কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। সেদিন কক্সবাজারে যেয়ে মনটা ভীষণ বিষন্ন হয়ে পড়লো। সরকার সম্প্রতি কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। ২ সপ্তাহ আগে মূখ্যসচিব সহ সরকারের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা সরকারের পর্যটন, উন্নয়নের সিদ্ধান্ত/পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজার এলাকা ঘুরে এলেন। দেখলাম পুরো কক্সবাজার সরকারী অফিসের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও জমি দখলের প্রতিযোগিতা। মনটা খারাপ হলো ভূমি দস্যুদের সরকারী জমি দখল আর অপরিকল্পিতভাবে অমলিন বিশাল বিশাল অট্রালিকা গড়ে ওঠার দুঃখজনক দৃশ্য দেখে । পর্যটন নগরীতে নেই কোন ওয়াকওয়ে। চারিদিকে নোংরা-আবর্জনা, বখাটেদের উৎপাত। সবার মধ্যে যেন নিজ স্বার্থে শুধু ব্যবসা আর ব্যবসা। দেশের চিন্তা কারো নেই। বিদেশীদের আনার নেই কোন চেষ্টা বা চিন্তা ভাবনা। সরকার আর আমাদের সবাইকে এ নিয়ে ভাবতে হবে। দেশের অন্য জেলার ন্যায় জেলা প্রশাসক দিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসক শুধুমাত্র জেলার উন্নয়ন আর অফিস বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। পর্যটন উন্নয়ন নিয়ে তার চিন্তা করার সময় কোথায়? কক্সবাজারকে যদি সত্যিই আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসাবে উন্নত করতে হয় তাহলে ইপিজেড/ বেপজার ন্যায় স্বাধীন ভিন্ন কর্তৃপক্ষ দিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা করে পর্যটনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশী বিদেশী পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ভ্রমনের ব্যবস্থা আর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। নেপাল, ভূটান, ভারত পারলে ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে মুক্ত স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ পারবে না কেন? আসুন দেশকে ভালবেসে কক্সবাজারকে নিয়ে সত্যিই কিছু ভাবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