১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোনের প্রভাব আমাদের চলচিত্রে লক্ষনিয়। অনেকটা পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ করেই নাট্য পরিচালক আব্দুল জব্বার খান " মুখ ও মুখোশ " তৈরী করেছিলেন। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ থেকেই অনেক ঝুট-ঝামেলা পেরিয়ে এই ছবি আন্ত-প্রকাশ করে।আর এরপর থেকেই একেরপর এক চলচিত্র আসতে থাকে। এর অনুপ্রেরনায় অনেকে মিডিয়ায় ঝাপিয়ে পরে। ইন্ডাস্ট্রি সচল হয়। এই সুত্র ধরে একে একে মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালে এ জে কারদারের জাগো হুয়া সাভেরা, ফতেহ লোহানীর আকাশ আর মাটি, মহীউদ্দিনের মাটির পাহাড় ও এহতেশামের এদেশ তোমার আমার। সুস্থ ধারার এই চলচিত্রগুলো মানুষ বেশ ভালোভাবেই গ্রহন করে। ব্যবসায়িক সাফল্যও পায়। এতে উৎসাহ আরও বেড়ে যায়, ফলাফলে আমরা পাই,১৯৬০ সালে এহতেশামের রাজধানীর বুকে, ফতেহ লোহানীর আসিয়া, ১৯৬১ সালে যে নদী মরু পথে (সালাহউদ্দিন), হারানো দিন (মুস্তাফিজ), তোমার আমার (মহীউদ্দিন) ও জহির রায়হানের কখনো আসেনি এর মতো আরও কিছু অসাধারন চলচিত্র। কিন্তু ততকালিন সমাজ ব্যবস্থা এবং আরও নানারকম সমস্যামান পরিস্থিতির মুখে এই চলচিত্রগুলো ব্যবসাহিক সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এটা আমার ইন্ডাস্ট্রি প্রথম পতন। বানিজ্যের আশায় পরিচালকরা উর্দু ছবি বানাতে ঝুকে পরলেন।ফলস্বরুপ ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ১৬ টি ছবির ভিতরে ৯ টি ছিল উর্দু ছবি। সেগুলোর ব্যবসায়িক সাফল্যও ছিল ভালো। এই অবস্থায় এসে মুখ ও মুখোশ দিয়ে পাকিস্তানকে ছুড়ে দেওয়া আমাদের চ্যলেঞ্জে আমরাই ক্রমশ হারার পথে।
কিন্তু আমরা হারিনি। ইন্ডাষ্ট্রির ওই পতন থেকে আমরা উঠে আসি। আর সেটা সম্ভব হয় লোকজ কল্প কাহিনি/ফোক ফ্যান্টাসি ভিত্তি করে চলচিত্র নির্মানে। ফোক ফ্যান্টাসি ছবিগুলো দর্শক গোগ্রাসে গিলতে লাগলো। একটার পর একটা ছবি ব্যপক বানিজ্য করতে লাগলো। পরিচালক,শিল্পী সকলে এই জেনারের ছবিতে আগ্রহী হয়ে পরলেন। ফলস্বরুপ আমরা পেলাম অন্তত্য অসাধারন প্রচুর পরিমান ফোক ফান্টাসি ছবি।
হিন্দিতে এবং কোলকাতায় কিছু ফোক-ফান্টাসি হয়। কিন্তু বলা বাহুলত নাগ নাগিনি এবং সেইসব ফোক ফান্টাসিগুলোর জনক বাংলাদেশ।
ফোক ফ্যান্টাসি বা লোকজ কল্প কাহিনিঃ
