মাত্র কয়েকদিন আগে আমি ভাস্কর্য না সরানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলাম ভাস্কর্যের রাজনীতি নামক পোস্টে। সেখানে হেফাজতের রং পলিসির সমালোচনা করেছিলাম বলে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ভাস্কর্যটি অপসারন করে আনেক্স বিল্ডিঙের সামনে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। হেফাজত ক্যান সবাই বুঝেছে তাতে যে লাউ সেই কদু হয়েছে।
তবে সুলতানা কামালের বক্তব্যে হতাশ হয়েছি। নিউজ ২৪ টকশোতে বলেছেন “ভাস্কর্য না থাকলে মসজিদও থাকার দরকার নেই, এটিও অপসারণ করা হোক” যা একটি “অগ্রাধিকার ধারণার” বিষয়টিকে অস্বীকার করা হয়। কোর্টের মসজিদে মানুষ প্রার্থনা করে থাকেন। অন্যদিকে এ ভাস্কর্যের কেউ পূজা করে না সেখানে। সুতরাং ভাস্কর্য না রাখলে মসজিদও থাকবে না দাবিটা খুব যৌক্তিক মনে হচ্ছে কি? যদি ভাস্কর্যটি মূর্তি হিসেবে প্রার্থনার কাজে হয়ে থাকে, আমি বলি সেটি কোর্টের পাশে কোন মন্দির স্থাপন করে রাখা হোক। আপানারা বলেছেন সেটি স্রেফ ভাস্কর্য। ন্যায়বিচারের প্রতীক হেসেবে সুপ্রিম কোর্টে স্থাপন করা হয়েছে। সো, দেয়ার ইজ নো স্কোপ অব হাংকি পাংকি নাও।
বিশিষ্ট নাগরিক সুলতানা কামালের ভিন্ন মতাদর্শ বা চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে কিন্তু এমন কথা বলার নৈতিক অবস্থান দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এ রকম উল্টা পাল্টা কথা বললে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ রাস্তায় নামে। বাইরের বিশ্ব নাম দেয় জঙ্গি। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এরকম কথা এইসব বিশিষ্ট জনরা ক্যান বলেন বোধগম্য হয় না। কোন ধর্ম নিয়ে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্কিত কথা না বলাই হোক আমাদের ধর্ম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