স্কুলে কলেজে বা অফিসে চেয়ারে বসা থেকে দাড়ানোর সময় যদি কখনো মনে হয় প্যান্টটা চেয়ার টেনে ধরেছে তখন কার না মেজাজ খারাপ হয়, কে চুইংগাম খাওয়ার পর এই কাজ করেছে তার চৌদ্দ পুরুষের নাম উদ্ধার করতে থাকি আমরা । এখন যদি সেই চুইংগামের প্রসংশা করা শুরু করি তাহলে এরকম অভিজ্ঞতা যার হয়েছে সে হয়ত এবার আমার চৌদ্দ পুরুষের নাম উদ্ধার করবে । কিন্তু তারপরেও চুইংগামের উপকারিতা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই ।
গভেষনায় দেখা গেছে দাত ও মুখের সুসাস্থ & হাইজিন রক্ষায় চুইংগামের অনেক অবদান আছে । খাবার খাওয়ার পর চুইংগাম চিবালে মুখের লালা নিঃসরণ অনেক গুন বেড়ে যায় ।এই লালা মুখ পরিস্কার করে,মুখ হতে ব্যাকটেরিয়া দূর করে & ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃস্ট এসিড নিউট্রালাইজ করে ।এই এসিডই দাঁতের ক্ষয় ও মুখের দূর্গন্ধের জন্য দ্বায়ী ।এছাড়াও মুখের লালায় ক্যালসিয়াম , ফসফেট ও ফ্লোরাইড থাকে যা দাতের এনামেলকে মজবুত করে ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অধিকাংশ চুইংগামে চিনি জাতীয় উপাদান থাকে যা কিনা আবার ব্যাকটেরিয়ার এসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় ,আর এসিড দাঁতের ক্ষয় করে । এক্ষেত্রে আমরা যদি চুইংগাম ১৫-২০ মিনিট চিবাই তাহলে চিনি সরে যাবে এবং নিসৃত অতিরিক্ত লালা মুখের জীবানু বা ব্যাকটেরিয়া দূর করবে । আবার কিছু কিছু চুইংগামে চিনির পরিবর্তে যাইলিটন নামক মিস্টি জাতীয় উপাদান ব্যবহৃত হয় যা ব্যাকটেরিয়াকে দাঁতের সংগে লেগে থাকতে বাঁধা দেয় ,সুতরাং যাইলিটন সমৃদ্ধ চুইংগাম দন্তক্ষয় প্রতিহত করে ।
১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে ইউ এস আর্মিতে চুইংগাম ব্যবহৃত হচ্ছে ,কারন দেখা গেছে চুইংগাম সৈনিকদের মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কমায় ।