স্বাবাধীনতার চার দশক পর ব্যাপক গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার একাত্তর সালের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধকারীদের বিচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করে। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ওরফে কসাই মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায়ে দেশব্যাপী ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের দাবিতে ব্যাপকভাবে গণআন্দোলন শুরু হয়। অন্যদিকে মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই জামাতে মওদুদী ও ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী তাদের নেতা কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আল-বাদর খুনিদেরকে বাঁচাতে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে তারা তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ব্লগ ও ফেসবুকের ‘বাঁশেরকেল্লা’ নামক পেইজ তৈরি করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য চালাতে উস্কানিমূলক ভয়ঙ্কর প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
উক্ত পেইজ থেকে যেভাবে দিক নির্দেশনা দেয়া হয় সেভাবে তারা সারা দেশব্যাপী পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মতো সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে সুযোগ বুঝে। সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী তারিখে একাত্তর সালের দীর্ঘ ৯ মাসে মানবতাবিরোধী হত্যা, লুণ্ঠন, নারীদের সম্ভ্রমহানিসহ ৫৩ ধরনের অপরাধের মামলায় মাওলানা সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুকে সন্ত্রাসী জামাত-শিবির কর্তৃক পরিচালিত ফেসবুক পেইজ ‘বাঁশেরকেল্লা’য় ঘোষণা দেয়া হয় রেললাইন দ্রুত উপড়ে ফেলাসহ ঢাকা বিচ্ছিন্ন করার। এ ঘোষণার পরই শুরু হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলে সন্ত্রাসী জামাত-শিবিরের ভয়াবহ তা-ব। গত ৫ মার্চ ২০১৩ ঈসায়ী পর্যন্ত রেলে চলে ইতিহাসের নজীরবিহীন নাশকতা। সন্ত্রাসী জামাত শিবির তাদের ছক অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়েতে অর্ধশতাধিক জায়গায় নাশকতা চালায়। মূলত, ‘বাঁশেরকেল্লা’ থেকেই এ নাশকতার পরিকল্পনা দেয়া হয়েছিল। শিগগিরই এ সাইটে আরও বড় ধরনের নাশকতার ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানা যায়।
সরকারের উচিত দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থে উস্কানিমূলক ফেসবুক ‘বাশেরকেল্লা’ পেইজকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়া।