আমার ক্লোজ ছোটভাই আলীম আল রাজি(বিশিষ্ট ব্লগার) এবং ক্লোজ দোস্ত তানিয়া মুন(সম্প্রতি তিনি বিশিষ্ট ব্লগারের লিস্টে নাম লিখিয়েছেন)- দুজনেরই চিন্তার পরিধি বিশাল। সিংগারার আলু থেকে শুরু করে সিংগাইরের দূষিত পরিবেশ- জগতে চিন্তা করার এইরকম অনেক বিষয় থাকার পরেো তারা আমাকে নিয়েো চিন্তা করেন(ভাবতে ভালোই লাগে)। আমি কেন ব্লগে লিখি না, আমার ব্লগে লেখা উচিত, ব্লগে লিখতে কি হাত ব্যথা করে?- তাদের এই ধরনের মন্তব্য মাঝে মাঝেই আমার কানে আসে। আমি সাধারনত কারো কথাই খুব একটা গুরুত্ব দেই না। তবে ক্লোজ ছোটভাই এবং ক্লোজ দোস্তের কথার গুরুত্বই আলাদা। এদের কথা না শুনলে বিপদ হতে পারে। তাই আমি ভদ্র ছেলের মত পরম করুনাময় ো অসীম দয়ালুর নামে লেখা শুরু করলাম। এর আগে ২ টা লিখেছিলাম, তেমন কেউ পড়ে নাই। এবারো কেউ পড়বে না ভেবে একটু সাহস পাচ্ছি। ব্লগে অনেক জ্ঞানগর্ভ লেখা থাকে। সমস্যা হল, আমা জ্ঞান কম, সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় সব সময় কম নম্বর পেয়েছি। সিয়েরালিয়নের রাজধানী, মুদ্রা এইসবের নাম কখোনই বলতে পারি না। কঠিন কঠিন নাম একটাই মাথায় আছে- ইথিয়পিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা। এই অল্প জ্ঞান নিয়ে কোন ধরনের তর্ক করাটা ঠিক না। আর মাথার ধারনক্ষমতা এত কম যে বেশি ভারী জ্ঞান নিতে পারি না। তাই ব্লগে এসে রাজি এবং মুনের লেখায় চামে দুএকটা কমেন্ট করেই সটকে পরি। আমি যে ব্লগ পড়ি এটা তার একটা প্রমান। কিন্তু গতকাল রাতে রাজি আমাকে নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলো- ব্লগে লেখা কোন ব্যাপারই না। আপনি আসেন, আমরাতো আছিই। আমি বুঝে লিখতে গিয়ে দেখি মারাত্বক ব্যপার। বাংলা বর্ণমালায় ই ঈ এর পরে যে জিনিসটা আছে, স্বামী-স্ত্রীরা গো- এর আগে যে শব্দটা ব্যবহার করে, কোন কিছু মনে পড়লে বা বুঝতে পেরে আমরা যে শব্দটা বলি সেটা কিছুতেই লিখতে পারছি না। অথচ কি বোর্ডের এক্স বাটনটায় সেটা আরামে বসে আছে। যাই হোক, কথা হল, যেই দুই মহান ব্যক্তি আমাকে ব্লগে আসতে আদেশ দিয়েছে তাদের সম্পর্কে কিছু ভালো ভালো কথা লেখা উচিত, যা ব্লগের পাতায় চিরদিন ইউনিজয় অক্ষরে লেখা থাকবে।
আলীম আল রাজি : অতি ভালো একটা ছেলে। তার মতামতকে কোন রকম পাত্তা না দিয়েই আমি তাকে ক্লোজ ছোটভাই হিসেবে দাবী করি। এটা টের পেলে তার মনের অবস্থা কি হবে কে জানে। রাজির সাথে আমার একেবারে দা-কুমড়া সম্পর্ক। ফেসবুকে অনলাইনে আসলেই রাজি বলে, দীপ্রদা, আমি বলি রাজি কুমড়া। এরপরেই সাধারণত সে অফলাইনে চলে যায়। এটা তার নেট এর সমস্যা কি না কে জানে। হতে পারে, হতে পারে। ইদানীং তার নিজের কোন একটা সমস্যা হয়েছে। শার্ট-প্যান্ট বাদ দিয়ে শুধু এ্যাপ্রোন পড়ে সে তার মেডিকেল কলেজে ক্লাস করতে যেতে চাচ্ছে। ভয়ংকর চিন্তা ভাবনা! তবে এমনিতে সে খুবই ভালো ছেলে। সিলেট থেকে প্রায়ই ফোন করে আমার ফোনের ইনকামিং বোনাস বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমি ফোনে টাকা রিচার্জ কম করি, তাই কখনোই তাকে ফোন করা হয় না। অথচ আমারই তাকে ফোন করা উচিত, বাচ্চা মানুষ, এই বয়সে নিশ্চয়ই বিশেষ কাউকে তার প্রতিদিনি ফোন করা লাগে। আমাকে ফোন করে টাকা খরচ করাটা তাই বেশ কষ্টদায়ক হতেই পারে। তারপরো সূদুর সিলেট থেকে প্রায়ই ফোন করে গম্ভীর গলায় বলে, ভাইজান, ভালো আছেন? ভাইজান বলাটা সে ইদানীং রপ্ত করেছে। ভালো, বেশ ভালো।
তানিয়া মুন : অতি ভালো একটা মেয়ে। তবে এখন সে বাসা বদলানো নিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকে। কদিন পর পর শুনি বাসা শিফট করছে। মুন, অবসর সময়ে তুমি কি কর এই প্রশ্ন করলে উত্তর আসবে, অবসর সময়ে আমি বাসা বদলাই। আগে ফেসবুকে তার সাথে নিয়মিত কথা হত। বাংলাদেশের ভবিষ্যত পুরাই অন্ধকার এই বিষয় সহ আরো অনেক কিছু নিয়েই আমাদের আলোচনা হত। তবে ইদানীং মুন আর সেই আগের নরমাল মুন নেই। সে এখন অমাবশ্যার মুন হয়ে গেছে। মানে অফলাইনে থাকা শিখে গেছে। এখন তাকে অনলাইনে দেখা আর টিভিতে বিজ্ঞাপন মুক্ত নাটক দেখা অনেকটা কাছাকাছি ব্যপার। এগুলো সবই বোধহয় ব্লগের কেরামতি। কারণ ব্লগের লেখার চিন্তা শুরু করা মাত্র আমিো অফলাইন শিখে গেছি।
যাই হোক, বহু কথা লিখে ফেলেছি। আর কারেন্ট চলে গেছে। এই ব্যাটা ইউপিএস কতক্ষন সাপোর্ট দিবে বোঝা যাচ্ছে না! তাই বিদায়। ভাইসব! আমি চলে যাচ্ছি, তবে যাবার আগে বলে যাচ্ছি, রাজি এবং মুন, তোমরা ভালো থাকো, আমাকে বেশি বেশি ফোন করো, এতে করে মশা-মাছির মত আমার ফোনের ইনকামিং বাড়বে। আর নিয়মিত ব্লগ চর্চা কর, কারণ ব্লগে সুখ, ব্লগেই শান্তি।