মুরগী চুরির পর এবার মুরগীর গিলা-কলিজা চুরি করলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের দিন এ ঘটনা ঘটে। একই হলের মুরগী চোর খ্যাত আজগর আলীর নেতৃত্বে আবারো চুরির এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের স্পেশাল মেনুতে মুরগী রাখা হয়েছিল। মুরগীর মাংশ রান্নার পর মুরগীর গিলা-কলিজা রাখা হয় স্পেশাল বুটের ডাউলে দেয়ার জন্য। প্রায় ৩ গামলা কলিজা ও গিলা রাখা হয়। হলের আবাসিক শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার, বর্তমানে ছাত্রলীগের বহি®কৃত নেতা আজগর আলী জুনিয়রদের নিয়ে সেই ৩ গামলা গিলা ও কলিজা চুরি করেন। এসময় ডাইনিংয়ের এক কর্মচারী দেখে ফেললে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
পরে হলের প্রভোষ্ট আওয়ামীলীগের চামচা, ছাপোষা কুত্তা খবির উদ্দিন খোঁজ নিয়ে দেখতে পান মুরগীর কলিজা ও গিলা চুরি হয়েছে। তিনি ডাইনিংয়ের কর্মচারীদেও দোষারোপ করতে থাকেন। এসময় এক কর্মচারী ছাত্রলীগের স্বনামধন্য নেতাদের কথা বলে দেন।
চুপ হয়ে যান প্রভোস্ট। এসময় উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে খবির সাহেব আজগরকে ফোন দেন। আজগরকে তিনি ছোটলোকের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেন। পরে আজগর কিছুটা ভয়ে, মান সম্মান রক্ষার্থে ২ গামলা কলিজা ও গিলা ফেরত দেন।
বাকি গুলো দিয়ে গভীর রাতে হলে মদ খেয়ে নেশায় বুদ হয়ে থাকেন আজগরসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। এব্যাপারে প্রক্টও অধ্যাপক আরজু মিয়া বলেন, ‘একটু আনন্দ ফুর্তি করেছে ছাত্রলীগের পোলারা।’
উল্লেখ্য,
এর আগে গত জানুয়ারী মাসে আজগর এর প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে বিশমাইল এলাকার এক মুরগীর খামার থেকে গার্ডদের বেধে রেখে প্রায় ৩২ হাজার মুরগী চুরি করেন। এরপর সেগুলো বিক্্ির না হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইসলামনগর, বিশমাইল এলাকায় খুচরা বিক্রি করেন।