এক ছাগু ভাইয়ের স্টেটাস! লেখাটা পরে ওর জন্য খুব মায়া হল! শেয়ার না করে পারলাম না! যদিয়ো সে শিবির, তাওতো সে মানুষ!
সকাল ১২ টার দিকে শাপলা চত্ত্বরে গিয়ে উপস্তিত হলাম! ইসলামের টানে এসেছিলাম! নাস্তিকদের ফাঁশি চাইতে! ব্লগারদের ফাঁশি চাইতে!দেহ মন সব দিক থেকেই সমাবেশে মিশে গিয়েছিলাম! এতো সব মুসল্লি ভাইদের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম! ধর ধর ব্লগার ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর. , বলে স্লোগানে স্লোগানে মেতে ছিলাম!
২ টার দিকে একটু ক্লান্ত হয়ে পরলাম! স্লোগান. বন্ধ করে সাইডে গিয়ে বসলাম, মোবাইলটা বের করে ফেসবুকে ঢুকে নাস্তিকদের বাজে স্টেটাস আর মন্তব্য পরতে লাগলাম! পাশের এক ভাই বলে উঠল কি কর ভাই! আমি বললাম লং মার্চ নিয়ে কি লেখা পড়ে দেখুন! বুঝতে পারছিলাম সে একজন মাদ্রাসার ছাত্র! সে মনযোগ দিয়ে পুরো পরলো ! আমার দিকে ফিরে তাকালো, তার ভেতরে যে আগুন জ্বলে গেছে বুঝতে পারছিলাম, ভিতরে ভিতরে মজাই পাচ্ছিলাম!ফেসবু -কে নাস্তিকেরা কি করে তা দেখাতে পেরে! হঠাৎ করে দেখি সে আমার কলার চেপে বসলো ! আমি তাকে বললাম"কি হয়েছে ভাই, এমন করছেন কেনো? আমি তো আপনাদের লোক"
উত্তর পেলাম না! সাথে সাথে তিনি চিৎকার শুরু করলেন বলে উঠলেন আমি।বলে নাস্তিক ব্লগার!
সাথে সাথে আমার উপর সবাই ঝাপিয়ে পড়লো! বাধা দিতে পারলাম না! বেধরক পিটালো আমাকে!
একজন আমাকে টেনে দাড়া করালো, পানজাবী টেনে ধরলো, উনার পেছনে জটলা দেখায় ঝটকা টান দিয়ে পানজাবী ছিড়ে জীবন বাঁচাতে দৌড় লাগালাম! পালিয়ে বাঁচলাম কোনো মতে! সারা গায়ে ব্যাথা করছে এখন! ঠোট কেটে গেছে! পায়ে হাটতে পারছি না ঠিক করে! আমি মূর্খ দেখেছি, তবু ওই মাদ্রাসা ছাত্রদের মত মূর্খ দেখিনি! ওরা নরক থেকে উঠে এসেছে! মানুষ মানুষকে এভাবে পেটায়? আমি ইসলামের জন্য জান দেবো, শিবিরের তাকওয়া রক্ষার্থে জান দেবো তবু ওই সব মূর্খের সাথে আর কোনো দিন যোগ দেবো না!
ওরা মনুষত্বতে আর নেই! শিবির কর্মীরা কোনো দিন মানুষকে এভাবে না বুঝে পেটায় না!
আমি ওদের অভিষাপ দিচ্ছি! ওরা জাহান্নামে যাক!
একমাত্র শিবির বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়! আর সব মূর্খ জানোয়ার! আজ যা করলো তারা আল্লাহ্ তাদের বিচার করবেন!
নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আঁকবার!
ছাগলেরা নিজেরাই আরেকজনকে ছাগল বলে! ছাগল কেডা তাইলে? মাইরালা আমারে মাইরালা!