আপনি মুসলিম হলে একটু সময় নিয়ে, পুরো পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইল … ইসলামের কিছু অজানা ইতিহাস জানতে পাবেন গ্যারান্টি ... আমার কোথাও ভুল থাকলে তা কারেকশন করারও অনুরোধ করছি ...
প্রথম যে দিন এই খবর পড়লাম আমি মোটেই ধাক্কা খাইনি … ভাবলাম কাফের-রা এই সব কথা বলতেই পারে … বক্তার নাম দেখে একটা ছোট্ট ধাক্কা খেলাম “আবদুল গাফফার চৌধুরী” :O … ছোট্ট ধাক্কা এজন্যই যে, এই লোকটাকে আমি ভীষণ সম্মান করি … তাই ভাবলাম দুনিয়াতে কি আরও অনেক “গাফফার চৌধুরী” থাকতে পারে না … হবে সে রকম কেউ একটা ...
পরদিন বিশাল ধাক্কাটা খেলাম, যখন জানলাম এই গাফফার সেই “আবদুল গাফফার চৌধুরী” … যিনি ২১শে ফেব্রুয়ারির বাঙালির প্রাণের গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি” গানটির রচয়িতা …
খুব কষ্ট পেলাম যে, এ রকম একজন লোক এ ধরণের বক্তব্য কিভাবে দিতে পারেন … তবু মনে আশা ছিল, যে হয়তোবা কেউ ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে উনার নামে … কিনতু পরে ইউটিউবে উনার বক্তব্যের ভিডিও দেখে খুব কষ্টই পেলাম, যে রকম একটা লোককে এতকাল সম্মান দিয়ে আসলাম কেন? …
বেশি কথা বলব না … উনি অনেক কথাই বলেছেন তবে আমি শুধু উনার দু'টো কথার যুক্তি খণ্ডন করব … তার আগে আমি নিজের একটা ধারণা সবার কাছে পরিষ্কার করে দিতে চাই …
আমাদের ছোট বেলা থেকেই শেখানো হয়, বল বাচ্চারা কে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক? উত্তর: হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক … আমিও এর ব্যতিক্রম নই, আমাকেও ছোট বেলায় স্কুলে এটাই শেখানো হয়েছে ... তবে আমি এই কথাটির ঘোর বিরোধী … আসলে প্রবর্তক মানে যিনি প্রবর্তনা করেন … যিনি রচনা করেন … মহানবী (সাঃ) কি সবার আগে পৃথিবীতে ইসলাম প্রচারে আসেন? … সবার আগে উনি প্রবর্তন করেন ইসলাম? … যদি না করে থাকেন তবে, উনি কিভাবে ইসলামের প্রবর্তক হলেন! …
যুগে যুগে আল্লাহ পাক শত শত নবীকে ইসলাম প্রচারে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন … তাদের একমাত্র কাজ ছিল মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া … আর মহানবী (সাঃ)ও তার ব্যতিক্রম নন … উনাকেও একই কাজে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে … আর অন্যান্য নবী-রাসূলদের সাথে উনার পার্থক্য, ইসলাম প্রচারে উনিই ছিলেন সবচেয়ে সফল … আর যদি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে কারও নাম আসেই তবেতো সবার আগে হযরত আদম (আঃ) এর নাম আসার কথা … কেননা উনিই প্রথম নবী …
তবে অবশ্যই মহানবী (সাঃ) আর সব নবী থেকে শ্রেষ্ঠতম … আল্লাহ পাক নিজে বলেছেন “ইয়া নবী, এই সুন্দর বিশ্ব জাহান, এই সুন্দর পাহাড়, এই সুন্দর নদী এই সবই আপনার জন্য … আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তবে এই বিশ্ব জাহানই সৃষ্টি করতাম না” (সুবহানাল্লাহ) …