ফোক ফ্যান্টাসি বলতে সাধারনত গ্রাম্য প্রেমকাহিনি,রুপকথা,গ্রাম্য বীরগাথা,সুন্দরিদের আন্তজীবনি,রাজা-বাদশাদের শাসনামল, কৃষকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আগন্তুকদের ত্রান্তিকাল,নাগ-নাগিনির প্রেম ইত্যাদি গল্পের উপরে ভিত্তি করে যে চলচিত্রগুলো নির্মিত হয় সেগুলোকে বুঝায়। মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক ভাবে এই ছবিগুলোর প্রভাব নেতীবাচক হলেও এর দ্বারা মানুষের বিনোদনের মাত্রা ছিল উচ্চপদস্থ।এই ছবিগুলো দ্বারা সকল প্রকার দর্শক টারগেট করা সম্ভব হয় এবং মানুষ প্রচন্ড হলমুখি হয়ে পরে। ছবি দেখা মানুষের একটা স্বভাবে পরিনত হয়। সকল প্রকারের দর্শক এগুলোকে খুব ভালোভাবে গ্রহন করেছিল। অবস্থা এমতাবস্তায় ছিল যে ফোক ফান্টাসি ছাড়া ছবি বানানো রিক্স হয়ে পরে। তা হোক, ফোক ফ্যান্টাসির সাথে পাল্লা দিয়েও প্রচুর ফিল্ম হয়েছে। তার ইতরে সামাজিক-একশ্যন জেনারটা উল্লেখ করার মতো। কিন্তু বাজার ধরে রাখা এবং মানুষকে হলমুখি করায় ফোক ফান্টাসির কোনো তুনলা নেই। ফলাফলে আজকে বাংলা চলচিত্রের স্বার্থক যে ডেটাবেজ আর একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ফোক-ফ্যান্টাসি।
আমার ইন্ডাষ্ট্রির প্রথম ভাঙ্গন থেকে উন্থান করার মূল ছিল ফোক-ফ্যান্টাসি ছবিগুলো। যার শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে পরিচালক সালাহ উদ্দিন নির্মিত "রূপবা্নের" মাধ্যমে। রুপবান এদেশের সবথেকে পরিচিত লোকজ কাহিনি। গানে গানে এই কাহিনি মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় ছিল। কিন্তু মানুষ যখন এটাকে ছায়াপর্দায় চলন্ত অবস্থায় দেখলো,নিজের কল্পনার সাথে মিলিয়ে এটাকে অনুধাবন করলো,তখন কি অবস্থাটাই হলো,একবার ভাবুন ?
এর পরের বছর "আবার বনবাসে রূপবান" নামে এই চলচিত্রের সিক্যুয়েল তৈরী করেন ইবনে মিজান। এটাও ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। ইবনে মিজান একের পর এক বানাতে শুরু করলেন, বাংলা চলচিত্র অঙ্গনে ফোক-ফান্টাসি নির্মানে যত পরিচালক আছে তারা সকল ইবনে মিজানের কাছে শিশ।তার মতো এত সুন্দর কাহিনি নির্বাচন এবং এতো অসাধারন করে ছবি তৈরী করা ঐসময়ে প্রায় অস্মভব ছিল। তিনি তার প্রতিটি ছবিকে একটা নতুন আঙ্গিকে নির্মান করতেন। নিজের সাথে নিজের এই চ্যানেঞ্জে তিনি অনেক গল্প বলার ভঙ্গি সৃষ্টি করেছেন যারা পরবর্তিতে অনেকেই ফলো করেছেন। তার প্রতিটি ছবিতেই ছিল একটা নতুন কিছু যারা দেখার জন্য দর্শক উদ্গ্রীব হয়ে থাকতো। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েকজন পরিচালকের নাম দেখে ছবি চলতো তার মধ্যে সবথেকে সেরা হলে ইবনে মিজান।
আবার বনবাসে রূপবান পরেও কিছু ফোক-ফান্টাসি আসা শুরু করলো।
