অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে সকল প্রকার জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু মাত্র ফার্নেস অয়েল বাদে।সরকারের দাবি সময়ের প্রয়োজনে আর দাতাদের চাপে ভর্তুকী কমাতে এই মুল্যবৃদ্ধি।আসুন দেখি এই তেল নিয়ে দেশে কি তেলেসমাতি চলছে!!
সর্ব প্রথম যাওয়া যাক চা-এর দোকানে,এক কাপ চা এখন ৬টাকা-কোথাও কোথাও ৪ অথবা ৫টাকা।সমগ্র বাজার এক লাফেই কিছুটা উঁচুতে চলে গেছে বিনা নোটিশে-গাড়ী ভাড়া বেড়েছে লাগামহীন ভাবে,যে যেমন পারছে আদায় করছে দেখার কেও নেই।লাভবান হয়েছে দেশের পাম্প মালিকেরা সঙ্গে মজুদদার ব্যাবসায়ীরা।তেলের দাম বাড়বে সে কানাকানি আর জানাজানি বাজারে চালু ছিলো বেশ আগে থেকেই-কেও নিজের টাকায় কেওবা ধারের টাকাই কিনে রেখেছে কোটি কোটি টাকার তেল।লাভবান গনপরিবহনের মালিকেরা,৫টাকা দাম বেড়েছে তাই ভাড়া বাড়িয়েছে মাথা পিছু ৫০টাকা!বাড়বে আরেকদফা বিদ্যুতের দাম!আর তেলের এই তেলেসমাতির বলি হচ্ছে এ দেশের সাধারন মানুষ!!কোরবানী দেওয়া হয়েছে গরীব কৃষকের স্বপ্ন সাধ!
আন্তর্জাতিক বাজার যদি বৃদ্ধি পায় তবে অবশ্যই আমাদের বাজারেও তেলের দাম বাড়াতে হবে-সেটা যুক্তিসঙ্গত।কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী,তাহলে কোন যুক্তিতে বাড়ানো হলো দেশের কোটি কোটি কৃষকের ইরি আবাদ সামনে রেখে ডিজেলের দাম?দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসাবে প্রমান করবার জন্য?দাতারা তো আমাদের উপদেশ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।আর সে উপদেশ অবশ্যই হয় দাতাদের স্বার্থে।আমরা কেনো তাদের সে ফাঁদে পা দেব??
যদি একান্তই দরকার ছিল তবে কৃষকের জন্য কেনো রেশনিং এর ব্যাবস্থা রাখা হল না?যদি কৃষক বাঁচাতে হয়-দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন করতে হয় তাহলে অবশ্যই কৃষককে কম মুল্যে ডিজেল সরবরাহ করতে হবে।প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে তালিকা করে প্রকৃত কৃষক ও পাম্প এর তালিকা করে তাদের প্রয়োজন মাফিক তেল কম মুল্যে সরবরাহের ব্যাবস্থা নিতে হবে!এ কাজটা খুব বেশী কঠিন না।শুধু দরকার সরকারের আন্তরিকতা,কিন্তু সমস্যা সেখানেই।সরকারের এতোগুলো উপদেষ্টা বসে বসে সরকারকে নীরবে বাঁশ দেওয়ার জন্য জনগনের টাকায় নিজেদের চেহারা পরিবর্তন করতে প্রতিনিয়ত তেল দিয়ে চলেছে যে-বর্তমান সরকার প্রধানের ও কিছু করবার ক্ষমতা আছে বলে মনে হয় না!মনে রাখা দরকার-বাংলাদেশের মোট ভোটারের ৮৫শতাংশই কিন্তু খেটে খাওয়া কৃষক।