অবশেষে আমাদের প্রাকৃতিক পারবেশের প্রধান দুটি স্থানকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে দাড় করালাম। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনে এখন বিচারের আশায় আমাদের প্রিয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত; প্রান বৈচিত্রে ভরপুর সুন্দর বন।
দেশ জুড়ে ভদ্রজনেরা কক্সবাজার, সুন্দরবনকে ভোট দিন প্রচারে মত্ত।নগরীর বিলবোর্ড থেকে শুরু করে শিক্ষালয় সর্বত্র কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য ক্ষমতায় বসিয়েই ছাড়বেই। মাতালমিডিয়া এর বড় প্রচারক। এটাতো সবাইকে হিরো বানাতে চায়। দুনিয়ার যত ডাকাত; বদমাশ; যুদ্ধবাজ; স্বেচ্ছাচারী; বিনোদনের নামে সেক্স বেচা নারী সবাইকে হিরো বানিয়ে এখন লেগেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশের পেছনে।
ধরুন; বাঙালিরা সংসদক্ষমতাবান নির্বাচনের মতো মাতোয়ারা হয়ে কক্সবাজার-সুন্দরবনকে বিজয়ী করে আনলো। তাহলে কী বা হবে কক্সবাজার-সুন্দরবনের ? একটা জিনিস হতে পারতো; হাজারো বিনোদন প্রিয় পর্যটকদের ডলারে ভরে উঠবে পর্যটন শিল্প। রাজস্ব বাড়বে শাসকসরকারের। কক্সবাজার ,সুন্দরবন এলাকায় পর্যটকদের জন্য নির্মিত হবে আকাশছোয়া দালান। তাদের জন্য নিশ্চিত করা হবে আধুনিব সুযোগ-সুবিধা। গোপনে প্রকাশ্যে সেক্স বানিজ্য হবে। যারা ইতিমধ্যে বলতে চাইছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আর সুন্দরবনের পাশ্ববর্তি মানুষের আয়ের পথ খুলে যাবে, তাদেরকে বলি; অনেক আগে থেকেই কক্সবাজার পর্যটনপ্রিয় এলাকা। এর পরের বাংলাদেশের যে সব এলাকায় দরিদ্রসীমার নীচে অধিকাংশ লোক বাস করে কক্সবাজার তাদের মধ্যে অন্যতম। আর সুন্দরবনের কথা বলবেন। সিডর না হলে হয়ত আপনি জানতেনই না লাখ লাখ লোক সেখানে কুড়ে ঘরে বাস করতো। নিরাপদ আশ্রয়ের কোনো অবকাঠামো সেখানে গড়ে ওঠেনি। সিডরে চার হাজার মানুষের মৃত্যু কি আপনাকে জানান দেয় না সেখানে তারা কি অবস্থায় ছিলো।
যে তথাকথিত দেশপ্রেম মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না; সে দেশপ্রেমে কি যায় আসে দেশের । দেশপ্রেমের প্রতিক-এ মিডিয়ার এই বানিজ্যিক প্রচারনা-জয় পরাজয়ের জুয়া খেলায় আমরা সাধারনেরা কেন মত্ত হবো???
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:০৬