: এই দুই দিন কইছিলা, গায়েন?
: হেই খবরে কাম কি, কেডা ভাবে আমার কথা?
: বড় গোস্যা অইছে যে
: না, ফুর্তি লাগতাছে, অহন মালকাছা মাইরা ফাল পারি
: ওমা! হাছাই যে রাগ করছো, আমার উপড় রাগ কইরা তুমি থাকবার পার?
: হেইডা জানস্ দেইখ্যাইতো কষ্ট দ্যাস আমারে
: কইলানা- কই ছিলা?
: কই আর, পথে, পথ থিক্যা মাইনষের ভীড়ে; তারপর আবার পথে
: তোমার তো অই এক রোগ, মন অস্থির হইলেই চৈত মাসের বাউলা ঘুর্নির মতন ছুট দ্যাও
: হ, তারপর আবার সব শান্ত হইয়া যায় একসময়। চাইরদিকের ধুলিগুলানআবার একটা একটা কইরা জমতে থাকে মাটির উপড়। আইচ্ছা- ক’তো কিসের সেই টান?
: তুমি আমারে জিগাও! আমি কি আর অত বুঝি?
: আমিও বুঝিনা, শুধু বুঝি তুই আমার সেই মাটি
যে মাটির বুকে খাড়াইয়া এপাড়-ওপাড় দ্যাহা যায়না, মনে হয় তার শ্যাষ শুধু আসমানের কিনারে; যে মাটিরে শক্ত হাতে চীর্যা বুইনা দেওন যায় সবুজ ফসলের বীজ, যার বুক ফাইটা বাইর হওয়া নহরের জলে তিয়াস মিটে; যার কাছে বারবার ফির্যা আসি বাউলা ঘুর্নির ধূলার মতন...
: কি যে কও তুমি গায়েন! বুজছি, তোমার ঘোর লাগছে
: লাগলে তা লাগাইছস তুই। হেই দিন সারারাইত জাইগা ধলপহরের আলো যহন আমার সারা গায় লাগাইলাম, হেই আলোয় আমি কার মুখ দেখছি? শুনসান বাতাসে গানের আওয়াজ ছড়াইছি কার লাইগা? আমার দোতারা পাজরের শব্দে কারে ডাকছে? তুই পাসনাই শুনতে??
: পাইছি গায়েন পাইছি। রাইত চরা পাখি আর ঝিঝি’র ডাকের ফাকে শুনছি তোমার গান; টের পাইছি তোমার বুকের কাপন। ইচ্ছা করছে- এক ছুটে আমার গায়েনরে গিয়া একটু ছুইয়া আসি...
: তয়??
: আন্ধারে পা বাড়াইতে যে ভয় করে...
বড় ভয়...