আপনি ভদ্রলোক তাই বলে অন্যের দেয়া গালাগাল হজম করবেন, বাগে পেয়ে একখান ঘুসি মেরে দিল , মারপিট না করে ছেড়ে দেবেন।
অন্তত আমি তা করিনা কুত্তার সাথে কুত্তার উপযোগি আচরন করা টাই আমি ভাল বলে মনে করি।
ঘটনা -একঃ গত রোজার ঈদের পরদিন যশোরের রুপদিয়া থেকে মাকে নিয়ে বাসে করে রওয়ানা হয়েছি ঝিনাইদহ , মায়ের খালা (আমার নানী) মারা গিয়েছেন। বন্ধু দের সাথে বেড়ান বাদ দিয়ে শোকের পরিবেশে যেতে হচ্ছে বেশি ভাল লাগছেনা,
তারপরেও যেতে হচ্ছে। বাসে উঠলাম রুপদিয়া থেকে, বড় ভাই এর কাছ থেকে জেনে নিলাম ভাড়া কত করে, কারন আমাদের দেশে বাস কন্ডাক্টর রা যেমন খুশি ভাড়া আদায় করে। বলল ৫০ টাকা দিলেই হয় তবে এখন ঈদের সময় একটু বেশি নিতে পারে। বাস ছাড়তে না ছাড়তেই কন্ডাক্টর ভাড়া চাওয়া শুরু করলে বললাম যশোর পার হোক তবে ভাড়া দেব কারন অনেক সময় এই বাস গুলি যশোরে গিয়ে অনেক দেরি করে কিন্তু সে যশোর যাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তত তিন বার ভাড়া চাইল প্রতিবার আমি একই কথা বলে ফিরিয়ে দিয়েছি( রুপদিয়া থেকে যশোর ১০ কিমি মাত্র) । যশোর আসার পর আসল যশোর কাউন্টারের চেকার তিনি এসেই,
ভাড়া দেন
কত ভাড়া?
দুজন ,১৮০ টাকা
কিযে বলেন? ১২০ টাকা রাখেন। অন্য সময় তো ১০০ টাকা রাখে।
বাস থেকে নামেন, রুপদিয়া থেকে যশোর ২০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে নামেন।
ভাই রুপদিয়া থেকে ১০ টাকা করে ভাড়া , নেন আমি নেমে যাচ্ছি।
এরপর সে বিনা কারনে আমার সাথে ঝগড়া শুরু করল, আপনার কাছে আগের কন্ডাক্টর ১০ বার ভাড়া চেয়েছে আপনি ভাড়া না দিয়ে গ্যাঞ্জাম করেছেন। এমন মার মুখি আচরন শুরু করল তার কোন কারন আমি খুজে পেলাম না। একটু পরে এসে সে ১৪০ টাকা ভাড়া নিয়ে চলে গেল।
এত মন খারাপ হয়ে গেল, কেন মানুষ বিনা কারনে খারাপ ব্যবহার করে। এবং সাথে সাথে কিভাবে প্রতিষোধ নেয়া যায় চিন্তা করতে লাগলাম, বাসে আছি আমি একা ওরা তিন চার জন, তার পরে বাস আছে স্টান্ডে ওদের আরও লোক এখানে আছে। সুতরাং অপমান হজম করা ছাড়া উপায় নেই। গাড়ী ছেড়ে দেয়ার পর দেখি সে গাড়ীতে আছে, আমি উঠে দারিয়ে দেখলাম আমার পরিচিত কেউ আছে কিনা? দেখলাম সামনের সিটে আমার ছোট ভাইএর এক বন্ধু এবং তার সাথে তার ৪/৫ জন বন্ধু বান্ধব, আর কি তাকে আগে বললাম এই ঘটনা, এরপর আমি উঠে দাঁড়িয়ে
কলার ধরে ,এই শুওরের বাচ্চা রুপদিয়া থেকে যশোরের ভাড়া ২০ টাকা তোর কোন বাবা দেয় বল?
