কাছে পৌঁছাতেই সূর্যাস্তের অসাধারণ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রাখলাম।
এরপর লালাখাল পৌঁছে দ্বীপে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি। শুক্রবার ছিল বলে টি-ফ্যাক্টরির কাজ দেখা গেল না। এবার ফেরার পালা। সন্ধ্যা শেষে রাত নামছে। মেঘহীন মুক্ত আকাশে নানা তারার মেলা। সন্ধ্যা তারাও গোচরে আসলো। যেন গাইড করে সারিঘাট নিয়ে যাচ্ছিল আমাদের! সারিঘাট পৌছে আবার বাসে করে সিলেট। সেইসাথে লালাখাল ভ্রমণেরও সমাপ্তি টানলাম।