ঝড় তুফান, বন্যা বৃষ্টি যাই হোক , নির্বাচন হতেই হবে - বলেছেন বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমান !! প্রায়ই অনলাইনে দলের নেতা কর্মীদের সাথে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেই সব বক্তব্যের মুল কথাই হল নির্বাচন ! এত বড় একটা রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম স্বৈরাচার মুক্ত হল , অথচ তারেক রহমানের বক্তব্যে রক্তক্ষয়ী বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের কথা থাকে না । নেই স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে হুঙ্কার । নেই দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি কর্মী ও সমর্থকদের উপড় লীগের তীব্র দমন , নীপিড়নের কথা । নেই ভারতীয় আগ্রাশনের বিরুদ্ধে কথা । দিনরাত কেবল নির্বাচন , নির্বাচন করে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে এরা। অথচ এই দলটাই দী্র্ঘ ১৬ বছর নির্বাচন করার সুযোগ পায়নি। আর এখন এই দেশের তরুন প্রজন্মের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতনের পর আর তর সইছে না। অন্তর্বর্তী সরকার কি একবারের জন্যও বলেছে যে, দেশে নির্বাচন হবে না ? তারা বারবার বলছে যে, ঘুনে ধরা স্বৈরাচার সিস্টেমের সংস্কার শেষেই তারা নির্বাচন দেবে যাতে এই দেশের মানুষ প্রকৃত গনতন্ত্রের স্বাদ পায় । এক দুর্নীতিবাজ ডাকাতের বদলে আরেক দুর্নীতিবাজ দলের ক্ষমতায়ন এর নাম আর যাই হোক গনতন্ত্র হতে পারে না।
আমরা জানি যে, সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগ, দুর্নীতি, নির্বাচনী প্রক্রিয়া—এই ছয় ক্ষেত্রে সংস্কার-পরিকল্পনার খসড়া তৈরির জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং কমিশনগুলো রিপোর্টও দাখিল করেছে। এখন মুল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এর বাস্তবায়ন। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতি সদিচ্ছা পোষন করত তবে অন্তবর্তী সরকারের জন্য এই প্রক্রিয়া সহজ হত। কিন্তু তিক্ত সত্য হচ্ছে বিএনপি সংস্কার চায় না, সংবিধান পরিবর্তন চায় না, জুলাই-অগাস্ট বিপ্লবের ঘোষনাপত্র চায় না ! তারেক রহমান বলেছেন যে , ক্ষমতায় গিয়ে তারা সংস্কার করবে , নতুন বাংলাদেশ গড়বে! কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে ক্ষমতায় যাবার আগেই বিএনপি নেতারা বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি , মামলা বানিজ্য করছে ! প্রসাষনের সর্বত্র বিএনপিপন্থীরা দখল নিয়ে সেই আগের দুর্নীতিপরায়ন সিস্টেমই বজায় রেখেছে ।তাদের কর্মকান্ডে পরিষ্কার যে, আওয়ামিলীগ আমলের সকল স্বৈরাচারী সিস্টেম অপরিবর্তিত রেখে তারা স্রেফ এর পুনরাবৃত্তি চায় ! তাহলে আবু সাইদ, মুগ্ধরা রাজপথে রক্ত কেন দিল? এই তরুনদেরতো এখন মৃত্যূবরনের কথা ছিল না। তাদের সামনে ছিল সুন্দর অনাগত এক ভবিষ্যত ।
বিএনপি এই জেন-জি প্রজন্মকে চিনতে ভুল করেছে । জেন-জি কে ইন্টারনেট আসক্ত এক জেনারেশন হিসাবে আখ্যায়িত করে ৯০ দশকের তরুন যুবারা ( বর্তমানে প্রবীন

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