মওদুদীবাদী জামাত নেতা অধ্যাপক গো’আযম লিখিত ইকামাতে দ্বীন ৪৩, ৪৪ পৃষ্ঠায় লিখেছে, “মাদ্রাসায় উস্তাদগণ ইসলামের যে পরিমাণ শিক্ষা দিচ্ছেন তার চেয়ে বেশি ছাত্ররা কি করে শিখিবে? কিন্তু মাদরাসার যে মেধাবী ছাত্ররা দেশের ইসলামী আন্দোলনকে বুঝতে পারছে তা মাদ্রাসার বাইরের শিক্ষা, অবশ্য মাদ্রাসার ছাত্ররা যেহেতু মাদ্রাসায় কোরআন ও হাদীসের জ্ঞান পায় সেহেতু আন্দোলনের দৃষ্টিভঙ্গী পেলে তারা আধুনিক শিক্ষিতদের তুলনায় অনেক দ্রুত আন্দোলন মুখো হয়ে পড়ে। ইসলামকে একটি পরিপূর্ণ সমাজ-ব্যবস্থা হিসাবে মাদ্রাসায় যদি শিক্ষা দেয়া হতো তাহলে আলেম সমাজ জাতীয় ব্যাপারে সর্বস্তরে ইসলামী নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হতেন।”
জামাতীদের গুরু গো’আযমের উক্ত বক্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং মনগড়া, কেননা সে স্বীকার করছে মাদরাসায় পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ইলম শিখানো হয়, আবার বলছে, মাদরাসা শিক্ষায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বিপ্লবী আন্দোলন হিসেবে শিখানোর ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বাইরেও পবিত্র ইসলামী শিক্ষা আছে বলে জামাতীদের বক্তব্য। তবে তার বক্তব্য হতে পরিষ্কার বুঝাও যাচ্ছে যে, ইসলামী আন্দোলনের শিক্ষা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বাইরের শিক্ষা। কেননা মাদরাসা শিক্ষায় পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কোনো অংশ বাদ দিয়ে পড়ানো হচ্ছে বলেও জামাতীরা দাবি করেনি। কিন্তু যদি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ‘বিপ্লবী আন্দোলন’ হিসেবে স্বীকার করা হয়, তবে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে বলতে হবে, ‘রাজনীতি শাস্ত্র’ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বলতে হবে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
মূলত, গো’আযমসহ সমস্ত জামাতীরাই এভাবে অসংখ্য বিষয়ই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কুফরী ও গুমরাহীতে নিমজ্জিত করেছে। অর্থাৎ ওরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ওদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।