ক্রিকেটারদের সঙ্গে গ্ল্যামার জগতের সম্পর্ক নতুন নয়। বিশেষ করে এই উপমহাদেশে এর ভূরি ভূরি প্রমান মেলে। তাদের প্রণয় যেমন চমকপ্রদ আর তেমনি কৌতুহলি। তাদের প্রেম কাহিনী নিয়ে শুরু হচ্ছে একটি নতুন সিরিজ ক্রিকেটারদের প্রেম। আজকের প্রেমিক যুগল হচ্ছেন ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রি শর্মিলা ঠাকুর আর ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি।
জোঁড়াসাকো পরিবারের মেয়ে শর্মিলা ঠাকুর তখন কলকাতার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে পড়েন।সে সময়কার দুর্ধষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল খেলতে এসেছে ভারতে। কিংবদন্তীর গ্যারি সোবার্স তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক। আর ভারতের কান্ডারি তখন মনসুর আলি খান পতৌদি। ছোটে নবাব। ইডেনে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ।বান্ধবীদের সঙ্গে তিনকাঠির খেলা দেখতে গেলেন নিতান্ত আটপৌড়ে বাঙালি তরুনি শর্মিলা ঠাকুর। তিনি আবার মনসুর আলি খান পতৌদির গুনমুগ্ধ ভক্ত। পতৌদি তখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের চৌকস ব্যাট্সম্যান এবং অধিনায়ক। তরুনীদের হার্টথ্রব।
শর্মিলা অটোগ্রাফের খাতা বাড়িয়ে দেন তার স্বপ্নের নায়কের দিকে। সেই প্রথম দুজনের চার চোখের মিলন।নবাব পতৌরি হৃদয় কি সেদিনই হারিয়ে যায়? শর্মিলা তখনও সেলিব্রেটি হন নি। আর পতৌদি পয়মন্ত ক্রিকেটার। সম্পর্কের নদী যেন বয়েই গেছে নিরবিচ্ছিন্ন। ক্রমে আবেগের দঢেউগুলো আছগড় পড়ে দুজনের মনের তীরে। এরপর জোঁসাতকার পরিবারের মেয়ে অনেক কাছে চলে আসেন ছোটে নবাবের। অথচ, নবাবের এক চোখ নেই। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে এক চোখ হারিয়েছেন। সেখানে পাথর বসানো।তবু মন যারে চায়।সুদর্শন পুরুষ পতৌদির প্রেমে পড়তে সময় নেন নি শর্মিলা। তবে আগুন দু তরফেই লেগেছিল। বহুদিন আগের আলাপ আদাব পর্ব পেরিয়ে দজনে পা রাখেন প্রণয়ের আঙিনায়।এরপর বিয়ে। সেটা ষাটর দশকের শেষ দিকের ঘটনা। ভারতে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল এই বিয়ে নিয়ে। শর্মিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে নতুন নাম নেন ফারজানা। ফারজানা থুড়ি শর্মিলা ইতোমধ্যে সত্যাজিত রায়ের হাত ধরে রুপালি পর্দায় অভিষিক্ত হয়েছেন। এরপর কলকাতা ছেড়ে মুম্বাই। ছবির পর ছবি। বাঙালি রমনীর মুম্বাই বিজয়। আর পতৌদি খেলা ছেগড় বন্দি হয়েছেন স্ত্রীর আঁচলে।সেই তাদের ছেলে সাইফ আলি খান এখন বলিউডের চলতি ক্রেজ । আর মেয়ে সোহা আলি খানও এসেছেন অভিনয়ে। সে আরেক কাহিনী। বর্তমানে সুখেই কেটে যাচ্ছে তাদের দিন। (চলেব)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৬