১৯৬৬ সালে সফর আলী ভুইয়া নির্মাণ করেন রহিম বাদশা ও রূপবান,
সালাহউদ্দিন রূপবানের উর্দু ভার্সান নির্মাণ করেন।
একই বছর নজরুল ইসলাম আপন দুলাল,
ইবনে মিজান জরিনা সুন্দরী,
সৈয়দ আউয়াল গুনাই বিবি,
আলি মনসুর মহুয়া চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
রূপবান ছবির অর্থনৈতিক সাফল্যের কারণে পরবর্তীতে ফোক ও ফোক ফ্যান্টাসি ধারার চলচ্চিত্র এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে একটি স্বকীয় জায়গা করে নিতে সমর্থ হয়েছে এবং এই ধারা সুদুরেও বহমান ছিল।
ইবনে মিজান,আজিজুর রহমান,এফ কবীর ,অশোক ঘোষ, আজিজ মেহের, দারাশিকো এর হাত ধরে একের পর এক আসতে থাকা অসাধারন সব ফোক-ফান্টাসি।
এই ধারা বহমান থাকে তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত বেদের মেয়ে জোছনা পর্যন্ত। এই ছবিতে অভিনয় করেন,ইলিয়াস কাঞ্চন এনং অন্তু ঘোষ। এটা উপমহাদেশীয় সবথেকে সেরা ব্যনিজ্যিক চলচিত্রের একটা। ওই সময় এটা ছিল একটা নিউক্লিয়ার বোম্বের মতো এবং এর সাফল্য ছিল তাক লাগিয়ে দেওয়া। এর পরেও ফোক-ফান্টাসি হয়েছে। কিন্তু দিনে দিনে তার প্রসার কমতে থাকে। বর্তমানে ফোক-ফ্যান্টাসি হয়না বললেই চলে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ফোক ও ফোক ফ্যান্টাসি ধারার সাল অনুসারে সেরা ১০০ টি চলচ্চিত্রঃ
আজিজুর রহমানের মধুমালা (১৯৬৮),
দিলীপ সোমের সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮),
খান আতাউর রহমানের অরুণ বরুণ কিরণ মালা (১৯৬৮),
ই আর খানের রূপবানের রূপ কথা (১৯৬৮),
মহিউদ্দিনের গাজী কালু চম্পাবতী (১৯৬৮),
ইবনে মিজানের পাতাল পুরীর রাজকন্যা (১৯৬৯),
নুরুল হক বাচ্চুর বেদের মেয়ে (১৯৬৯),
ফাল্গুনী গোষ্ঠির মলুয়া (১৯৬৯),
ইবনে মিজানের আমির সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী (১৯৭০),
শহীদুল আমিনের রাজকুমারী চন্দ্রবান (১৯৭০),
মঞ্জুর হোসেনের মণিমালা (১৯৭০),
বশীর হোসেনের রাজ মুকুট, (১৯৭০)
শেখ আনোয়ারের সতী নারী (১৯৭৩),
রূপ সনাতনের দয়াল মুর্শিদ (১৯৭৩),
প্রমোদকার (খান আতার ছদ্মনাম) এর সুজন সখী (১৯৭৪),
মহসিনের রাজার হলো সাজা (১৯৭৬),
সফদর আলী ভূইয়ার কাজল রেখা, (১৯৭৬),
আজিজুর রহমানের শাপ মুক্তি (১৯৭৬),
এফ এ বিনুর রাজরানী, (১৯৭৬)
ইবনে মিজানের বাহাদুর (১৯৭৬),
অশোক ঘোষের মতি মহল (১৯৭৭),
ইবনে মিজানের নিশান (১৯৭৭),
কামাল আহমেদের দাতা হাতেম তাই (১৯৭৭),
শফি বিক্রমপুরীর রাজ দুলারী (১৯৭৮),
ইবনে মিজানের শাহজাদা (১৯৭৮),
অশোক ঘোষের তুফান (১৯৭৮),
স্বপন সাহার মেহের বানু (১৯৭৮),
দারাশিকোর ফকির মজনুশাহ (১৯৭৮),
