বন্ধু-আছ কি সুখের ঘুমে রঙ্গীন স্বপ্নের দেশে-
অন্যায়ের বন্যায় আশার ঘর যে তোমার নিমেষে গেলো ভেসে!
জেগে ওঠো-দেখো চেয়ে তোমার গোলার ধান শস্য দানা,
লুটে নিলো তস্কর-বাঁচবার রসদ স্ত্রী সন্তান আজ করে আর্তনাদ।
চারিদিকে রব চিৎকার হাহাকার-হবে না কি তার কোন প্রতিকার-
বুকের পাঁজড় ভেঙ্গে করে চুরমার ঐ পিশাচ রাজাকার।
আমার বাবার ভিটায়-ঘাম ঝরিয়ে বাঁধা ঘরে
একদা যে কসাই উল্লাস করেছে বাবাকেই জবাই করে।
ছোট সোনা বোন কচিমুখে যার থাকত ভরে হাসি-
বলাৎকার করে মেরেছে তাকে হায়েনারা- মোল্লাবেশী।
মা;কে করেছে বীরাঙ্গনা আর ভাইকে শিরোচ্ছেদ-
প্রিয়তমা বধু উলঙ্গ হয়েছে মেটাতে ওদের জেদ।
বুক ভাঙ্গা দীর্ঘশ্বাস-অবিরাম বয়ে চলে কালবৈশাখী ঝড়ে
বাংলা মায়ের শরীর রক্তাক্ত হয়েছে নরখাদকের আঁচড়ে-
সেই সে নরাধম আজো দম্ভ ভরে মাথা উঁচিয়ে ফেরে,বিষাক্ত ফনা তুলে
ছোবল মারবে বলে চেপে বসে আছে এই সমাজের ঘাড়ে।
চেয়ে দেখো ঐ চলে যায়-গরাদের তালা খুলে উগ্র ভঙ্গিমায়-
উন্মত্বের চতুরতায়-আমরা আগেও ছিলাম এখনো অসহায়।
চোঁখ মেলে চাও-এসো দ্বিধা দ্বন্দ ভুলে ধরি হাতে হাত-
কাটবে আঁধার রাতি,সুদিন আসবেই আসবে প্রভাত!
একতার বাঁধনে চলো প্রতিবাদ করি-করি অবরোধ-
ফাঁসির মঞ্চে পাঠাব ওদের-নেব মাতৃ হত্যার প্রতিশোধ।
জনতার জোয়ারে ভেসে যাবে সব হবে চক্রান্ত বরবাদ-
ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে হবে সব রাজাকার জল্লাদ।