দিনভর টিভি চ্যানেলের সংবাদ আর অনলাইন নিউজ এজেন্সির বদান্যতায় সংবাদ নামক যা গেলানো হলো- তার বিপরীত মেরু থেকে পরিবেশিত হচ্ছে এই পোস্টটি। ব্লগ জার্নালিজমের ঐতিহাসিক ভূমিকায় এখন তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে ঘটনার সেই সব অনালোকিত দিক যা মিডিয়া নামক বাত্তির তলায় আন্ধার থাকে সবসময়!
প্রথাগত গণমাধ্যমের বাইরে ব্লগ প্রতিনিধির পাঠানো এই সংবাদের বাইরে আজকের এই পোস্টটি রচিত। আমাদের ২জন ব্লগার প্রতিনিধি সর্বশেষ আপডেট দেয়ার জন্য এই মুহুর্তে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন ঘটনাস্থলের পাশে থেকেই। তাদের পাঠানো তথ্যে আজকের এই ব্যতিক্রমী ব্লগ রোজনামচা পেশ করা হলো সামহয়ারইন ব্লগারদের দরবারে!
সর্বশেষ পরিস্থিতি: চট্টগ্রামের আজকের এই শ্রমিক আন্দোলনের সর্বশেষ পরিস্থিতি হলো সিইপিজেডে আপাতত থমথমে পরিস্থিতি। কমপক্ষে চার শ্রমিক খুনের কথা মিডিয়ায় স্বীকার করা হলেও সংখ্যাটি ১০ এর কম না হওয়ার আশংকা রয়েছে। চলছে ব্যাপক র্যাব-পুলিশি ততপরতা, হত্যা, দমন-পীড়ন এবং শাসক শ্রেনীর দল আওয়ামি লীগের শ্রমিক আন্দোলন ঠান্ডা করার জন্য রাজনৈতিক ততপরতা। সেই সাথে মালিকপক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা খুজে বেরাচ্ছে আন্দোলন কারী শ্রমিকদের। তারপরও শ্রমিকরা ফুসছে। আগামীকাল আরো ব্যাপক আকারে বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছে। শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় তিন হাজার জনকে আসামী বন্দর থানায় তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
শ্রমিকরা আসলে কী চায়? 'চিটাগাং ফ্যাশন' নামের এক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সন্ধ্যা সাতটায় ব্লগ প্রতিনিধির সাথে আলাপে জানান, তার কারখানায় মোট ২২শ শ্রমিক কর্মরত। এরা কেউ আজ ১২ তারিখ পর্যন্ত নভেম্বর মাসের বেতন পাননি। সেটাই তাদের ক্ষোভের অন্যতম কারণ। মজুরি কাঠামোর নতুন বিধি অনুযায়ী ১০% বেতন বাড়ানোর উদ্যেগ নেয়া হলেও সেই কারখানায় পুরানো শ্রমিকদের সাথে ব্যবধানে তা অনেক কমে আসে বলে অভিযোগ তাদের। অর্থাৎ বেতন কাঠামো অনুযায়ী নতুন শ্রমিকরা কিছুটা বাড়তি বেতন এতে পাবেন কিন্তু একবছরের পুরানো শ্রমিকরা/দক্ষ শ্রমিকরা গড় বেতনে অনেক অনেক কমটাকা পাবেন। ফলে দাবী আদায় জানাতেই তারা বিক্ষোভে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আকমল আলী রোডের মোড়ে দাড়িয়ে আতঙ্ক আর ভয়কে সম্বল করে কথা বলছিলেন শ্রমিক মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন। বলছেন, 'দশগুয়া লাশ পইয্যে। আঁরার মরণ কাছে আইস্যে। ডর ন লাগের। শ্রমিক অক্কল মাডত আছে। দালালগুনরে এব্বেরে সাফ গরি তই কারখানার যাইয়ুম। লাশ পাইয়ুম না নজানি কিন্তু বেপজার মালিকর বাইচ্চা মালিকর পোঁদদি বাঁশ দিওম।' তার জীবনে ২০০৩ সাল থেকে এই সময়কাল কাটছে সিইপিজেড এ। শ্রমিক হিসেবে তিনি বেশ পাকা হাতের। কিন্তু বেতন এখনও কাঁচা! ন্যায্য দাবির লড়াইয়ে তাই তিনি ময়দানে। অস্থায়ী নিয়োগ হলেও চাকরির মায়া তিনি করেন না বলে জানান। তিনি আরো জানান বিকেল থেকে সন্ধ্যা হতেই র্যাব পুলিশ সারিবেঁধে শ্রমিকদে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত বেপজার মাঠে। এরা কি সবাই গ্রেফতার? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'সাম্বাদিক অক্কল হডে? হেতারা খবর লক'।
