সম্পর্কে যৌনতা
দেবশ্রী চক্রবরত্তী
বর্তমান সময়ে মানুষের সম্পর্কে ও ভাবনাচিন্তায় এসেছে বিস্তর পরিবর্তন। এখন পাল্টে গিয়েছে তথাকথিত সম্পর্কের রসায়ন। আর প্রেমের সঙ্গে তাই পাল্টে গিয়েছে যৌনতার ডেফিনেশনও। সময়ের দ্রুত অগ্রগতি মানুষের প্রচলিত ভাবনাচিন্তার পথে অন্তরায়। শুধু তাই নয়, অদ্ভুত কিছু ইচ্ছে বা বিকৃতিও মানুষের মনকে গ্রাস করছে বর্তমান সময়ে। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন, নিজের সম্পর্কের পূর্ণতার কথা। কিন্তু ঘটনাটি আদপেও মিথ্যে নয়। বহু সম্পর্কে বর্তমানে নারী ও পুরুষ জড়িয়ে পরেন। সাথে হয়ত ভেবেও বসেন সম্পর্ক যথেষ্ট সুন্দর এবং মধুর। কিন্তু আসলে তা সত্যি হয়না। প্রতারণা করা, অতিরিক্ত যৌনতা এবং একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গমে ইচ্ছে প্রকাশ এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কের চিরাচরিত ভাবনা চিন্তা পাল্টে দিচ্ছে।বর্তমান সময়ে মানুষ প্রেম করায় সময় দিতে রাজি নন। যৌনসুখ যেন হয়ে উঠেছে তাঁদের জীবনের লক্ষ্য। এই সঙ্গম যদি অপর কোনও ব্যক্তির সঙ্গে হয় তবে তাঁরা উপভোগ করেন। কিন্তু ব্যক্তি ছাড়াও, সেক্স টয়, যৌনতা নিয়ে অতিরিক্ত আলোচনা, নীল ছবি কিংবা চরম হস্তমৈথুনের মধ্যে দিয়েই পুরুষ ও নারী নিজেদের রতিসুখ লাভ করেন।
এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে আগে সেক্স নিয়ে প্রকাশ্যে বিশেষ কথা বলার প্রবণতা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে বর্তমান সময়ে। শুধু তাই নয় সমীক্ষা বলছে বর্তমানে প্রায় ৮৭ শতাংশ নারী নিজেদের যৌন সুখ সম্পর্কে সচেতন এবং বিছানায় তাঁদের ঠিক কেমন আদর পছন্দ, তা স্পষ্ট জানাতে দ্বিধা বোধ করেন না।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে পুরুষ ও নারীর মানসিক সম্পর্ক শিথিল হয়ে আসছে, এই কথাও সরাসরি জানাচ্ছেন মনবিদরা। শরীরের চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে মনের গুরুত্ব বুঝতে অক্ষম হয়ে পড়ছেন আজকের জেনারেশন। আর এর ফলেই মানুষের মধ্যে যৌনতা ও শারীরিক সম্পর্ক অতিরিক্ত তৈরি হলেও, মানসিক দূরত্ত্ব বাড়ছে ভীষণ বেশি।
এই হার গত তিন বছরের। গবেষণার সঙ্গে জড়িত ডব্লিউসিডি’র টাস্কফোর্সের সদস্য ডেনিস কেলার জানিয়েছেন, গর্ভ-নিরোধ সম্পর্কে তরুণ-তরুণীরা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাচ্ছে না কিংবা তা পেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
সারা বিশ্বেই এই চিত্র চোখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে এখনও অনেক আজগুবি এবং ভ্রান্ত ধারণা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ সারাবিশ্বেই একটি আলোচ্য ইস্যু।
কয়েকটি দেশের তরুণ-তরুণীদের অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ওই সব দেশে যৌন-শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইউরোপে গবেষণায় অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীদের অর্ধেক বলেছে, তারা স্কুল থেকে যৌন বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছে।
অন্যদিকে লাতিন আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং যুক্তরাষ্ট্রে তিনভাগের-একভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সচেতনতামূলক তথ্য পাওয়ার কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছে, তারা স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিত্সককে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে বিব্রত বোধ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশনের মুখপাত্র জেনিফার উডসসাইড জানিয়েছেন, তরুণ-তরুণীরা তাদের প্রতিনিয়তই বলছে, তারা যৌন-বিষয়ে সঠিক তথ্য পাচ্ছে না। কেউ কেউ ভুল তথ্য পাওয়ার কথাও বলছে।?