এতেই বুঝা যায়, যে উনি কতটা স্পেশ্যাল … উনি সেরার চেয়েও সেরা কিনতু উনি ইসলামের প্রবর্তক কথাটি ভুল শিক্ষা … কারণ পৃথিবীতে ইসলাম উনিই প্রথম নিয়ে আসেননি … উনারও আগে যুগে যুগে হযরত দাউদ (আঃ), হযরত ইসমাইল (আঃ), হযরত ইব্রাহীম (আঃ) থেকে শুরু করে মহানবী (সাঃ) সবাই ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন …
এই কথাগুলো কেন টানলাম আমার পুরো পোস্ট পড়লেই বুঝা যাবে … আসলে ওই যে ছোট বেলা থেকেই আমাদের একটা ভুল শিক্ষা দেয়া হয় “হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক” অর্থাৎ উনিই প্রথম ইসলাম নিয়ে আসেন আমাদের মাঝে ... এই ভুল শিক্ষাই গাফফারের মত ধর্ম জ্ঞান স্বল্প মানুষ গুলোর পাগলের প্রলাপের কারণ …
গাফফার চৌধুরী বলেছেন “আল্লাহর যে ৯৯টি প্রশংসাসূচক নাম তা কিন্তু ইসলাম ধর্ম আসার আগেই প্রচলিত ছিল … এগুলো কাফেরদের নাম থেকেই ইসলামে এসেছে … তিনি আরও বলেন, ইসলামে প্রচলিত নাম যেমনঃ আবু বকর শব্দের অর্থ- ছাগলের পিতা ... আবু হোরায়রা অর্থ বিড়ালের থাবা … এগুলো আসলে কাফেরদের নাম … পরে সেগুলো মহানবী (সাঃ) এর যুগে ইসলামে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে”
চৌধুরী সাহেব এখানেই ভুলটা করলেন … আরে গর্দভ চৌধুরী শুনেন, মহানবী (সাঃ) এর জন্মের অনেক আগেই ইসলাম এসেছে এই দুনিয়াতে … লক্ষ কোটি বছর আগেই ইসলাম ছিল ... কিনতু উনি আসার আগে আগের নবীদের শিক্ষা মানুষ ভুলে গিয়েছিল … আর উনার নিজেরো-তো জন্মই হয়েছিল আইয়্যামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে ... উনার জন্মের আগেই কোন মানুষের নাম রহিম, কুদ্দুস, সালাম, রাহমান থাকা কোন অযৌক্তিক ব্যাপার নাতো … ঠিক তেমনি আল্লাহর নামে নামান্বিত এই লোক গুলো কাফের হওয়াও মোটেই অযৌক্তিক নয় ...
কেননা ইসলাম আগেই ছিল, যার কারণে এই নাম গুলোও আগে থেকেই ছিল … আমাদের নবীজী (সাঃ) শুধুই ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করেন এই যা … এই নাম গুলো আগে থেকে থাকার মানে এই নয় যে, আমাদের নবীজী (সাঃ) কাফেরদের এই নামগুলো আল্লাহ পাকের প্রশংসা মূলক নাম বানিয়ে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ) …
আমাদের গাফফার সাহেব ভেবেছেন যেহেতু মহানবী (সাঃ) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক … যেহেতু উনার আগে হয়তো ইসলাম ছিল না … আর উনার জন্মের বহু আগেই যেহেতু বহু কাফেরদের নাম ছিল সেই সব নাম, যা আল্লাহ পাকের নাম ... তাই কাফেরদের নামগুলোকেই আমাদের নবীজী (সাঃ) আল্লাহ পাকের নাম বানিয়ে প্রচার করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)...
