যে লেখার শিরোনাম নেই
অশ্লীলতা জিনিষটা কি? যা লোকচক্ষুর অন্তরালে ঘটে কিংবা যে বস্তু আমরা প্রাণপনে লুকিয়ে রাখার চেষ্টারত থাকি, তাই প্রকাশিত হওয়ায় কি অশ্লীলতা!! আমি জানিনা। আমার ছোট্ট মাথায় অনেক কিছুই ঢুকে না। অনেক সময় যেটাকে চরম অশ্লীল মনে হয় অন্য সময় সেটাকেই মনে হয় নিখুত শিল্প।
নাকি আমরা অশ্লীলতা নাম দিয়ে পরম কোনো আকর্ষিক বস্তুকে আড়াল করতে চাই?? নাকি সামাজিক শান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে মানসিক শান্তিকে বিসর্জিত করার নামই শালীনতা?? বুঝতে ইচ্ছে করে না মাঝে মাঝে কঠিনতা। সমান্তরাল পথে হাটাকেই ব্রত মেনে চলতে ইচ্ছে করে। চলিও তাই। ২২শে শ্রাবন সিনেমাটা দেখলাম গতকাল। যদিও কলকাতার সিনেমা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি তাদের ভাষার কারনে, কেমন যেনো ভালোলাগেনা। ভালোলাগেনা ওদের অতী নাটকীয়তাও। তবুও এই সিনেমাটা দেখেছি অনেকের মুখে সাজেষ্ট পাওয়ার জন্য। সিনেমাটা কেমন বা তা নিয়ে আলোচনার জন্য এই পোষ্ট না সেটা পোষ্টের শিরোনাম এবং শুরুটা দেখলেই বুঝতে পারার কথা অনেকের। আমার এই মুভিটার সবচেয়ে ভালোলাগা অংশটুকু হলো কবি নিবারন চক্রবর্তি এবং তার কবিতারা। খুবি আকর্ষন করেছিলো কবিতাগুলো।
হাংরি আন্দোলন মুল উপজীব্য ছিলো কিনা বুঝি নাই তবে অনেকটা জুড়ে ছিলো সেটা মুভির। আমি হাংরি আন্দোলন সম্পর্কে জেনেছিলাম ব্লগে ঢুকার প্রথম দিকে, যখন ফেসবুকের কল্যানে বন্ধু হয়েছিলাম মলয় রায়চৌধুরীর সাথে। আমি খুব একটা আগ্রহ বোধ করেছিলাম্না এই আন্দোলনের প্রতি। কারন আমি ঠিক কবিতার লোক নয়। কবিতা ভালো লাগে তাই পড়ি। কবিতাটা কিভাবে আসলো, কেনো আসলো, সেটাতে আগ্রহ অনেক কম। সিনেমাটা দেখার পর আগ্রহটা একটু বেড়ে গিয়েছিলো। খোঁজ নিলাম এই আন্দোলনের। জেনে ভালো লাগলো তাদের চিন্তাভাবনা। আমি ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারবোনা, যে লিঙ্ক দুইটা দেওয়া আছে তাতেই অনেক কিছুই বর্ণ্না করা আছে। আমি যেটা বুঝেছি এই আন্দোলন সমন্ধে সেটা হলো। ঐ সময়ের কবিরা চেয়েছিলেন প্রথা ভাঙ্গতে। ভেঙ্গেছিলেনো। তাদের ভাষ্যমতে কবিতায় ভাষা ব্যবহার করতে গেলে কেনো সংযত হতে হবে, কেনো অন্যায়কারীকে সুন্দর ভাষায় বলতে হবে বদলে যাওয়ার কথা। উনারা চেয়েছিলেন সত্যিকার মনের ভাষায়, অশ্লীল গালিতে তাদেরকে ধুয়ে দিতে দিয়েছিলে ও সেইসময়ের রাজনীতিবিদসহ অন্যায়গুলোকেও। তাঁদের কথা ছিলো কবিতা হলো অনুভবের তাই এর মাঝে ছন্দবদ্ধ হতে হবে সেটাই বা কেনো। ছন্দ ছাড়াও যদি অনুভুতিতে এতটুকু খাদ না থাকে তবে ছন্দহীন বাক্যগুলোও কবিতা। অনেকে সেইসময়ে এই গুলা মেনে নিতে পেরেছিলেন না। এখনি বা কয়জন পারবে?? উনাদের আন্দোলনকে ইতিহাস ব্যর্থ বললেও আমার কাছে সফল মনে হয়েছে। কারন বর্তমানে কবিতাগুলোয় উনাদের চাওয়া অনেকটায় উঠে আসতে দেখা যায়।
এইসব নিয়ে পড়তে পড়তে আমারো মনে হলো কিছু একটা লিখি। যেহেতু এই কবিতাগুলো সাধারোন কবিতার ব্যাকারন মানতে নারাজ(কোনো কবিতায় কি আসলেই ব্যাকারন মানে!!), সেই অর্থে এরকম কবিতা লেখার সাহস যুগিয়েছে । আমি জানি সেটা কিছুই হয়নি। তবুও চেষ্টা যে করেছি সেটা জানাতেও আনন্দ লাগে।
দেশকে একটি নারীর সাথে তুলনা করা যেতে পারে
