যে লেখে সে লিখে যায়। যে বই পড়ে সে পড়ে যায়। যে গান করে সে গেয়ে যায়। যে গান শোনে সে শুনে যায়। যে নেশা করে সে নেশা করে যায়। যে বিরিয়ানি খায় সে খেয়ে যায়। যে পরোপকার করে যে করে যায়। যে পার্টিতে যায় সে পার্টি করে। যে পার্টিবাজি করে সে পার্টিবাজি করেই যায়। যে সন্ত্রাসবাদী সে সন্ত্রাস করে যায়। যে প্রেম করে কিংবা পরকীয়া সে এসব করেই যায়। এ রকম যার মনে হিংসা রাগ দ্বেষ ভয় লাজ স্ফূর্তি ইত্যাদি আছে তারাও এসব করে যায়। বাঁচানোর লোক বাঁচিয়ে যায়। খুনি খুন করেই যায়। করেই যায়। করেই যায়। সে যে কোন ঘটনা ঘটুক না কেন।
এই যে এত বড় মহামারী ঘটেই চলেছে, তারপর আমফান এল, কত মানুষ গৃহহারা হল, কত মানুষের কাজ নেই, কত মানুষ কাজ হারাবে, কত মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে না, কত মানুষ পরিযায়ী হল, কত মানুষ কত উদ্ভটভাবে মারা যাচ্ছে, কত মানুষ শুধু দুবেলা দুমুঠো খেতে পাচ্ছে না কিন্তু এদের কোন হেলদোল নেই। এরা একই ভাবে নিজেদের কাজ করেই যায় করেই যায় করেই যায়। এমন কি নিজেদের মধ্যে কিংবা নিজের আত্মীয়দের মধ্যে যদি কিছু হয়েও যায়, তবু এরা এদের কাজ করেই যায়। করেই যায়।
মাঝে মাঝে পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে ফেসবুকে নিজের পরিচিতের মধ্যে দু একবার শোক প্রকাশ করে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে আস্ফালন করে তারপরে সেই একই ভাবে নিজের কাজ করেই যায় করেই যায় করেই যায়।
তবে চিন্তার কিছু নেই। ভাল কাজ খারাপ কাজ লোক দেখানো কাজ নীরবে কাজ ইত্যাদি নিয়েই পৃথিবী। শুধু একটাই চিন্তার এই হেলদোল নেই লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৫