বর্তমান যুগেও অনেক এমন দেশীয় নাস্তিককে ইসলাম, আল- কুরআন ও নবীজীর (সাঃ) এর নামে বাজে কথা লিখতে দেখি বিভিন্ন ব্লগে … সেই সব নাস্তিক গুলোর নামের কিছু উদাহরণ: মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, আব্দুর রাজ্জাক, ইউনুস খান, ফজলে রাব্বি ইব্রাহীম ... এই রকম নবী-রাসূল ও আল্লাহ পাকের নামে নাম …
অথচ এই লোক গুলা ইসলাম নিয়ে যা তা বলা ছাড়াও অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল পর্যন্ত করেন … তাই বলে কি সালাম, রাজ্জাক, ইউনুস, ইব্রাহীম এই নাম গুলো কাফেরদের প্রোপার্টি হয়ে গেল ?? …
আর এই নাস্তিক লোক গুলোর নামই বা কেন ইসলামী নাম? … কারণ তাদের বাপ-দাদা আস্তিক ছিলেন, তাই এমন নাম রেখে গেছেন … খেয়াল করেন এই “আবদুল গাফফার চৌধুরী”র নামের “আবদুল গাফফার” অংশটুকুও কিনতু ইসলামী নাম ...
ঠিক তেমনি মহানবী (সাঃ) এর জন্মের অনেক আগেও সালাম, রাজ্জাক, ইউনুস, ইব্রাহীম নামের অনেক কাফের মূর্তি পূজা করে থাকার মানে এই নয় যে, কাফেরদের নাম থেকে আল্লাহর নাম এসেছে … এই কাফেরদের পূর্ব পুরুষরা মুসলিম ছিলেন, শত বছর পরে বংশ পম্পরায় তাদের মাঝ থেকে ইসলাম হারিয়ে গেলেও নাম রাখার এই ধারা তাদের মাঝে রয়ে যায় …
তাই মহানবী(সাঃ) এর যুগে বা উনার যুগের আগে অনেক কাফেরদের নামই ছিল ইসলামিক নাম ... গাফফার সাহেবের ভুল বক্তব্য আসলে আমাদের ভুল শিক্ষার কুফল ছাড়া আর কিছু নয় … ঐ যে ছোট বেলা থেকেই শিখছি “ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)” …
আল্লাহ পাকের নাম নিয়ে এই সব প্রলাপ বকার পরের দিন … উনি ফাটালেন আরেক বোমা … “ইসলামে প্রচলিত হজ্বও মুসলমানদের হজ্ব নয় … এটা কাফেরদের থেকেই এসেছে ...” চৌধুরী সাহেব আবারও ভুল করলেন … যুক্তি দিয়ে বুঝাই …
মহানবী (সাঃ) আসারও ও হাজার বছর আগে … আল্লাহ পাকের নির্দেশে হজরত ইব্রাহীম (আঃ) কাবা ঘর নির্মাণ করেন … মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন … আল্লাহ পাকের দেয়া শিক্ষা অনুযায়ীই তিনি মানুষকে কাবা ঘর তাওয়াফ করা, হজ্ব পালন করার যাবতীয় নিয়ম কানুন শিখিয়ে যান …
মানুষ ধীরে ধীরে সব ভুলে যায় … হজ্ব করার নিয়মও পালটে ফেলে … নানা বিকৃত ভাবে নিজেদের সিস্টেমে হজ্ব পালন শুরু করে … অবস্থা আরও খারাপের দিকে আসলে মানুষ আল্লাহর নাম প্রায় ভুলে যায় … এমনকি আমরা সবাই জানি কাবা ঘরের ভেতরে কাফের-রা ৩৬০ টি মূর্তি রাখে … কাবা শরীফ পরিণত হয় কাফেরদের মন্দিরে … সেখানে তারা মূর্তি পূজা করত …
আমরা সবাই জানি ইসলামে চাঁদের ক্রিসেন্ট রূপ অনেক তাৎপর্য রাখে … যেমনঃ ঈদ, রোযা, মুহররম থেকে শুরু করে ইসলামের সব অনুষ্ঠান চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল … তবে এই চাঁদ দেখা হয় ইসলামী মাসের প্রথম দিন … যেদিন চাঁদের আকৃতি থাকে ক্রিসেন্টের মত …
তো সেই আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগে, কাফেররা সেই ক্রিসেন্ট পূজা শুরু করে ... কাবা ঘরে রাখা সেই ৩৬০ টি দেব-দেবীর মূর্তির মাঝে এক দেব ছিল যার নাম “হুবাল” … তাঁর প্রতীক ছিল কাস্তে আকৃতির নতুন চাঁদ, যাকে আমরা ক্রিসেন্ট বলে থাকি … কাফেররা মনে করত এই হুবাল মানুষের রক্ত খুব পছন্দ করে ...