তিনি আরও বলেন, যৌন-স্বাস্থ্য সম্পর্কে এসব তরুণ-তরুণীর অনেকেরই যথেষ্ট জ্ঞান নেই। কেউ কেউ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে বিব্রত হতে চায় না, আবার কেউ কেউ তার সঙ্গীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে চায় না।
এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ ও যৌনবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে একজনের মাধ্যমে অন্যজনের মধ্যে।গবেষণায় যৌন-বিষয়ে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণাও উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়, মিশরীয়দের তিনভাগের একভাগ বিশ্বাস করে, যৌনমিলনের পর স্নান করলে গর্ভধারণ এড়ানো যায়। অন্যদিকে থাইল্যান্ড ও ভারতের চারভাগের একভাগ তরুণ-তরুণীর বিশ্বাস, ঋতুস্রাবের সময় যৌনমিলনই গর্ভধারণ এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়।
এ প্রেমের জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদ, মমতাজ-শাহ্জাহানসহ আরো অনেকে।
শিশুকালে ছেলে-মেয়েরা খাদ্য ব্যতীত আর অন্য কোন কিছুরই তেমন প্রয়োজন পরে না। বয়:প্রাপ্তির সাথে সাথে তাদের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়। তখন তাদের মধ্যে দেখা দেয় কামরিপু। এ রিপু চরিতার্থ করণে তখন পুরুষ নারীর সহিত এবং নারী পুরুষের সহিত মিলিত হওয়ার চেষ্টা করে। উভয়ের দেহ মনে যৌবনের জোয়ার সৃষ্টি হয়। তখন প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা লাভের জন্যে নর-নারীর মন ব্যাকুল হয়ে উঠে।
মানুষ সামাজিকক জীব। একা বসবাস করতে পারে না। তাইতো মানুষ মানুষের সাথে করে প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা। এর ফলে তৈরি হয় সুন্দর পরিবার, সমাজ। ভালোবাসা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আর এই চিরন্তন সত্যকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। প্রেম মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রেম পবিত্র, প্রেম স্বর্গীয়। তাইতো কবি এই প্রেমকে নিয়ে লিখেছেন- ‘‘প্রেমেরে শিখা চিরকাল জ্বলে, স্বর্গ হতে আসে প্রেম স্বর্গে যায় চলে।’’ এছাড়াও এ প্রেমকে কেন্দ্র করে উপন্যাসিক লিখেছেন উপন্যাস, কবি লিখেছেন কবিতা, কাহিনীকার লিখেছেন চলচ্চিত্রের কাহিনী, প্রবন্ধকার লিখেছেন প্রবন্ধ।
কিন্তু আমাদের সমাজে এমন কতিপয় ভণ্ড প্রেমিক-প্রেমিকা আছে যারা প্রেমের নামে এ পবিত্র প্রেমকে করেছে অপবিত্র। তারা যৌন আবেগাপ্লুত হয়ে প্রেমের নামে অবৈধভাবে যৌন কাজে লিপ্ত হচ্ছে।আলোচ্য আয়াতে ব্যভিচারী নারী ও পুরুষের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাধীন সুস্থ বিবেকবান অবিবাহিত নারী-পুরুষ যদি ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়, তাদের প্রত্যেককে একশত বেত্রাঘাত করার কথা বলা হয়েছে। আর ব্যভিচারী নারী ও পুরুষ যদি বিবাহিত হয়, তবে তাদের শাস্তি হল পাথর নিপে করে উভয়কে মেরে ফেলতে হবে।
