আযানের মূল উদ্দেশ্য লোকদের কাছে ছালাতের আহবান পৌঁছানো। সেকারণে রাসূল (ছাঃ) উঁচু কণ্ঠস্বরের অধিকারী হওয়ায় বেলাল (রাঃ)-কে আযানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন (আবুদাউদ হা/৪৯৯; ইবনু মাজাহ হা/৭০৬; মিশকাত হা/৬৫০, সনদ ছহীহ)। একই উদ্দেশ্যে সেসময় মসজিদের বাইরে কোন উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়া হ’ত (আবুদাঊদ হা/৫১৯; ইরওয়া হা/২২৯)। অতএব আযানের মূল উদ্দেশ্য (অধিক মানুষের কাছে আহবান) বাস্তবায়নের জন্য মাইক ব্যবহার বিদ‘আত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
অন্যদিকে আঙ্গুলের মাধ্যমে তাসবীহ গণনার ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ এবং তাসবীহ দানা দ্বারা গণনার ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেমন তিনি বলেন, ‘তোমরা আঙ্গুলের মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা কথা বলবে’ (তিরমিযী হা/৩৫৮৩; আবুদাঊদ হা/১৫০১-০২; মিশকাত হা/২৩১৬)। একদা ইবনু মাসঊদ (রাঃ) জনৈক মহিলাকে তাসবীহ দানা দ্বারা গণনা করতে দেখে তা নিয়ে ছিঁড়ে দূরে নিক্ষেপ করেন। অতঃপর নুড়ি-পাথর দিয়ে তাসবীহ গণনাকারী জনৈক ব্যক্তিকে পা দিয়ে মৃদু আঘাত করে ধমক দিয়ে বললেন, অগ্রগামী হয়ে পড়েছ, এক অন্ধকারচ্ছন্ন বিদ‘আতে লিপ্ত হয়ে পড়েছ, না-কি মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণের চেয়ে বেশী জ্ঞানী হয়ে গেছ’? (ইবনু ওয়াযযাহ, আল-বিদ‘ঊ হা/২১; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৩-এর আলোচনা দ্রঃ)। অতএব মাইকে আযান দেওয়ার সাথে তাসবীহ গণনার তুলনা করার কোন সুযোগ নেই।
সূত্রঃ একটি ইসলামিক পত্রিকার প্রশ্নোত্তর পাতা থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৪