এফ কবির চৌধুরীর রাজমহল (১৯৭৯),
ফয়েজ চৌধুরীর বিজয়িনী সোনাভান (১৯৭৯),
শহীদুল আমিনের রাজকুমারী চন্দ্রবান (১৯৭৯),
আজিজুর রহমানের সাম্পান ওয়ালা (১৯৭৯),
আলমগীর কুমকুমের রাজবন্দী (১৯৭৯),
শহীদুল আমিনের রূপের রানী চোরের রাজা (১৯৭৯),
ইশতিয়াকের চন্দ্রলেখা (১৯৮০),
ফখরুল হাসান বৈরাগীর লুটেরা (১৯৮০),
এফ কবির চৌধুরীর রাজ নন্দিনী (১৯৮০),
ইবনে মিজানের তাজ ও তলোয়ার (১৯৮০),
ইবনে মিজানের জংলী রানী (১৯৮০)
এফ কবির চৌধুরীর রাজকন্যা (১৯৮০),
দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ওমর শরীফ (১৯৮০),
ফখরুল হাসান বৈরাগীর শাহী দরবার (১৯৮০),
এফ কবির চৌধুরীর আলিফ লায়লা (১৯৮০),
শেখ নজরুল ইসলামের নাগিন,
দিলীপ বিশ্বাসের আনার কলি (১৯৮০),
শহীদুল আমিনের শাহজাদী গুলবাহার, (১৯৮০),
অশোক ঘোষের নবাবজাদী, (১৯৮০),
এফ কবির চৌধুরীর সুলতানা ডাকু (১৯৮০),
অশোক ঘোষের বাদল (১৯৮১),
ইবনে মিজানের রাজ নর্তকী (১৯৮১),
আজিজ মেহেরের আকাশপরী (১৯৮১),
ফয়েজ চৌধুরীর আলতা বানু (১৯৮২),
নাজমুল হুদা মিন্টুর মধু মালতী, (১৯৮২),
শামসুদ্দিন টগরের যুবরাজ, (১৯৮২),
এফ কবীর চৌধুরীর সওদাগর, (১৯৮২),
এফ কবীর চৌধুরীর রাজসিংহাসন. (১৯৮২),
মতিউর রহমান বাদলের নাগিনী কন্যা (১৯৮২)
অশোক ঘোষের টক্কর (১৯৮৩),
এফ কবীর চৌধুরীর আবে হায়াত (১৯৮৩),
ইবনে মিজানের লাইলী মজনু (১৯৮৩),
এম এ মালেকের শাহী চোর, (১৯৮৩),
মাসুদ পারভেজের নাগ পূর্ণিমা, (১৯৮৩),
শামসুদ্দিন টগরের বানজারান, (১৯৮৩),
দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর নাগরাণী, (১৯৮৩),
মোস্তফা আনোয়ারের আঁখি মিলন (১৯৮৩),
এফ কবীর চৌধুরীর পদ্মাবতী (১৯৮৪)
কাজী কামালের মৎস্য কুমারী (১৯৮৪),
সফদর আলী ভুইয়া রসের বাইদানী (১৯৮৪),
এম এ মালেকের হাসান তারেক (১৯৮৪),
ইবনে মিজানের চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা (১৯৮৪),
ফখরুল হাসান বৈরাগীর রাজিয়া সুলতানা(১৯৮৪),
মোতালেব হোসেনের সালতানাৎ(১৯৮৪),
আবুল খায়ের বুলবুলের শাহী কানুন(১৯৮৪),
আবদুল লতিফ বাচ্চুর দ্বীপ কন্যা (১৯৮৪),
দারাশিকোর জিপসী সর্দার (১৯৮৪),
দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর মহল (১৯৮৪),
ছটকু আহমেদের রাজদন্ড (১৯৮৪),
মুহাম্মদ হান্নানের রাইবিনোদিনী(১৯৮৫),
আজিজুর রহমানের ফুলেশ্বরী(১৯৮৫),
ইবনে মিজানের রাজ কুমারী(১৯৮৫),
মালেক আফসারীর গীত(১৯৮৫),
দেওয়ান নজরুলের কোরবানী(১৯৮৫),
আজিজুর রহমানের সোনাই বন্ধু(১৯৮৫),
কামরুজ্জামানের রসিয়া বন্ধু(১৯৮৫),
ফখরুল হাসান বৈরাগীর ওয়ারিশ(১৯৮৫).