এখন ভণ্ড প্রেমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলি। আমাদের সমাজে এমন কতিপয় প্রেমিক আছে যাদেরকে বিশ্ব প্রেমিক খেতাব দেয়া যায়। যারা একের পর এক প্রেম করে সেঞ্চুরী পর্যন্ত করে ফেলে। তারা যে কোন সুন্দরী যুবতী দেখলেই তার সাথে ভাব করার জন্য পিছনে ঘুরতে থাকে। একদিন হয়তো মেয়েটি সরল বিশ্বাসে ছেলেটির সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হয়তো কোন এক সময় যৌনকাজে লিপ্ত হয়। সময় সুযোগ বুঝে প্রেমিক তার ইজ্জত লুণ্ঠন করে চলে যায়। আমরা জানি জোর করে যৌন মিলন করাকে বলে ধর্ষণ। আর বিয়ের পূর্বে দু’জনের সম্মতিতে যৌন মিলন করাকে বলে ব্যভিচার। আর ব্যভিচারের শাস্তির কথা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। পত্রিকায় এমন ধরণের খবর অহরহ দেখতে পাচ্ছি যে, প্রেমিক তার প্রেমিকাকে সিনেমা দেখানোর নাম করে চার পাঁচ বন্ধু মিলে তাকে গণধর্ষণ করছে। প্রেমিক প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলন করে অবৈধ সন্তান তার গর্ভে দেয়। পরে এক সময় সে তাকে ফাঁকি দিয়ে তার জীবন থেকে পালিয়ে যায়। হে ভণ্ড প্রেমিক ভাইয়েরা আপনারা একটু চিন্তা করে দেখুনতো, আপনাকে সরল মনে মেয়েটি বিশ্বাস করেছিল। আপনাকে নিয়ে কতনা রঙিন ছবি এঁকেছিল। কি করলেন আপনি তার জীবনটাকে। কেন আপনি তার সাথে ছলনা করলেন? এই মেয়েকি অন্যের ঘরে গিয়ে শান্তি পাবে? আপনার জন্য কেন তাকে সারা জীবন পাপের গ্লানি টানতে হবে? আপনাদের মত যারা প্রেমের নামে মিথ্যে অভিনয় করে এ রকম জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়ে মেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন তাদেরকে ধিক্।
এতক্ষণে হয়তো মেয়েরা আমার খুব প্রশংসা করছেন তাই না! ভাবছেন লেখকটা খুব ভালো আমাদেরকে কিছুই বলে নি শুধু ছেলেদেরকে বলছে। আর অপর দিকে ছেলেরা হয়তো আমার প্রতি ক্ষেপে গেছেন তাই না! ভাবছেন, শুধু আমাদেরকে দোষ দিচ্ছেন। না ভায়েরা ক্ষেপে যাবেন না যা সত্য তাই বললাম। তবে মেয়েদেরকে কিন্তু আমি ছাড়ছি না। তারাও ছেলেদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তাদের কথাও বলছি শুনুন। আর মেয়েরা এতক্ষণে ছেলেদের কথাইতো শুনলেন এবার আপনারা কিভাবে ছেলেদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন তা দেখুন। আপনারা কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে একেবারে পিছিয়ে নন। কতিপয় ভণ্ড প্রেমিকা আছে যারা সাময়িক আনন্দ ও ক্ষণিকের সুখের জন্যে ছেলেদের সাথে একাধিক প্রেম করতে থাকে। বিশেষ করে যারা একটু সুন্দরী তারাতো তাদের রূপের মাধুরী দিয়ে পুরুষদেরকে পাগল করে তুলে। তারপর বছরের পর বছর চলতে থাকে মিথ্যে প্রেমের অভিনয়। কিন্তু সরলমনা পুরুষ নারীর ছলনা বুঝতে পারে না। মন ভুলানো ও যৌন সুরসুরিমূলক কথাবার্তায় তার প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকে। পরিশেষে এই ছলনাময়ী নারীরা প্রেমিকের মানি ব্যাগ শেষ করে, বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করে। পরে এক সময় সুযোগ বুঝে অন্যের হাত ধরে চলে যায়। তারপর ধিব্বি ঘর সংসার করতে থাকে অন্য পুরুষের। আর ভুলেও তার কথা মনে করে না। এর ফলে পুরুষরা দেখায় ক্ষোভের বহিপ্রকাশ। এর ফলে ঘটে নারী হত্যা, এসিড নিক্ষেপ ও সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা। হে ভণ্ড প্রেমিকারা একটু চিন্তা করুনতো এসব সরল মনা পুরুষরা আপনাকে নিয়ে কত মধুর স্বপ্ন দেখেছিল। গড়েছিল স্বপ্নের তাজমহল। কিন্তু আপনি তার সাথে ছলনা করে তার জীবনটা করে দিলেন নষ্ট। কি অপরাধ ছিল তার?
