একাত্তর সালের দীর্ঘ নয় মাসে মানবতাবিরোধী হত্যা, লুণ্ঠন, নারীদের সম্ভ্রমহানিসহ ৫৩ ধরনের অপরাধের মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং দুটি অভিযোগে জামাতে মওদুদীর সিনিয়র নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই দেইল্লা রাজাকারের অনুসারী জামাতে মওদুদী ও ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতে থাকে।
তারা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মতো সহিংসতাও চালিয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী’ ২০১৩ বৃহস্পতিবার রাতে জামাত-শিবির সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে পিটিয়ে হত্যা করেছে জামাত-শিবিরের কর্মীরা। তারা সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন এলাকায় দিনভর ইতিহাসের নজিরবিহীন সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। বিভিন্ন স্থানে রেললাইন উপড়ানো, ফিশপ্লেট খুলে ফেলে ট্রেন লাইনচ্যুত করার মতো নাশকতাও চালিয়েছে তারা। জামাত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রিকশাচালক নুরুন্নবী সাপুকেও পিটিয়ে হত্যা করে। সহিংসতায় জামাত-শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা সারা দেশে পনের জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। (সূত্র : জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহ)
এখান থেকেই স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, বর্তমানে তারা ক্ষমতায় না থেকেও যেভাবে তাদের সন্ত্রাসী নাশকতা পরিচালনা করে যাচ্ছে; তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন তারা ক্ষমতার ভাগিদার ছিল তখন কত নির্দয় পৈশাচিকভাবে যুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে নিরীহ নিরপরাধ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা থেকে শুরু সর্বস্তরের মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তা চিন্তার বিষয়! তাই বর্তমান সরকারের উচিত- সন্ত্রাসী জামায়াতে মওদুদী ও ছাত্রশিবিরের সকল রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ করা এবং নাশকতামূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদ- নিশ্চিত করা।