মার আর দেয়নি, এতেই সে চুপ, আর আমি ও শান্তি নিয়ে জার্নি করলাম।
ঘটনা দুইঃ মতিঝিল অফিস প্রতিদিন সকালে এয়ারপোর্ট থেকে ট্রেনে করে যায় আবার সন্ধ্যায় আসি, সে বিরাট এক যুদ্ধ, কিন্তু নিয়মিত যারা যাত্রি তারা মোটামুটী এর মাঝেই যাতায়াত করে সমস্যা হয়নি। আমার ও হয়না তাছাড়া আমার গলায় বেশি জোর না থাকায় আমি ঝমেলা এড়িয়ে চলি। এক ট্রেনে ভীড় হলে পরের ট্রেনে চড়ি। গতকাল দেখি কমলা পুরে তিনটি ট্রেন দাড়িয়ে *এগারসিন্ধুর ছাড়বে ৬,৩০ এ কিন্তু সময় এখন ৭,০০, *দ্রুতযান যাবে ৭,৪০ এ আর চিত্রা ৭,১৫ । কমলাপুরে একসাথে একাধিক ট্রেন দারান থাকলে যাত্রিরা কনফিউজ হয়ে যায়, কোনটা আগে যাবে বিষেশ করে এয়ারপোর্ট এর যাত্রিরা সবাই বেশি ভিতরে না গিয়ে গেটের কাছাকাছি থাকে, এতে করে ট্রেনের মধ্যে ফাকা থাকে কিন্তু বাইরের যাত্রি উঠতে পারেনা। এগারসিন্দুর এর সিগনাল দিয়েছে গেটের সামনে আমি সহ অনেক যাত্রি কেউ উথতে পারছে না কিন্তু বাইরে থেকে দেখছি ভিতরে অনেক ফাকা। গেটের ছেলেদের সাথে একপ্রকার জোরাজুরি করে উঠে পড়লাম সবাই বিরোধিতা করছে, সবাই বলছি ভাই সাইড দেন আমি সামনে চলে যাব , কেউ সাইড দেয়না বরং আরও বাধা দেয়, তার পরেও উঠে যখন পরেছি আর নামবনা, এক বুড়া তো আআমার সাথে বিড়াট ক্যাচাল শুরু করল হ্যা আপনি এত ভাল পোশাক পরা ভদ্র লোক আপনি কেন এভাবে যাচ্ছেন। তাকে বললাম ভাই সবাই তো যাবে, আমাকেও তো যেতে হবে নাকি, তার পরেও সে থামেনা তাকে দিলাম বকা আপ্নিহাত নামিয়ে কথা বলেন, সামনে খেলার মাঠ আর এখানে জটলা করে বসে আছেন , বুড়ার সামনে এক লোক বয়স ৩৫/৩৬ হবে তিনি আমাকে সাইড দিলেই সমস্যা মিটে যায় তানা করে। আমাকে জানোয়ার বলে গালি দিয়ে বসল। একবার না শোনার ভান করে চলে যেতে লাগলাম সে আবার বলল ভাল ভাবে দাড়াতে পারছিনা এই জানোয়ার টাকে আগে পাস করে নিই।
ইউ বাস্টার্ড, সান অব অ্যা বিচ। দিলাম শালারে গালি।
এরপর এগিয়ে যাচ্ছি , কিন্তু এমন খারাপ লোক তার কোলে রয়েছে একটা শিশু এমন অবস্থায় মানুষ ক্যাচাল এড়িয়ে চলার কথা কিন্তু সে আমাকে কনুই দিয়ে দিলো এক গুতা । কেমন লাগে একেতো উঠতে পারছিনা, তার পরে আমাকে গালি দিল, আবার কনুই দিয়ে গুতা মারা ,
ঘূরে কলারটা ধরেছি দেখি পাশ থেকে একজন ঘুষি দিল, আমি আজ একা আছি ছেড়ে দিয়ে সামনে চলে যাচ্ছি , পিছন থেকে গালি দিয়ে যাচ্ছে লোকটি। আমার পিছে আমারি কারনে আরও ৪/৫ জন লোক উঠেছিল
, তারাই বলল এমন লোক কে ট্রেন থেকে নামিয়ে মারা উচিত। আমিও খুব হতাশ হলাম শালা ট্রেন এ উঠে মার খেতে হল। চারপাশে খোঁজ করলাম পরিচিত কাউকে পায় কিনা? নাহ সবাই আজ আগে চলে গেছে।
মোবাইলে খবর দিলাম কয়েকজনকে এয়ারপোর্টে থাক। এক শালারে আজ সাইজ করতে হবে।
তারপর এয়ারপোর্ট এলে তাকে ধরলাম, না মারিনি তাকে, বরং আমি তার কলার ধরলে সে মনে করেছে একবার যখন মেরেছি আবার মারি এই ভেবে ঘুসি মারতে গেলে দেখে আমার অনেক লোক তখন থেমে গেল।
একটা ঘুশি ই কেবল মেরেছি। পরে আমার বন্ধুর কাছে মাফ চাইয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
মারামারি গ্যাঞ্জাম আমি করতে চাইনা, কিন্তু মার খেয়ে না মারাটাও কি ঠিক ?