ফখরুদ্দিনের মতো হাজারো শ্রমিক সিইপিজেডে কর্মরত ছিলেন আজ দুপুর পর্যন্ত। বিকেল বাড়ার সাথে সাথে চাকরির চেহারা চুনা মেখে সবাই নেমেছে পথে।
ঘটনার সূত্রপাত: সিইপিজেডে মোট ২৩৪ টিরও অধিক কারখানা আছে। এর শ্র্রমিকরা সবাই কেন একসাথে পথে? চলুন পেছনে ফিরি- ইয়ংওয়ান গ্রুপের উপ-পরিচালক নুরুল আলম ১১ তারিখ দুপুরে এক শ্র্রমিকের সাথে বেতন নিয়ে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়াকেই সূত্রপাত হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
শ্রমিকদের বেতন বৈষম্যের অভিযোগে ইয়ং ওয়ান গ্রুপের ১১টি ইউনিটে সাথে সাথেই বিক্ষোভে নামে শ্রমিকরা। শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া শ্রমিকদের বিক্ষোভে ইয়ংওয়ান গ্রুপের উপ-পরিচালক নুরুল আলম মারাত্মকভাবে আহতও হন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ কর্মকর্তাসহ শতাধিক শ্রমিক। গাড়ি ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি। শ্রমিকরা অবরুদ্ধ করে রাখে মেইন গেটসহ রাস্তা। যান চলাচল বন্ধ থাকে কয়েক ঘণ্টা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ইয়ংওয়ান গ্রুপের ১১টি ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ইয়ংওয়ান কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সকালে একযোগে সকল শ্রমিক সিইপিজেড চালু থাকলে ইয়ংওয়ান খুলে দেয়ার দাবী জানান। কিন্তু বেপজার কোন নির্দেশ না আসায় বন্ধই থাকে ইয়ংওয়ান। ক্ষোভ বাড়তে থাকে শ্রমিকদের। সকালে সাড়ে এগারোটা থেকেই বিক্ষোভের শুরু। সকাল ৮ টা থেকে কাজ শুরু করে আজ মোটে ২ ঘন্টা মতো কাজ হয়েছে সেখোনে।
শ্রমিকরা কেন পথে? শ্রমিকরা এভাবে পথে নামার প্রধান কারণটি হলো বেতন বৈষম্য। বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নতুন বেতন কাঠামোর প্রণয়নের শর্ত হিসেবে শ্রমিকদের সপ্তাহব্যাপী কাজ করার দক্ষতাসূচক উৎসাহ বোনাস, যাতায়ত ভাড়া, টিফিন খরচ সহ কয়েকটি খাতের টাকা আর দেয়া হবে না জানালে ইয়ংওয়ানের শ্রমিকরা ক্ষেপে যায়। এর সাথে যোগ হয়েছে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে মালিক পক্ষেরও ফন্দি ফিকির। মালিক পুরানো আর নতুন সব শ্রমিককে গড় করে বেতন নির্ধারণ করলে পুরানো দক্ষ শ্রমিকরা তা মেনে নেয় নি। তাতে তাদের প্রাপ্য বেতন থেকে শোষণ হয় বলে মত দেন তারা। দ্বিতীয় কারণটি হলো অপারেটর পোস্টের শ্রমিকদের বেতন নভেম্বর মাসের মধ্যে বৃ্দ্ধি করার কথা থাকলেও তা হয় নি। এর প্রতিবাদে।
সংখ্যার রাজনীতি! নিহত কত?আহত কত? এই প্রশ্নর উত্তরে চলছে পুলিশ রেব সাংবাদিক প্রত্যক্ষদর্শীদের লুকোচুরি খেলা। এ এমনই খেলা যেখানে সময়মতো কোন ক্যালকুটের পাওয়া যায় না। অনুমানং ভরসাং বলে সবই বলছেন মনগড়া তথ্য। কিন্তু শত শত শ্রমিককে দেখা গেছে রাস্তায় কাতরাতে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাত নটা পর্যন্ত ২শতাধিক আহত শ্রমিক কাতরাচ্ছে। এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে দুপুরে। এরপর অনুমান করে বলা মুশকিল আহতের মাত্রা অনুযায়ী 'সংখ্যাটা' কত?