ইবনে মিজানের সতী নাগকন্যা(১৯৮৫),
আজিজুর রহমানের রঙিন রূপবান(১৯৮৫),
শামসুদ্দিন টগরের নকল শাহজাদা(১৯৮৫),
ইবনে মিজানের পাতাল বিজয়(১৯৮৫),
মো. শাহাজাহানের পরীস্থান(১৯৮৫),
হারুনুর রশীদের গুনাই বিবি(১৯৮৫),
আবুল খায়ের বুলবুলের ফুল কুমারী(১৯৮৫),
শামসুদ্দিন টগরের রাজ ভিখারী(১৯৮৫),
মতিউর রহমান বাদলের দুলারী(১৯৮৬),
জিল্লুর রহমানের আয়নামতি(১৯৮৬),
আবদুস সামাদের শিরি ফরহাদ(১৯৮৬),
মতিউর রহমান পানুর নাগমহল(১৯৮৬),
এম এ মালেকের চাঁদ সওদাগর(১৯৮৬),
এফ কবীর চৌধুরীর বাহাদুর মেয়ে(১৯৮৬),
আবুল খায়ের বুলবুলের জারকা(১৯৮৬),
মাহমুদ হান্নানের মালা বদল(১৯৮৬),
মতিউর রহমান বাদলের চন্দ্রাবতী(১৯৮৬),
নুর হোসেন বলাইয়ের নাগ কন্যার প্রেম(১৯৮৬),
ইবনে মিজানের রঙিন রাখাল বন্ধু(১৯৮৬),
ইবনে মিজানের রাজবধূ(১৯৮৬),
এম এ মালেকের রাজমাতা(১৯৮৬),
রফিকুল বারী চৌধুরীর চন্ডীদাশ রজকিনী(১৯৮৬),
শেখ নজরুল ইসলামের দিদার(১৯৮৬),
ইবনে মিজানের বাহাদুর নওজোয়ান(১৯৮৬),
ইবনে মিজানের বসন্ত মালতী(১৯৮৬), ,
শামসুদ্দিন টগরের সতী কমলা(১৯৮৬),
মিজান চৌধুরীর রঙিন সাতভাই চম্পা(১৯৮৬),
মতিউর রহমান বাদলের শাহ জামাল(১৯৮৬),
শামসুদ্দিন টগরের মহুয়া সুন্দরী(১৯৮৬),
আজিজুর রহমানের কাঞ্চন মালা(১৯৮৭),
শফিউল আলমের অরুণ বরুণ কিরণ মালা(১৯৮৭),
চাষী নজরুলের বেহুলা লখিন্দ(১৯৮৮)'
চাষী নজরুলের সোনার নাও পবনের বৈঠা(১৯৮৯)
সাইদুর রহমানের আলোমতি প্রেম কুমার (১৯৮৯)
তোজাম্মেল হক বকুল বেদের মেয়ে জোছনা(১৯৮৯)
তথ্য সংগ্রহঃ
বইঃ
চলচিত্র নির্মানের নেপথ্যে কথকতা,
ঢাকাই চলচিত্র,
বাংলাদেশ কোষঃচলচিত্র
বাংলাপিডিয়াঃচলচিত্র
উইকিপিডিয়াঃ বাংলাদেশী চলচিত্র
ইন্টারনেটঃ
কালেরকন্ঠ,প্রথমআলো,বাংলাদেশ প্রতিদিন
বিঃদ্রঃ যদি কোন তথ্যে ভুল থাকে, আমাকে জানাবেন,আমি সঠিক করে দিব। কিন্তু কোন ভ্রান্তির সৃষ্টি করবেননা কেউ
ঊৎসর্গঃ আমি বাংলা ফিল্ম নিয়ে লেখতে ইচ্ছুক। আগেও লিখেছি। তো, এই লেখালেখিতেই হঠাৎ একজনের সাথে পরিচয়। সম্পর্ক ঘন হলো তার নাম পাপ্পু। আমাদের সবার পাপ্পু ভাই। অনেকে তাকে হয়তো এই নামে চিনছে না। তার ব্লগ নেম হলো কবি ও কাব্য। এই এক প্রকার মহৎ মানুষ কবি ও কাব্য এই সামান্য উৎসর্গ। আমি আশা করি, এই লোকটার নাম যেন ইতিহাসে লেখা থাকে।
[ বাংলা চলচিত্র নিয়ে অনেক বিষয়ে লেখা যায়। লেখা জন্য চাই ধৈর্য। কারন, এ বিষয়ে তথ্য যোগাড় করা যে কি পরিমান কষ্টের কাজ যারা করেন তারা জানেন। তাছাড়া ভার্চুয়াল জগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে বাংলা চলচিত্র মাধ্যমের মেধাবীদের সাথে আমার পরিচিত কম। কারও কাছ থেকে যে রেফারেন্স নিব বা তথ্যরে মুল্যায়ন করাবো এমন কেউ চেনা জানা নেই আমার। হয়তো অনেকেরই আছে,যাদের আছে তাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনাদের এই সুযোগটা কাজে লাগান। বাংলা চলচিত্রের উপরে একটু লেখালেখি করুন।ধন্যবাদ সবাইকে]
মুভি বিষয়ভিত্তিক পোষ্ট সংকলন-আপডেটিত
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০২