কিংবা নদী, যার দেহ পল্লবি ভোগ করার মত,
কোমল হাত দিয়ে স্পর্ষ করার মত নয়,
উষ্ণ ঠোটে উষ্ণতার চাদরে মুড়িয়ে দেবার মত নয়।
যৌনতা শেষে যাকে বেশ্যাপল্লীর ঝুলন্ত স্তন অধীকারিনী
গোলাপি কিংবা সোনালীর সাথে গুলিয়ে ফেলা যায় অনায়াসে।
যে কিনা বিছানায় অমর কোনো ভাস্কর্যের ন্যায় শিল্প ছিলো,
সেই হয়ে যায় চলার পথে পড়ে থাকা সদ্য শেষ করা কোনো
বিয়ারের ক্যান, যাকে অনায়াসে লাথি দিয়ে সরিয়ে দেওয়া যায়,
তুলে নেওয়া যায়না, চুমুক দেওয়া যায়না পতিত বস্তু ভেবে
সঙ্গমকালীন সুখ নিঃশেষ হবার পরেই।
অপেক্ষায় থাকতে হয় দেশের সুজলা সুফলা সময়ের জন্য
ঠিক যেমন কাস্টমর আসার পূর্বে গোলাপীরা লাল লিপিস্টিকে
রঙ্গীন হয়ে উঠে, ভোগ্যতার মাপকাঠি যদিও সেটার উপর ততটা
নির্ভর করেনা, যতটা নির্ভর করে দন্ডায়মান পুরুষাঙ্গের উপর।
এই নির্ভরতায় বলে দেয় গোলাপীদের স্তনের স্ফিততার পরিমাপ।
কিংবা ক্যাটক্যাটে লাল লিপিষ্টিক, অন্যসময়ের যা শুধুই আবর্জনা,
সেই হয়ে উঠে স্বর্ণপাত্রে রাখা সুরা’র ন্যায়, বিশয়বস্তু হয়ে উঠে চুমুকের।
শুষে নেয় লাল রঙ্গা ঠোটকে ঠিক রক্ত পান করার মত করে,
শুধু রেখে দেয় একদলা ফ্যাকেশে মাংসপিন্ড।
পুরুষাঙ্গ খুড়ে চলে বিরামহীনভাবে যতক্ষন না তল পাওয়া যায়।
বহুল ব্যবহৃত গর্তটাকে সুড়ুঙ্গ করার কাজ নিজেই নিয়ে নেয়
নিজের মত করে, তারপর সেখানে স্থাপন করে চলে নলকূপ।
শুষ্ক বিরানভূমিকে তরলিত করায় মূখ্য হয়ে উঠে তখন।
ভেজা, উষ্ণ, তরলে কাদাটা যখন চিটচিটে আঠালো হয়ে উঠে,
বিরানভুমি যখন শীতল হয়, থেমে যায় সমস্ত কর্মযজ্ঞ।
তখন তাকে শুধুই একটি প্রাণহীন শূণ্য বিয়ারের ক্যান মনে হয়।
যাকে চলার পথে অনায়াসে লাথি দিয়ে সরিয়ে দেওয়া যায়,
তুলে নেওয়া যায়না, চুমুক দেওয়া যায়না পতিত বস্তু ভেবে।
সেবাদাত্রী, আশ্রয়দাত্রী মায়ের মত অনেকের কাছে দেশটা।
তাদেরকেও আমার এইসব লোলুপ দন্ডায়মান পুরুষাঙ্গধারী মনে হয়।
যারা সুযোগের অভাবে কামনীয় দেশটাকে মা বলে শীৎকার করে।
নতুবা তারা কেনো মায়ের যৌনক্রীয়া উপভোগ করে?
কেনো হস্তমৈথুনে লিপ্ত হয় মায়ের যৌণসম্ভোগে?
পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে সম্মুখের আলোয় ভীত হয়ে,
অউপভোগ্যতার কাছে নতীস্বীকার করে,
সন্তান হয়ে যেতে পারে অনেকে, কিন্তু সবাই জারজ সন্তান হতে পারেনা।
হতে পারেনা মুখে অশ্রাব্য গালিতে ভরপুর টগবগে তরূন,
যে কিনা মায়ের দুঃখ উপভোগ না করে যন্ত্রণা হিসাবে নেয়,
যার প্রমাণ তার মুখ নিঃসৃত বাক্যবান।
সহসী নির্ভিকচিত্তে মায়ের ধর্ষনের কথা জানানোর মত শক্তি,
লজ্জায় লুকিয়ে হস্তমৈথুনে পাওয়া আনন্দ যার কাছে গালি,
আর বীর বিক্রমে ধর্ষকদের ধর্ষিন করায় যার মুলমন্ত্র,
সেই জারজ সন্তানই মায়ের পরম তৃপ্তি।
আজ থেকে তুমিও হয়ে যাও হয় জারজ সন্তান নতুবা মায়ের নব্য প্রেমিক।
পলায়নরত হস্তমৈথুনকে শিল্পে মর্যাদা দেওয়া কাপুরুষকে কারো প্রয়োজন নেই,
না মায়ের, না ধর্ষকের, না মায়ের পেটে উৎপাদিত জারজ সন্তানদের।
হয় জারজ সন্তান হও নতুবা মায়ের নব্য প্রেমিক!
অটঃ এইটারে কবিতা না মনে হইলে মুক্তগদ্য হিসাবে পড়লেও সমস্যা নাই :p
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন