এটা ঠিক, তথাকথিত ‘গ্ল্যামার ডল’ না হয়েও বিদ্যা তাঁর চার বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ঝুলিতে ভরেছেন ১০টি ছবি, যার মধ্যে মাত্র তিনটি ফ্লপ (সালাম-ই-ইশক, একলব্য, হল্লা বোল), চারটি হিট (পরিণীতা, গুরু, কিসমত কানেকশন, পা) এবং তিনটি ব্লকবাস্টার হিট (লাগে রাহো মুন্নাভাই, হে বেবি, ভুল ভুলাইয়া)। এই ১০টি ছবির মধ্য থেকে বিদ্যাকে প্রিয় পাঁচটি ছবির নাম বেছে নিতে বলা হয়। বিদ্যা বেছে নেন—পরিণীতা, ভুল ভুলাইয়া, পা, লাগে রাহো মুন্না ভাই এবং মুক্তি প্রতীক্ষিত ইশকিয়া। সব কটির মধ্যে ইশকিয়ার কৃষ্ণা চরিত্রটি বিদ্যার সবচেয়ে প্রিয়। ইশকিয়া মুক্তি পাবে আগামী সপ্তাহে, এই প্রথম বিদ্যা ধূসর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের জন্য ওজন বাড়িয়েছেন। আরশাদ ওয়ার্সির সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। গ্রাম্য ভাষায় গালমন্দ করেছেন আরশাদ ও নাসিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে।
বিদ্যা বালানের মুখ থেকে গালি? আরশাদের সঙ্গে চুম্বন? বিদ্যা কি তবে বিশাল ভরদ্বাজের নাম দেখেই ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন? ‘অবশ্যই নয়’, বিদ্যার যুক্তি খণ্ডন, ‘আমি এখন পর্যন্ত কোনো ছবিই চিত্রনাট্য না শুনে সই করিনি; সে যত বড় নির্মাতা হোক। ইশকিয়ার বিশেষত্ব এর স্বাভাবিকতা। হিন্দি ছবিতে নায়িকার চরিত্র হয় সতী সাবিত্রী, নয়তো ভ্যাম্প। ভালো-মন্দের সমান্তরাল চরিত্র সচরাচর পাওয়া যায় না। এ কারণেই ইশকিয়া আমার কাছে বিশেষ কিছু। ছবির “ইবনে বতুতা” গানটির জন্য মদ খাওয়ার অভিনয়ও করতে হয়েছে, যেখানে বাস্তবে কখনো অ্যালকোহল ছুঁয়েও দেখিনি।’
নাসিরউদ্দিন শাহের বিপরীতে অভিনয় করলেও বিদ্যার প্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, উত্পল দত্ত ও শ্রীদেবী। যদিও তিনি স্বপ্ন দেখেন শাহরুখ খান, আমির খানের সঙ্গে কাজ করার। শাহরুখ খান থাকলে আইটেম গানে কাজ করতেও আপত্তি নেই বিদ্যার। তবে অবশ্যই নিজস্বতা জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। ‘প্রয়োজনে ঘরে বসে থাকব, তবে নীতিবিরুদ্ধ কোনো কাজ করব না’, বিদ্যার বিবৃতি
(প্রথম আলোয় প্রকাশিত)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৩