তাই হুবালকে খুশি করতে তারা নর বলি দিত … ইসলাম প্রতিষ্ঠার শুরুর সময় বদর যুদ্ধের আগ মুহুর্তে আবু সুফিয়ান যখন গলা ফাটিয়ে বলছিল: হে হুবাল তুমিই শ্রেষ্ঠ, তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সাহাবীদের নিয়ে আরও উচ্চস্বরে বলেছিলেন: আল্লাহ শ্রেষ্ঠতম … বুঝতেই পারছেন যে, নবীজি (সাঃ) আসার আগে কাবা ঘরের ভেতরে কতটা পাপ শুরু হয়েছিল …
হুবালের প্রসঙ্গ এজন্যই টানলাম যে … কাফেররা যাকে পূজা করত সেই হুবালের প্রতীক ছিল ক্রিসেন্ট … তার মানে এই নয় যে, ইসলামে চাঁদ দেখার ধারা কাল্পনিক দেব “হুবাল” প্রেম থেকে এসেছে ...
কাফেররা যেহেতু হযরত ইব্রাহিম(আঃ) প্রচলিত হজ্বকেই বিকৃত করে পূজার রূপ দিয়েছিল … তাই হজ্বের অনেক করণীয়ও সেই পূজার ভেতর ছিল … যেমনঃ সাফা-মারওয়া পর্বতে দৌড়ানো বা কাবা ঘর তাওয়াফ করা …
কারণ মনে রাখতে হবে, বিকৃত করা মানে পুরোপুরি রিপ্লেস করা বুঝায় না … বিকৃত করা মানে মূল জিনিসের মাঝে কিছু কিছু নতুন সিস্টেম ঢুকিয়ে দেয়া … আর মূল জিনিসটার অনেক সিস্টেম আংশিক বা পুরোপুরি বদলে ফেলা … এটাই বিকৃতি ... আর কাফেররা সেটাই করেছিল …
মহানবী (সাঃ) এসে আল্লাহর নির্দেশে সবার আগে কাবা ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে সেই ৩৬০ টা মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন … হজ্বের মূল নিয়ম আবার ফিরিয়ে আনেন যা এখন পর্যন্ত অবিকৃত আছে …
এ কারণেই কাফেররা ভাবে, আরে আগে পূজারিরা কাবা ঘরে যেভাবে পূজো করতো … তার অনেক সিস্টেম দেখি হজ্বের মাঝেও আছে ? … তার মানে হজ্ব সেই সব কাফেরদের পূজা থেকে ইন্সপায়ার্ড একটা প্রক্রিয়া … একই ভুল ধারণা চৌধুরী সাহেবও করলেন …
জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের সেই ইফতার পার্টিতে উনি দেশ প্রেম নিয়েও অনেক কথা বলেছেন … যেমনঃ আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ চেয়েছিলাম … যে দেশে সব মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা থাকবে … তিনি বললেন, অনেক প্রতীকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে ... বাংলা ভাষার বিবর্তনের বিশদ বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি হাজার বছরের পুরনো ... কিন্তু আমাদের জাতিসত্তার পরিচয় এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ... জাতির জনকের কারণেই এই জাতিকে চিনেছে বিশ্ববাসী …
