মূল পোস্ট আছে এখানে
২০০৯-১১ সাল ছিল অ্যাপলের সম্ভাবনার বছর। ইতিহাসের প্রথম ১ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হবার দ্বারপ্রান্তে অ্যাপল। কিন্তু প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোর নতুন প্রডাক্টের রিলিজ অ্যাপলের অবস্থা নড়িয়ে দিয়েছে। আসুন দেখি ২০১২ সাল অ্যাপলের কেমন যাবে।
iOS 6 এবং Android 4.0
২০১২ সাল অ্যাপলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর হিসেবে যাচ্ছে। আইফোনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রতিদ্বন্দ্বী গুগলের অপারেটিং জনপ্রিয় সিস্টেম এনড্রয়েডের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে। অ্যাপল যখন iOS 6 বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছে তার আগেই গুগল এনড্রয়েডের যুগান্তকারী ভার্সন 4.0 আইসক্রিম স্যান্ডউইচ রিলিজ করেছে যা মার্কেট কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। গুগলের সাথে যুক্ত হয়েছে মটোরলা ও স্যামসাং। মজার ব্যাপার হচ্ছে মটোরোলাকে ইতোপূর্বেই কিনে নিয়েছে গুগল, ফলে মটোরলা এখন ড্রয়েড সিরিজের মার্কেট কাঁপানো এনড্রয়েড হ্যান্ডসেট ছাড়ছে। স্যামসাং তার নতুন সব স্মার্টফোনে এনড্রয়েড ব্যবহার করছে। বর্তমান বিশ্বের ক্রেজ স্যামসাং গ্যালাক্সি SIII কোয়াড কোর ১.৫ প্রসেসর নিয়ে বাজারের সেরা ফোন হিসেবে এই মুহূর্তে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে। বিক্রির দিক দিয়ে স্যামসাং এখন অ্যাপলের অনেক উপরে। সনি এরিকসন, সনি ব্র্যান্ড নাম নিয়ে গুগলের এনড্রয়েডকে নিয়েই ২০১১ ও ২০১২ সালের সকল স্টাইলিশ ও অসাধারণ পারফরম্যান্সের সব হ্যান্ডাসেট বাজারে ছেড়েছে। ফলে বাজারে আসার অল্পসময়ের মধ্যেই এনড্রয়েড মার্কেট শেয়ারে আইওএস কে পেছনে ফেলে দিয়েছে। ওদিকে অ্যাপলের একলা চল নীতির কারনে তারা ভীষণ সংকটে পড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
Siri উন্মুক্ত হচ্ছে ডেভেলপারদের কাছে
আইফোনের একটি যুগান্তকারী অ্যাপ হল সিরি, যা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে ইউজারকে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে যাচ্ছে। দেখা দেখি এনড্রয়েডে তৈরি হয়েছে Skyvi বাVlingo নামের সফটওয়্যার যা সিরির সমতুল্য এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিরির থেকেও ভাল। সিরির অপার সম্ভাবনা থাকলেও অ্যাপলের একলা চল নীতি এখানেও সিরিকে আবদ্ধ করে রেখেছিল। নির্দিষ্ট কিছু কমান্ড ছাড়া কাজ করত না। ডেভেলপারদের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়ায় এখন ইচ্ছা মত ভয়েস কমান্ড এড করে এর মান অনেক উন্নত করা যাবে।
গুগল ম্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী নিজস্ব ম্যাপিং সিস্টেম নিয়ে আসছে অ্যাপল
গুগলের সাথে দ্বন্দ্বের ফলস্বরুপ গুগল ম্যাপসকে গুডবাই বলে দিচ্ছে অ্যাপল। C3 Technologies এর মত চোখ ধাঁধানো ম্যাপিং প্রতিষ্ঠানকে কেনার পর এ নিয়ে ৩টি ম্যাপিং কোম্পানি নিজেদের দখলে নিলো। ফলে বোঝা যাচ্ছে অ্যাপল শীঘ্রই নিজস্ব ম্যাপ নিয়ে আসছে তার ব্যবহারকারীদের কাছে।
iPad এখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে
এখানেও এনড্রয়েড ট্যাবলেট ও শীঘ্রই বাজার দখল করতে আসা উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেটগুলো বাজারে আসা iPad 3 কে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে মাইক্রসফটের উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেটগুলোর Xbox Live আর সনির নতুন এনড্রয়েডগুলোর Play station mobile অ্যাপলের iPad ও iPhone কে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দেলে দিয়েছে।
iCloud-কে সম্প্রসারণ করতে Dropbox কেনার সম্ভাবনা অ্যাপলের
মিডিয়া ফাইল ক্লাউডে রাখতে ও শেয়ারে iCloud এর জুড়ি না থাকলেও ডকুমেন্ট ফাইল ম্যানেজমেন্টে iCloud এখনো ততটা ভাল নয়। এই ঘাটতি পূরণে অ্যাপলের দৃষ্টি পড়েছে ড্রপবক্সের দিকে।
iPod nano পাচ্ছে টেলিফোন ফিচার ও ওয়াইফাই কানেকশন
অ্যাপল এই ফিচার অ্যাড করে দিলে ব্যাসিকালি আইফোন ও আইপডের মধ্যে মূলত কোন পার্থক্য থাকবে না। তবুও হাতে রাখা আইপড দিয়ে ফোন করা গেলে মন্দ কি?
এছাড়াও ম্যাক ও অ্যাপলের অন্যান্য ডিভাইসের মধ্যে ইন্টার-কানেকশন সম্প্রসারিত হচ্ছে আইফোন ও আইপ্যাডের মধ্যেও। বর্তমানে শুধুমাত্র আইপ্যাডে এই সুবিধাটি রয়েছে।
ভাল থাকুন।