হুমায়ুন আহমেদ আর নেই। ১১.২০ মিনিটে মারা গেলেন তিনি। হারিয়ে গেলেন কালের গর্ভে। প্রথম রমজানে দিনে তার মৃত্যুর জানাযা হবে। দেশে ফিরবেন তিনি,মুখ লুকিয়ে আর কথা বলবেন না।নতুন যাদুর ছোয়ায় আর ভাসাবেনা কাউকে।
তিনি শুধু একা মারা যাননি, মারা গেল হিমু,রুপা,মিসির আলি,শুভ্র,বাকের ভাই।
আর আহত হলো একটা গোটা জাতি।
আর আহতো হলো, কত লক্ষ প্রান।
হুমায়ুন আহমেদ নেই ভেবে কাদবো কদিন পরে আর।
কাদবো, পানসা বই মেলায় একটা বড় অংশের অভাবে।
হুমায়ুন আহমেদ পড়ে ফিনকি দিয়ে কেদেছি।
কত বার পড়েছি এক বই, কত স্মৃতি।
তিনি বোধহয় আগেই জানতেন, হয়তো সপ্নে পেয়েছিলেন, বা হ্যলুসিনেশন হয়েছিল, বা মিসির আলি বলেছিল, অথবা হিমুর কথা বলা গাছটা বলেছিল, তিনি কিভাবে মারা যাবেন।
তাইতো তিনি লিখে গেলেন
" আকাশ জোড়া মেঘ "
মৃত্যুর ঘন-কালো দৃশ্য যে তাকে কতটা পারিয়ে-জালিয়ে মেরেছে তার উদাহরন তার পাজর ভাঙ্গা শব্দগুলো।
হুমায়ুন আহমেদ।
আপনি বলেছেন,
মৃত মানুষকে নিয়ে কাদতে নেই, বাচিয়ে রাখতে হয় ভালো কাজের মাঝে।
সত্যি,প্রমিজ,আমি একটু কাদছিনা।
আপনার কথাতেই হবে, আপনার চিরবিদায়
আর যখন ইচ্ছে হবে
হলুদ হিমুর পাগলামি দেখতে
মৃন্ময়ীর মন খারাপের গল্প শুনতে
তিথির মুখে আজেবাজে কথা শুনছে
রুপার সাথে চাদনী রাতে
মিসির আলী চৌকশ গল্প
তখন কি করবো, শুভ্রর মতো পিটপিট চোখে
লাইব্রেরিতে আপনার কোন বইটা খুজবো ?
উত্তর দিয়ে গেছেন। রেখে গেছেন, লেখে গেছেন
" অচিনপুর "
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৩৫