রাজধানীর হাতিরঝিলের পরিবেশ শীতের এই সকালে যারা দেখেছেন তাদের বুঝতে সহজ হবে। কারণ, এখানে দেখা মেলে শীতের আবহ। কুয়াশাচ্ছন্ন এক অংশের নাম এটি। মনে হয় পদ্মা-মেঘনার মতো বিশাল এক নদী। সঙ্গে হিম হিম হাওয়া বয়ে আনে শীত। অনুমান করা যায় গ্রামে শীতের তীব্রতা কেমন...
শীত-কুয়াশা কাউকে আনন্দ দেয় আবার কাউকে দেয় দুঃসহ ভোগান্তি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর গায়ের মানুষদের জন্য এ সময়টা কষ্টকর হলেও ঠিক এর বিপরীত দৃশ্য দেখা মেলে এলিট আর শহুরে পরিবেশে। তাদের কাছে শীত আর গরম বলে কিছু নেই। থাকা হয় এসি নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ায়। ফলে শীত-গ্রীষ্মের কোনো ছোয়া লাগেনা একটি শ্রেণীর।
কিন্তু যাদের থাকতে হয় ছোট্ট কুটিরে তাও ফুটপাতে, তাদের কাছে এ শীত কতটা আশির্বাদ? নিশ্চয়ই আশির্বাদ নয় বরং তাদের কাছে এটি এক দুঃসহ যন্ত্রণা। যাদের নেই একটুকরো গরম কাপড়। কুটিরের চাল বেয়ে শরীরে পড়ে কুয়াশার ফোটা! আর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরও শীতের সময়টা একই রকম কাটে।
তাই সময় এসেছে সীদ্ধান্ত নেয়ার। এ জনগোষ্ঠীর কাছে এগিয়ে যাওয়ার। অন্তত শীত নিবারণের জন্য হলেও একটি শীতের কাপড় দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার। যাতে শীতের কষ্ট থেকে মুক্তির সুযোগ পায় তারা।
তাই ভূপেন হাজারিকা’র গানটি মনে পড়ে গেলো- মানুষ মানুষের জন্যে/ জীবন জীবনের জন্যে/ একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু...।
-পেতে পরে নিশ্চয়ই পেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০১