আরও অনেক কথাই বলেছেন … “আবদুল গাফফার চৌধুরী” একজন শতভাগ আওয়ামী পন্থী ব্যক্তি তা আগে থেকেই জানি … এতে আমার কোন সমস্যা নেই … আর নিজের ব্যাপারে আমি বলব আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বা জামাতি কোনটাকেই পছন্দ করি না … সেটা অন্য ফ্যাক্ট … এটা বলে নিলাম, নইলে অনেকে ভেবে বসতে পারেন আমি আওয়ামী বিরোধী … তাই আমাকে আওয়ামী বিরোধী ভাবার কোন কারণ নাই …
উনি সেদিন নবী-রাসূল ও আল্লাহ পাকের নামে নানা খিস্তি খেউর করলেন আর উনার বক্তব্য শুনে মনে হল উনি আওয়ামীলীগকে, রবীন্দ্রনাথকে ইসলামের উপরে রেখেছেন … যা সত্যি হাস্যকর …
আর উনার দেশ প্রেম নিয়ে বক্তব্যের ব্যাপারে বলব, চৌধুরী সাহেব … দেশ প্রেম মানে নিজের দেশ ছেড়ে ইউরোপ – আমেরিকায় থাকা নয় … দেশ প্রেম মানে দেশ ছেড়ে বছরের পর বছর নিউইয়র্কে বসে বসে, দেশ নিয়ে বড় বড় বক্তব্য দেয়া নয় … দেশ প্রেম মানে শত প্রতিকূলতার মাঝেও মাটি কামড়ে দেশে পড়ে থাকা … ওটাই দেশ প্রেম … এত দেশ প্রেম থাকলে দেশে ফিরে আসুন ...
নাস্তিক হওয়া মানে এই নয়, অন্যের কাছে সম্মানিত কাউকে আপনি গালাগালি করার অধিকারটা জয় করে বসে আছেন … আর ধর্ম পালন মানে অন্যের ধর্ম নিয়ে গালাগালি করা নয় … আমি মুসলিম তার মানে এই নয় মা দুর্গা, মা কালি বা নীল কণ্ঠের শিবকে নিয়ে গালাগাল করব … আমি তাদেরও সম্মান করি … কেননা আমি জানি আমার হিন্দু বন্ধুটির কাছে এরা পবিত্র, এরা সম্মানিত … আমি এদের পূজো করি না … কিনতু আমার অন্য ধর্মের বন্ধুটির বিশ্বাসটাকে সম্মান দিতে জানি … ইসলাম আমাকে সেটাই শিক্ষা দেয় ...
আমি অনেক ছোট মানুষ … আমার চেয়ে আবদুল গাফফার চৌধুরীর জ্ঞানের পরিধি নিঃসন্দেহে অনেক বড় … আমি হয়তোবা উনার সামনে কিছুই না … দেশের বাইরে যাবার অনেক সুযোগ ছিল আমার … ভবিষ্যতেও আরও আসবে … চাইলে আমিও আরও ২ বছর আগেই চাকুরী নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সেটেলড হতে পারতাম, ছোট-খাট একটা পার্মানেন্ট জব অফার ছিল আমার ...
তার পরেও লোডশেডিং, হরতাল, ট্রাফিক জ্যাম, জলা বদ্ধতার এই দেশে পড়ে আছি … গ্রেপস আর সাওয়ার বলে নয় … দেশকে ভালবাসি তাই … আমি বুকে হাত দিয়ে বলতেই পারি আমার দেশ প্রেম “আবদুল গাফফার চৌধুরী” থেকেও অনেক বেশি ... কারণ আমি উনার মত পরগাছার জীবন বাঁচতেছি না ... “এই দেশেতেই জন্ম আমার, এই দেশেতেই মরণ” ...
বিঃদ্রঃ গাফফার চৌধুরীর ইসলাম নিয়ে এই সব কুকথা বলার পর অনেকে তার স্বপক্ষে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে … উনি বলেছেন এক রকম আর মিডিয়া প্রচার করছে ভিন্ন রকম … ইউটিউবে গেলেই দেখবেন কোনটা সত্য … আমি একটা ছোট্ট লিঙ্ক দিলাম https://goo.gl/2vvsdQ … ইউটিউবে পুরো বক্তব্য পাবেন সার্চ দিলেই ..
ফেসবুকে আমি : https://goo.gl/NJFsPu