অসাধারণ দুটো চোখের মালিক সে, কপালের একপাশ ঢেকে থাকে তার সোজা সাপ্টা লম্বা চুলে,অদ্ভুদ সুন্দর তার চোখের ভ্রু গুলো,হাসলে গালের বাম পাশে টোল পড়ে,ছেলেদের এই একটা বিষয় আমাকে পাগল করে দেয়। বাতাসে যখন কপালের চুল সরে মনে হয় আস্ত একটা পৃথিবী বেড়িয়ে আসলো।কাজে যাওয়ার পথে প্রায় দেখা হয় তার সাথে, আজ প্রায় মাস পাঁচেক হলো তাকে আমি দেখে আসছি, কোন বাঙ্গালী ছেলে এতটা ব্যক্তিত্ব নিয়ে থাকে এই প্রথম দেখা।আমি নিজেই প্রচুর কথা বলি,কিন্তু কোনো ছেলের বেশি কথা বলা ভালো লাগেনা,তার নীরবতায় আমার ভিতরটা আরো বেশি সরব হয়ে উঠে।তার হাতের বইটা দেখে বুঝতে পারি সে বাঙালী।খুব পরিচিত হতে ইচ্ছে করে তার সাথে,একদিন পথ ভোলার ভান করে তার কাছে ঠিকানা জানতে চেয়েছিলাম,এত সুন্দর করে পথ চিনিয়ে দিলো মনে হয়েছিলো সারা জীবন পথ ভুল করে যাই তার থেকে পথ চেনার জন্য।একটি বারের জন্য জানতে চাইলোনা আমি কোন দেশী কোথা থাকি।
প্রতিদিন রেডি হয়ে জানালা দিয়ে উকি দেই,তার কাজে যাও্য়ার সময়টার সাথে আমার বের হবার ক্ষন মিলানোর জন্য।মাঝে মাঝে নিজেকে খুব বেহায়ায়া মনে হয়।
আজকে তার পিছু নিয়েছি,হেটে পারিনা লোকটার সাথে ,তার লম্বা লম্বা পায়ের সাথে তাল মেলানো খুব কষ্টের।তার পাশাপাশি এসে সময় জানতে গেলে মোবাইলে সময় দেখে এক শব্দে জবাব।এরপর নিরবে হেটে চললো কোনদিকে না তাকিয়ে,কি বিচ্ছিরি ব্যপার,নিজেকে খুব ছোট মনে হলো,মোবাইলতো আমারও আছে,আমিতো সেখানেও সময় দেখতে পারতাম,কি ভাবছে আমাকে ছেলেটা কে জানে,উফ মাঝে মাঝে কি যে বোকামী করে বসি আমি,নিজের উপর নিজেই বিরক্ত হলাম,ইচ্ছে করে হাটার গতি কমিয়ে তার পিছে পড়ে গেলাম।
........................
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৩