জ্যামিতির ক্রমবিকাশ ও ইউক্লিডের এলিমেন্ট
লক্ষ লক্ষ বছরের জ্ঞানের সংগ্রামের ইতিহাসে জ্যামিতি হলো মানুষের চিন্তার দ্বিতীয় পর্যায়- তাও ২৬শত বছর আগের কথা। জ্যামিতি জন্ম দিয়েছিল বিশুদ্ধ চিন্তার। জ্যামিতি শক্তিশালী করেছিল বিজ্ঞানকে, সহায়তা করেছিল একেশ্বরবাদকেও। কিন্তু কি আশ্চর্য, এই বিশুদ্ধ চিন্তার ফলে বিজ্ঞানের সূবর্ণ অগ্রযাত্রাকে সে থামিয়েও দিয়েছিল, তাকে ব্যবহার করা হয়েছিল অধিবিদ্যার হাতিয়ার হিসেবে। আসলে জ্যামিতি তথা গণিত ও বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য কি? গাণিতিক সিদ্ধান্ত কি কোন কিছুর সত্যাসত্য নির্ণয় করে? আরোহী ও অবরোহী পদ্ধতি কি?
ইত্যাদি নিয়ে জ্যামিতির ক্রমবিকাশ ও ইউক্লিডের এলিমেন্ট শিরোনামে ডিসকাশন প্রজেক্ট এর এই বক্তৃতাটি। আপনিও এই আলোচনায় অঙশগ্রহণ করতে পারেন
আজ থেকে ২০ বছর আগে ১৯৯২সালের ১৯ মে এই প্রশ্নগুলোরমধ্যে দিয়ে ডিসকাশন প্রজেক্ট যাত্রা শুরু করে। ডিসকাশন প্রজেক্ট এর বিজ্ঞান বক্তৃতায় এ পর্যন্ত যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সবার প্রতি ডিসকাশন প্রজেক্ট এর পক্ষ থেকে রইল শুভেচ্ছা। বিজ্ঞান অন্ধকারের প্রদীপ। চলুন এ প্রদীপকে এগিয়ে নিয়ে যাই
ডিসকাশন প্রজেক্টের ২০ বছর পূর্তি
নিজেকে ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে একুশে পা
বিজ্ঞানের সুসমাচার সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে ডিসকাশন প্রজেক্ট। ১৯ মে এই সংগঠনের পথচলার দুই দশক পূর্তি হলো। সংগঠনের সদস্য এবং শুভাকাঙ্খী সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।
২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৯ মে নারায়নগঞ্জে এক প্রীতি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ডিসকাশন প্রজেক্ট। এই নারায়নগঞ্জেই ১৯৯২ সালের ১৯ মে 'জ্ঞানই আমাদের গন্তব্য' মেনে যাত্রা শুরু করেছিল এই সংগঠন। বাংলাদেশর পেশাদার বিজ্ঞানবক্তা আসিফের সঙ্গে বিজ্ঞানমনস্ক ও বিজ্ঞানপ্রেমী তরুণরা এগিয়ে এসেছিলেন জ্ঞানের আলোয় সমাজকে আলোকিত করার লক্ষ্যে। পুরনো সেই সব দিনের স্মৃতিচারণায় আবেগঘন হয়ে উঠেছিল নারানগঞ্জের বোস কেবিনের আড্ডা। বিজ্ঞান দিয়ে সমাজ বদলে দেওয়ার অঙ্গীকার ছিল বিজ্ঞানকর্মীদের বক্তব্যে। আসছে দিনগুলোয় কী কী উদ্যোগ নেওয়া হবে তারও একটা খসড়া খাতা খোলা হলো এই আলোচনা সভায়। নিয়মিত বিজ্ঞান বক্তৃতার আয়োজন, বিজ্ঞান ভ্রমণ, বিজ্ঞান মেলা এরকম আরও অনেক আয়োজন করবে ডিসকাশন প্রজেক্ট। নিজের উন্নয়নই তো দেশমাতার উন্নয়নের প্রথম ও প্রধান ধাপ। তাই নিজেকে ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে একুশে পা দিল আগামীর ডিসকাশন প্রজেক্ট।