সাধারনত হলিঊডের বিশেষ জেনারের মুভিগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক হয়। একশন, এডভেঞ্চার , এবং হরর মুভিগুলোর কাহিনি প্রায় এক হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু মুভি থাকে চিরচেনা তারপরও ভালো লাগে। হয়তো বিশেষ কিছু একটা ধারন করে মুভিগুলো। জানিনা আপনাদের রেস্পন্স কেমন হবে, কিন্তু এই মুভিগুলোর ভাবনা বা বলার ভঙ্গি, সার্বিক নির্মান শৈলী আমার খুব ভালো লেগেছে। সেরকমের ৫ টা মুভির কথা আমি আজ বলবো।
বিশদ বর্ননায় না গিয়ে, আমি শুধু প্লট ও ভালো লাগাটাকে ধরিয়ে দিচ্ছি।
১। Awake (2007)
২২ বছর বয়সি Clay Beresford মুল চরিত্র। ব্যাবসায়িক এবং পারিবারিক দিকে সে খুব সফল। anesthetic awareness এ সে আক্রান্ত হয়ে একটা প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি হয়। এক পর্যায়ে তার হার্ট সার্জারি জারী হয়। অপারেশন থিয়েটারে তার আন্তা তার থেকে বের হয়ে আসে। পুরো মুভিটা ওখানেই শুরু ওখানেই শেষ। তার আন্তা মৃত্যু পর্যায়ের বিভিন্ন স্টেপ অনুভব করতে পারে। সুক্ষভাবে গরিয়ে চলে কাহিনি। তার মা, গার্লফ্রেন্ড, উপস্থিত থাকে সেখানে। সে সবার সাথে একটা কনভারসেশন তৈরী করতে চায়। কিন্তু সে বরাবর বার্থ হয়।
পুরো মুভিতে মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখানো হয়েছে। অনুভুতিকে জাগ্রত করা হয়েছে।,। আবেগের বহিপ্রকাশটা অসাধারন। সংলাপ ছিল টান টান। কিছু মুল কথা হলো যেরকম অসাধারন প্লট সেরকম মুভিটি জমেনি। আরও ভালো কিছু স্বাভাবিক ভাবে আশা করা যায়।
Final Destination
এটার এখন পর্যন্ত ৫ টা পার্ট বের হয়েছে। একটা রিসেন্টলি বের হয়েছে। এটার প্লট খুব সাদাসিধে। সবগুলোর প্লট এক হলেও মৌলিকত্ত ছিল দেখার মত। মুল প্লট হলো মৃত্যু। কত সুক্ষ সুক্ষ ভুল একটা মৃত্যুর কারন হতে পারে !!! আমরা মৃত্যুকে কতটা কাছে নিয়ে ঘুরি। মোবাইল চার্জার থেকেও মানুষের একটা পরিপুর্ন সাজানো মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সেটাই এই মুভির টারগেট। একটা কারেক্টর থাকে যে একটা ড্রীমের মাধ্যমে জানতে পারে তার পরিচিতদের মৃত্যু কিভাবে হবে। সাদাসিধে এই কারেক্টারটা ঘটনার আকস্মিকতায় কর্মঠ হয়ে ওঠে। সে মৃত্যুকে চালেঞ্জ করে এর বিরুদ্ধে একশন নেয়। মৃত্যু থেকে বাচার,পালানোর মৃত্যুকে এড়িয়ে যাবার অভিনব পদ্ধতিগুলো অসাধারন। কিন্তু মৃত্যুকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব কি ?
Mirrors (2008)
মুভিটি হরর জেনারের হলেও এর ভাবনাটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। এক্স পুলিশ অফিসারের জীবনে নেমে আসে দুর্বিসহ যন্ত্রনা। আয়না থেকে একটা একটা মন্দ কোনো কিছুর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ঝামেলার সুত্রপাত। আর সে আয়নার হাত থেকেই পুরো পরিবারকে বাচাতে Ben Carson এর যুদ্ধ। আয়না ভার্সেস মানুষ। অসাধারন প্লট। কাহিনি এবং নির্মান শৈলী। রাতের বেলা আয়না দেখা নিয়ে ভয় কাজ করবে।
The Eye (2008)
চোখ। আমরা কতকিছু দেখি। কত ভালো খারাপ। কিন্তু এই দেখাই যে আমাদের কাল শনি হয়ে দাড়াতে পারে। এটি একটা হংকং ফিল্মের রিমেক। আসলটা দেখা হয় নাই। হরর জেনার হলেও মুভিটি আমার কাছে প্রচন্ড ভালো লেগেছে।
একটা দুর্ঘটায় ৫ বছর বয়সে Sydney তার চোখ হারায়। এবং পরে সার্জারির মাধ্যমে নতুন চোখ লাগায়। কিন্তু কার চোখ লাগানো হয়েছে ? হ্যা ঐ চোখ লাগানোর পর থেকে সে অদ্ভুত জিনিষ দেখা শুরু করে। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনি। লজিক এবং ব্যাখ্যা দুটোই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। দেখার পর চোখ বিষয়ে একটু সাবধান হওয়ার প্রয়োজন বোধ করবেন।
Knowing (2009)
পৃথিবির কোনো জিনিষি ফেলনা না। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। হয়তো অনেকেরও একই মতামত। এবং এই মুভিরো একই মতামত। সবকিছু যে নিয়মতান্ত্রিক। এবং প্রকৃতিপ্রদত্ত। তার একটা ক্লাসিকফেকেশনে ঢুকে এই মুভি ভাবা হয়েছে।
১৯৪৯ সালে একটা স্কুলের বাচ্চাদের আগামী ৫০ বছরে পৃথিবীর কি অবস্থা হবে সি বিষয়ে আর্ট আসাইন্টমেন্ট দেওয়া হয়। সবাই রোবট, ঊরন্ত গাটি, নিঊকিলিয়ারে থাকলেও Lucinda খাতায় তুলে আনে কিছু নাম্বার, ওই সময়ে এই নাম্বারগুলোর কোনো গুরুত্ত্ব না থাকলেও ৫০ বছর পর এসে এর গুরুও্ব পাওয়া যায়। পৃথিবির এই ধংস্ব খেলার পিছনে একটা হালকা লজিক আনা হয়েছে। এটা যে মানূষের হাতে নেই এবং মানূষ চাইলেও যে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেনা তা সুনিপুন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এর পরে হাবিজাবি লেখা কিছু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করি। বাচ্চাদের মনোযোগ দিয়ে আলতু ফালটু চিহ্ন তখন গুরুত্ত্বপুর্ন মনে হবে।
Download LInk : Click To Name.
The Eye
Awake
The Final Destination
The MIrror
Knowing
মুভি বিষয়ভিত্তিক পোষ্ট সংকলন ~~ আপডেটিত~~
[ আনাকাটঃ কাল হরতাল। মারামারি কাটাকাটি। ব্লগ জমে উঠবে সেই সব ফিচার নিয়ে। তাই আজই পোষ্টটা দিয়ে দিলাম। ডাউনলোড করে দেখতেই পারবেন, কালকের শোক ছুটিতে। ]