একদিন অদৃশ্য হয়ে যাব টুপ করে কোন মায়াহরিণের চোখ থেকে যেখানে শীতঘুমরত অযুত বকপাখি।চলে যাব কোন রুপকথার শেষ জানালার অসুখী আয়নায় চোখ রেখে গাঙচিলডানার ভাঁজে সব রং, মন ও দু:খ মুছে।কোন জারুলবনের একলাদুপুরে লিখা হবে না স্বপ্নান্ধ অক্ষরের গল্প।নিষেধের সব চিরকুট ফেলে হেটে যাব কোন গুপ্ত সরোবরে নীল ফিতেয় বাধা কিশোরীর নরম চুলে মৃত্যু দেখে।
একদিন হারিয়ে যাব দুঃখবিষয়ক যে কোন গল্প অনুবাদের নির্জনতায় , মনের বারান্দায় ডাহুকের হাহাকার , যে কোন বিকালে হাতের নখের রাখা গোপন বাক্সে ডুকে যাবে বিষাদের ঊড়োজাহাজ।ভীষন ব্যর্থতায় ডুকে যাব কোন চরিত্রবান গোলাপের শরীরে বেওয়ারিস ভাবনার মালিকানায় , ঝড়োহাওয়ায় এলোমেলো ঘাসের নরমচোখে হবো বিষাদের চাষাবাদ।
একদিন চলে যাব পাথরাণ্য শহরের সবচেয়ে নিঝুম রাস্তার পথ ধরে কোন অলৌকিক দ্বীপপুঞ্জের স্বপ্নাতুর চোখে।নাগরিক খরগোসের চোখে একে দিয়ে যাব মৃত্যুর রোশনাই, চেনাকন্ঠ স্বরে হয়ত থাকবে দুঃখমেঘের সাতার, তবুও শুন্যতার সংসারে দেখে নেব বিষন্নতার মানচিত্র।
মিশে যাব ছায়াযুবতীর মত রাতের নরমবুকে , প্রিয় কারো স্পর্শের বিস্মৃতিতে।রাত্রি এবং আমি মুখোমুখি হবো চিলকোঠায় নিজস্ব অনুভুতির দেয়ালে সেঁতার বাজিয়ে ।হাওয়ালেকের তীরে বসে জোছনা রাতে তারাদের অতৃপ্ততার গান অন্তিম স্তবকে, কোন সমুদ্রপাখির ঠোটে হলুদ দীর্ঘশ্বাসের অসুখ!
হাসিমুখে হেটে যাব পতনের দিকে, হাতের নখের ভিতরে পৌরণিক অভিশাপ !
উৎসর্গ: প্রিয় এলেক্স ব্রাদার ফাহাদ চৌধুরী । ঊনার এই কবিতা দেখেই এটা লেখার অপচেষ্টা করেছি !