মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাত ধরেই মাত্র এক যুগের ব্যবধানে বিস¥য়কর উত্থান ঘটে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর। জিয়া পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতির পদ দিয়ে তার বিএনপির রাজনীতি শুরু। তার উত্থানে চট্রগ্রামের অনেক সিনিয়র বিএনপি নেতারাও হতবাক। কিভাবে তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে গেলেন তার উত্তর মেলাতে পারছেন না অনেকেই। ২০০৪-০৫ সালেও যিনি রয়েল সিমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন, সেই আসলাম চৌধুরী এক বছরের ব্যবধানে এক ডজনেরও বেশি কোম্পানির মালিক হন। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচন ঠেকাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে যেসব নাশকতা হয় এর নেপথ্যে অর্থের যোগানদাতা ছিলেন আসলাম চৌধুরী । জামাত শিবিরের অন্যতম একজন অর্থ যোগানদাতা এ আসলাম। নাশকতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪৬টি মামলা হয়, যার মধ্যে ৩৯টি মামলায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তিনি ২০০৫-০৬ সালের দিকে বিএনপির মনোনয়ন লাভের আগেই আদমজী জুটমিল ভাঙ্গার কাজ পান । এরই মধ্যে কয়েকটি রুগ্ন কারখানাও কিনে নেন তিনি। এ সময়েই তিনি চাকরি ছেড়ে ৩০টির মত প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে গড়ে তোলেন চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প পরিবার 'রাইজিং গ্রুপ অব কোম্পানিজ'। তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৭৬৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে ব্যয় করেছে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করায় দুদক তার বিরুদ্ধে মামলাও করে। একজন লায়ন দানশীল হিসাবেও তিনি তার এলাকায় ও এ সমাজে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। এ হলো দুর্ভাগ্য এ দেশের সমাজসেবী একজন লায়নের আত্নকাহিনী.....!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