--ভাদাইম্ম্যা উঠ সজীবরে জ্বীনে ধরছে।
--কোনদিন যে তোর বিয়ে হইব আর আমারে শান্তিতে ঘুমাইতে দিবি।
-তুই যদি আমারে বিয়ে করস তাহলে রাজী আছি।
--হাছা কইতাছস?
--মিছা কইসি

--সকাল সকাল দিলিতো মনটারে তেজপাতা বানায়া

-- তেজপাতা দিয়ে চা বানায়া দিমুনে।ছোট খালা ফোন করছে সজীবরে নাকি জ্বীনে ধরছে আম্মু ওখানে গেছে এবং তোরে বাইন্ধা নিয়ে যাইতে কইছে।
--চাপা মারস না?আমারে ছাড়া যাইতে ভাল লাগতাছে এটা কইলেই তো পারস।
কোমরে ওড়না পেছাইয়া ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে দিয়ে খালাত বোনটা আমারে বাথরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহির থেকে কইল ২০মিনিটের মধ্যে গোসল করে নে।
গোসল কইরা ডিম ভাজি,পরাটা আর লেবু তেজপাতার চা খেয়ে মেঝ খালার বাসায় যখন গেলাম ।গিয়ে দেখি এলাহী কান্ড ।সামছু পাগলার(সাহারা খাতুন যার কাছে দোয় নিতে গেছিল) মত এক পাগলা বাবার সামনে সজীবরে লম্বা কইরা শুইয়া রাখছে।
খালার মুখে যা শুনলাম তা হইতাছে গত কয়েকদিন ধরে সজীব রাতে একা পুকুর ঘাটে বসে থাকে ,কিছু জিজ্ঞাসা করলে অবাক চোখে চেয়ে থাকে।এবং ৩দিন আগে বাজার থেইকা আইস্যা প্রথমে টিভি ভাইংগ্যা গামছা পইরা আম গাছের উপর উইট্যা ৩ঘন্টা একটানা মমতাজের বন্ধু যখন আমার বাড়ির সামনে দিয়া হাইট্যা যায় বুকটা ফাইট্যা যায় বুকটা ফাইট্যা যাই গাইছে।অনেক কষ্টে গাছ থেকে নামায়া গত ৩দিন ধরে অনেক ঝাঁড়-ফুক চলতাছে।
খালারে কইলাম, ১সপ্তাহের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করেন ।সবার সামনে পাগলা বাবারে দৌড়ানি দিয়া বাশঁ গাছের বেত নিয়া সজীবরে নিয়া পাশের রুমে গিয়া কইলাম কি হইছে হাছা কইরা কইয়া ফেলা।না হয় বেত দেখছস?
-না.., ইয়ে.. মানে..
--কইয়া ফালা না হয় দোলাইনী

--বিয়ে করুম।
--আমি গান গাওয়ার স্টাইল শুনেই বুঝতে পারছি।খালারে বলছি বিয়ের আয়োজন করতে।১সপ্তাহের মধ্যে লাড্ডু

--সত্যি কইতাছস ।
-- জ্বী ।এতদিন পাগলামী করছস এবার ধোলাই সহ্য করতে হবে ।সবাই যদি শুনে ধোলাই ছাড়া তোর জ্বীর পালাইছে তাহলে আমারে সন্দেহ করব . . . .





আমার দেশের ভিমরুলে প্রকাশি।তখন লিখতাম ভিমরুল ওয়ালা ছদ্মনামে