তবে, সম্মেলনের এ দুটো বিষয়কে বাদ দিলেও বেশকিছু চমক থেকে যায়। যা বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে যে, তাদেরও কাউন্সিলর এভাবেই হওয়া উচিত। ধরুন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তাদের এখন বিস্তার বেশি দেশে-বিদেশে। পক্ষান্তরে বিএনপি নানা সঙ্গটে। কিন্তু গত মাস ৩ আগে বিএনপি যে সম্মেলন করলো তাতে বিদেশি কোনো অতিথি ছিল? এতোটা সঙ্কীর্ণতার সঙ্গে কেন সম্মেলন শেষ করা হলো? সম্মেলন শেষ করলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
তার উপর আসছে সামনে নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপি নিশ্চয় অংশ নেবে। এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে, এর জন্য তাদের কোনো প্রস্তুতি এখন পর্যন্ত আছে বলে মনে হয় না। কারণ, যেখানে দলের অবস্থাই শোচনীয়, মাঠে দাঁড়াতে পারছে না, নেই কোনো আন্দোলন; সেখানে কমিটি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষের খবর পাওয়া নিশ্চয় ভালো লক্ষণ নয়।
২৩ তারিখে সম্মেলন শেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, ৩/৪ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু বিএনপি তা ৩ মাসেও পারে নি। এটা নিশ্চয় ব্যর্থতা নয় বলা যাবে না।
এবার আসুন আন্দোলন প্রসঙ্গে। বিএনপিকে এখনো দেশের মানুষ, মিডিয়া, বিদেশিসহ সবাই প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দল হিসেবেই মূল্যায়ন করে। কারণ, সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করে গেছে বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে, রওশন এরশাদের সঙ্গে নয়। সুতরাং দেশ-বিদেশের মানুষের চিন্তা আর মূল্যায়নের মর্যাদা বিএনপিকে দিতে হবে, তা হতে হবে রাজনৈতিক গণবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমেই।
নির্বাচনী ম্যানুফেস্টু দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপি এ ক্ষেত্রেও পিছিয়ে। তবে কী আর নির্বাচনে গেলেই লাভ হবে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
সুতরাং এ কথা বলতেই হয়, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী কমিটি করেছে। বিএনপিকেও নতুন উদ্যমে নামতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সমঝোতায় আসতে হবে। নতুবা যে দশা চলছে তা থেকে পরিত্রাণেরও কোনো সম্ভাবনা আপাদত মিলবে না বলেই মনে হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:০২