শ্রমিক মরেছে এটা যেমন সত্য। তেমনি এটাও সত্য যে, সংখ্যাটা অন্তত ৪- সেটাও নিশ্চিত। কিন্তু এই সংখ্যা কোথাও ১০, কোথাও ৮। কোথাও বা 'টানতে টানতে ৭টা লাশ রেব নিয়ে গেছে' শোনা যাচ্ছে। শশ্মানের আগুনে আত্মীয়ের তুলে দেয়া এক শ্রমিকের নীরব প্রস্থান হয়েছে। শ্রমিকের নাম রুহি দাস (৪৫)। ময়না তদন্ত না করেই নগরীর বলুয়ার দিঘী শশ্মানঘাটে তাকে তড়িঘড়ি দাহ করতে পুলিশই মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। আগ্রাবাদ-ইপিজেড সংযুক্ত সড়কে বেলা সাড়ে চারটায় একটি লাশ টেনে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ আরো বাড়বে, রাতভর বাড়বে শ্রমিক পরিবারের আহাজারি। আমরা মহান গণমাধ্যমে দেখবো এইসব লাশ যেন শুধু এক একটি বেড়ে যাওয়া সংখ্যামাত্র!
স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভূমিকা: ইপিজেডের শ্রমিক বিক্ষোভে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে রুদ্ধমুর্তি ধারণ করে অসুরের ভূমিকায় নেমেছেন সরকার সমর্থক শ্রমিক লীগ আর স্থানীয় ছাত্রলীগ। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের যৌথ ধাওয়াও করে তারা। অভিযোগের তীর এখন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশীদের দিকে। বিডিনিউজের সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি স্বীকার করেছেন, উপরের নিদের্শে এই হামলা করা হচ্ছে। উপর বলতে মন্ত্রী আফসারুল আমীনের নাম বলেন তিনি! ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কারে নেমেছে সকাল থেকে। ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচির পরামর্শদাতা সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন। তবে ঝাটা ফেলে লাঠি নিয়ে শ্রমিক ঠ্যাংগানোর উপায় কে বাতলে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাদের সেই প্রশ্নটি করার সাহস কুলায়নি ব্লগ প্রতিনিধির!
নেতৃত্বহীন শ্রমিক আন্দোলন: এই আন্দোলন পরিস্থিতির চাপে অনেকটা স্বতস্ফুর্ত কায়দায় গড়ে উঠা আন্দোলন। বৈদেশিক বিনিয়োগের সিইপিজেডে ট্রেডইউনিয়ন আন্দোলনের কোন সুযোগ না থাকার প্রেক্ষিতে সেই অর্থে কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে উঠে নি এখানে। তবে মজুরি বৃদ্ধির লড়াইয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে একত্রিত হয়েছেন সবাই, গুলির মুখে বুক পেতেছেন কেউ, কেউ মুষ্ঠিকে করেছেন বজ্রদানবের মতো। কেউবা মজুরি না বাড়িয়ে ফিরবে না বলে করেছেন প্রতিজ্ঞা!
