দৈনন্দিন জীবনে কোন ভুল হলে তা একবারই হয়, কারো ক্ষেত্রে দুবার হতে পারে। যদি এক ভুল তিনবার বা ততোধিক হয় তা আর 'ভুল' থাকে না। কোন ভুল একাধিকবার হলে তাতে থাকে কোন অদৃশ্য হাত বা শক্তি।
*কেস স্টাডি ১-
প্রথমেই নিকট অতীতের কথাই বলি। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ নৈপুন্য প্রদর্শন করেছে। ম্যাচের অধিকাংশের নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে ছিল। ৪ উইকেট বাকি থাকতে, দুজন ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকতেই বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩ বলে ২ রান। তখনই 'ভুল' এর সূচনা করলেন মুশফিক। পূর্বের দুটি বলে তিনি বোলারের মর্জির বিপরীতে চমৎকার গ্যাপ শট খেলেন। ২ রান বাকি থাকতেই তিনি বোলারের মর্জি মতো বলকে উড়ালেন ল্যাগ সাইডে। ক্যাচ আউট! বড্ড ভুল! তারপর শুভাগত আসলে মাহমুদুল্লাহ তাকে সরিয়ে নিজে গেলেন অ্যাকশনে। আবার বোলারের মর্জি মতো ল্যাগ সাইডে বাউন্ডারি করতে চাইলেন। ক্যাচ আউট! আবার ভুল! ১বা২ রানের জন্য বাউন্ডরি!
অবশেষে বাংলাদেশের হার এই দুই ভুলের জন্য।
কোন ভুল দুই বা ততোধিকবার হয় তা আর 'ভুল' থাকে না। কোন ভুল একাধিকবার হলে তাতে থাকে কোন অদৃশ্য হাত বা শক্তি। আর ঐ শক্তিটা সুপারপাওয়ার হলে দেয়ার ইজ নাথিং টু ডু বাট প্রেয়িং।
**কেস স্টাডি ২-
সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে প্রায় বছর আগে জ্বালানি তেল নিয়ে একটা লাইটার জাহাজ ঢুবে সব জলজ স্থলজ প্রাণীকে তাড়িয়ে দিল। এটা নিশ্চয় ভুল বলবেন(অনেকে)। আচ্ছা ধরে নিলাম মানুষ মাত্রেই ভুল।
তারপর আবার ঐ নদীতেই ২৭ অক্টোবর ডুবল কয়লাবাহী জাহাজ। আচ্ছ না হয় ধরে নিলাম ভুল দুবার হতে পারে।
পুনরায় ২১ মার্চ ২০১৬ তে সেই শ্যালাতেই ডুবল ১৩০০ টন কয়লা পরিবাহী লাইটার জাহাজ। এটাও ভুল হতে পারে? তাহলে তো ভুল শব্দের অর্থটাই পাল্টাতে হবে।
এসব 'ভুলে'র পেছনে রয়েছে অদৃশ্য শক্তির হাত। কিন্তু there is something to do, কেননা এটার পেছনে সুপার পাওয়ার থাকলেও তা আমাদের আয়ত্তের ভেতর।
এগুলোকে ভুল না বলে ষড়যন্ত্র বলাই শ্রেয়।
***কেস স্টাডি ৩- সংক্ষেপেই বলি।
শেয়ারবাজার মহাকেলেঙ্কারি হয়ে গেল। তবুও সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে পারি - না বুঝিয়া করে কাম শেষে হয় বদনাম।
তার পরপরই বিসমিল্লাহ- ডেসটিনি- হলমার্ক বেসিক ব্যাংক কেলোঙ্কারি।
মন্ত্রী বলেছিলেন, "৪০০০ কোটি টাকা তেমন কিছু না।"
এটাকেও সরকারের 'ভুল' বললে হয়ত তাদের কাধে বোঝা লাঘব হবে।
সর্বশেষ, কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কেলেঙ্কারির পর বিশ্বব্যাংক থেকে বাংলাদেশ! ব্যাংকের রিজার্ভ লুট। এটাকে তাহলে আন্তর্জাতিক 'ভুল' ( বা ষড়যন্ত্র) বললে ভাল শুনাবে। কিন্তু আগেই বলেছিলাম, এত ভুলের পেছনে থাকে অদৃশ্য শক্তির হাত। সে হাতের ইশারায় ৬ জন নির্ধারিত কর্মকর্তার আঙ্গুলের ছাপ ও বিশেষ কোড নিয়ে বাংলাদেশের রিজার্ভ চলে যায় বিদেশে। সে অদৃশ্যশক্তির নির্দেশে চুরির তথ্য উদঘাটনের প্রধান সোর্স ব্যাংকের ' আইটি সেক্টরে' তাৎক্ষনিক নিয়োগ পায় রাকেশ আস্তানার মতো বিদেশি বিশেষজ্ঞ। আর খোয়া যায় (গুম হয়) জোহার মতো দেশী বিশেষজ্ঞ। সেই শক্তির কাছে ব্যাংক গভর্ণর থেকে মন্ত্রী সবাই অসহায়। তবুও there is something to do.
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫০