somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তেল নিয়ে তেলেসমাতি

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে সকল প্রকার জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু মাত্র ফার্নেস অয়েল বাদে।সরকারের দাবি সময়ের প্রয়োজনে আর দাতাদের চাপে ভর্তুকী কমাতে এই মুল্যবৃদ্ধি।আসুন দেখি এই তেল নিয়ে দেশে কি তেলেসমাতি চলছে!!
সর্ব প্রথম যাওয়া যাক চা-এর দোকানে,এক কাপ চা এখন ৬টাকা-কোথাও কোথাও ৪ অথবা ৫টাকা।সমগ্র বাজার এক লাফেই কিছুটা উঁচুতে চলে গেছে বিনা নোটিশে-গাড়ী ভাড়া বেড়েছে লাগামহীন ভাবে,যে যেমন পারছে আদায় করছে দেখার কেও নেই।লাভবান হয়েছে দেশের পাম্প মালিকেরা সঙ্গে মজুদদার ব্যাবসায়ীরা।তেলের দাম বাড়বে সে কানাকানি আর জানাজানি বাজারে চালু ছিলো বেশ আগে থেকেই-কেও নিজের টাকায় কেওবা ধারের টাকাই কিনে রেখেছে কোটি কোটি টাকার তেল।লাভবান গনপরিবহনের মালিকেরা,৫টাকা দাম বেড়েছে তাই ভাড়া বাড়িয়েছে মাথা পিছু ৫০টাকা!বাড়বে আরেকদফা বিদ্যুতের দাম!আর তেলের এই তেলেসমাতির বলি হচ্ছে এ দেশের সাধারন মানুষ!!কোরবানী দেওয়া হয়েছে গরীব কৃষকের স্বপ্ন সাধ!
আন্তর্জাতিক বাজার যদি বৃদ্ধি পায় তবে অবশ্যই আমাদের বাজারেও তেলের দাম বাড়াতে হবে-সেটা যুক্তিসঙ্গত।কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী,তাহলে কোন যুক্তিতে বাড়ানো হলো দেশের কোটি কোটি কৃষকের ইরি আবাদ সামনে রেখে ডিজেলের দাম?দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসাবে প্রমান করবার জন্য?দাতারা তো আমাদের উপদেশ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।আর সে উপদেশ অবশ্যই হয় দাতাদের স্বার্থে।আমরা কেনো তাদের সে ফাঁদে পা দেব??
যদি একান্তই দরকার ছিল তবে কৃষকের জন্য কেনো রেশনিং এর ব্যাবস্থা রাখা হল না?যদি কৃষক বাঁচাতে হয়-দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন করতে হয় তাহলে অবশ্যই কৃষককে কম মুল্যে ডিজেল সরবরাহ করতে হবে।প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে তালিকা করে প্রকৃত কৃষক ও পাম্প এর তালিকা করে তাদের প্রয়োজন মাফিক তেল কম মুল্যে সরবরাহের ব্যাবস্থা নিতে হবে!এ কাজটা খুব বেশী কঠিন না।শুধু দরকার সরকারের আন্তরিকতা,কিন্তু সমস্যা সেখানেই।সরকারের এতোগুলো উপদেষ্টা বসে বসে সরকারকে নীরবে বাঁশ দেওয়ার জন্য জনগনের টাকায় নিজেদের চেহারা পরিবর্তন করতে প্রতিনিয়ত তেল দিয়ে চলেছে যে-বর্তমান সরকার প্রধানের ও কিছু করবার ক্ষমতা আছে বলে মনে হয় না!মনে রাখা দরকার-বাংলাদেশের মোট ভোটারের ৮৫শতাংশই কিন্তু খেটে খাওয়া কৃষক।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×