: সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ আরও ৭জন
: ঝালকাঠি আদালতে বুধবার সকালে অস্ত্র আইন মামলায় লিমনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ।
সকাল ১১টার দিকে তাখিল করা অভিযোগপত্রে লিমনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোর্শেদ জোমাদ্দার, জামাল, সুমন, জাহাঙ্গীর, লেবু জোমাদ্দার, হালিম এবং খাটো মিজান। চার্জশিটে লিমনকে কিশোর অপরাধী উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সবার বাড়ি জেলার রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এলাকায়।
উল্লেখ্য, গরিব ঘরের সন্তান লিমন লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ইট ভাটায় কাজ করে।
গত ২৩ মার্চ বিকেলে বরিশাল র্যাব-৮ এর ডিএডি লুৎফর রহমানসহ র্যাবের একটি দল ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে এসে কলেজ ছাত্র লিমনকে আটক করে। র্যাব তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তার চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। এসময় র্যাব লিমনের বাম পায়ে গুলি করে।
পরে গুরতর অবস্থায় লিমনকে র্যাব সদস্যরা রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাকে বরিশাল র্যাব-৮ এর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সবশেষে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর র্যাব লিমনের নামে দু’টি মামলা দায়ের করে। লিমনের মা হোনোয়ারা বেগমের অভিযোগ আইনের হাত থেকে বাঁচতে র্যাব নিরপরাধ এবং ঘটনার শিকার লিমনের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করেছে।
লিমন এখন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন। জীবনের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় তার গুলিবিদ্ধ পাটি কেটে বাদ দয়েছেন চিকিৎসকরা।সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ আরও ৭জন
উল্টো লিমনের বিরুদ্ধেই পুলিশের চার্জশিট