মিডিয়ার ভূমিকা: মালিকগোষ্ঠির হয়ে মিডিয়ার দালালিপনার মুখোশখুলে গেছে এই আন্দোলনে। চট্টগ্রামের ৩টি স্থানীয় পত্রিকাই ভূমিকা নিয়েছে আন্দোলনকে বিপথে পরিবেশনের। দৈনিক আজাদীর প্রধান সংবাদ করা হয়েছে- ' ইয়ংওয়ানের ১১টি কারখানায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, ১০ কর্মকর্তাসহ আহত শতাধিক ।। সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা' সংবাদ সূচনাতে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ স্মরণকালের ভয়াবহ হাঙ্গামা হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন বৈষম্যের অভিযোগে ইয়ং ওয়ান গ্রুপের ১১টি ইউনিটে হাঙ্গামা করে শ্রমিকরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক তাণ্ডবের ঘটনায় ইয়ংওয়ান গ্রুপের উপ-পরিচালক নুরুল আলম মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাঁকে নগরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত: ১০ কর্মকর্তাসহ শতাধিক শ্রমিক।'
অপর দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সংবাদ সূচনা 'শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর চট্টগ্রাম ইপিজেডে ইয়াংওয়ান গ্রুপের ১৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।' এরও প্রধান শিরোনাম ছিল 'ইয়াংওয়ান এর সব কারখানা বন্ধ'।
সংবাদের শুরুতে মালিক আহত আর ভাংচুরের ফুল দিয়ে মালা গেথে সংবাদ পরিবেশনের রাজনীতি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মাস শেষে বিজ্ঞাপন, মাসোহারা, বছর শেষে পার্টি, টিশার্ট, ক্যালেন্ডার আর অঘোষিত উৎকোচের কথা! স্থানীয় আরেকটি পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোন এর ভূমিকাও একই রকম। মহান গণমাধ্যম স্থানীয় হয়েও স্থানীয় থাকে না সে। পালন করে চলে বৈশ্বিক পুঁজির ধারায় মালিক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষার কর্তব্য!
সাংবাদিকদের হুমকি: রাত বাড়তে থাকলেই বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে ফোন আসতে থাকে। ফোনের ওপাশের কণ্ঠ কখনো রেব, কখনো পুলিশ কখনো সিটি মেয়র, কখনোবা বেপজা কর্তৃপক্ষের। আয়েশ করে ফোন তুলে নিচ্ছেন রিপোর্টার, ব্যুরো চিফ বা বার্তা সম্পাদকগণ। হুমকি ধামকী, করজোড় অনুনয়, প্রলোভন আর কখনোবা নৈতিক সাংবাদিকতাকেও স্মরণ করিয়ে তারা শ্রমিকদের আন্দোলনকে সহানুভুতির না দেখানোর পাশাপাশি নিজেদের আহত, কাতুকুতু আর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কাহিনী শুনাচ্ছেন।
চট্টগ্রামের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ শ্রমিক বিক্ষোভ: আজকের এই বিক্ষোভ চট্টগ্রামের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আন্দোলন। আজকের মিছিলে মাথাগুনা অসম্ভব। সাম্প্রতিক জরুরি অবস্থার সময় কালুরঘাটে শ্রমিক বিক্ষোভের পর আজ এই শ্রমিক আন্দোলন। এর আগে ইপিজেডে ১৯৯৮ সালে এক পাকিস্থানী অফিসার কর্তৃক ৪ জন দেশি শ্রমিক নির্যাতেনের প্রতিবাদে ফুসে উঠে আজকের সড়কগুলো। কিন্তু তা ব্যপকতায় ছিল অনেক স্বল্প!
আগেই বলা হয়েছে আজকের এই পোস্ট প্রথাগত গণমাধ্যমের বাইরে ব্লগ প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য ও লেখার ভিত্তিতে রচিত। এই সংবাদের বাইরে আগ্রহীরা নিন্মোক্ত লিংক থেকে সংবাদের আপডেট জানতে পারবেন-
Click This Link
Click This Link