যাহোক এখন আপনাদের সবার প্রতি অনুরোধ, প্রেম করুন কিন্তু অবৈধ প্রেম করবেন না। যা সমাজ কোন দিন মেনে নেবে না। প্রেমের নামে ক্ষণিকের জন্য যৌন মিলন করে নিজের সোনালী জীবনটা ধবংস করবেন না। প্রেমের ফাঁদে ফেলে কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। কারো মনে আঘাত দিবেন না। জানেনতো কারো মন ভাঙা আর দেশ ভাঙা সমান কথা। খাঁটি প্রেম করুন, খাঁটি প্রেম করে ব্যর্থ হলেও যার মধ্যে পাবেন অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দ। যৌনতা ছাড়া কি নারী-পুরুষের প্রেম অসম্ভব? সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে সেক্স অত্যাবশ্যক? না-হলে অচিরেই সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে যায়? প্রশ্নগুলির উত্তরে অনেকেই হ্যাঁ বলবেন। আসলে উত্তরটা 'না'। চমকে যাওযার কিছু নেই। বর্তমান লাইফস্টাইলে বহু সম্পর্কই সেক্সলেস বা যৌনতাহীন হয়ে পড়ছে। কিন্তু সম্পর্কের বাঁধন আলগা হওয়া তো দূর অস্ত, মজবুত হচ্ছে। মনোবিদরা বলছেন, এই জেট যুগে মনের আরাম লুকিয়ে রয়েছে মজবুত সম্পর্কে। যৌনতায় নয়। মনোবিদরা বলছেন, ইন্টারনেট পর্ন, একরাতের সুখ, কামঘন প্রেমে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে বর্তমান সমাজ। গড়ে উঠেছে একটা নতুন সংস্কৃতি। সেক্স নিয়ে একসময় যে রাখঢাক ছিল, তা এখন আর নেই। দেহের সুখ পেতে খুব বেশি কসরত হয় না। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও গড়ে উঠছে আকছার। এরই মধ্যে সমান্তরাল ভাবে তৈরি হচ্ছে আরও একটি লাইফস্টাইল। সেখানে শুধুই মনের মিলন। দেহের নয়। একসঙ্গে ভিডিও গেম খেলা, পপকর্ন নিয়ে এক অপরের কাঁধে মাথা রেখে সিনেমা দেখা, পিত্জা শেয়ার করা। সর্বোপরি সুখ-দুঃখ পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। না, এই জীবনটাতে সেক্স নেই। সচেতন ভাবেই নেই। অফিসের কাজের চাপ, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ক্লান্ত হয়ে বহু যুবক-যুবতী সুখ খুঁজে নিচ্ছেন একটি মধুর সম্পর্কের মধ্যেই। সোফি ও বরুণ নামে প্রেমিক-যুগল জানাচ্ছেন, গত এক বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক। তাঁরা বিয়ে করেননি। কিন্তু একে অপরকে গভীর ভাবে ভালোবাসেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও দিন শারীরিক মিলন হয়নি। তাঁরা একসঙ্গে রাতও কাটান মাঝেমধ্যে। কিন্তু একে অপরের বুকে মাথা রেখে। কোনও শারীরিক মিলন হয় না। তাঁদের কাছে ভালোবাসা মানে, একসঙ্গে কোনও প্রিয় মিউজিক শোনা, রোম্যান্টিক ভাবে সময় কাটানো, একে অপরকে রান্না করে খাওয়ানো, মজা, মনের কথা শেয়ার করা। আসলে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ক্লান্ত হয়েই সোফি-বরুণ নিজেদের মধ্যে খুঁজে নিয়েছে মনের সুখ। সুতরাং, সেক্সটাই সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নয়। যৌনতা ছাড়াও ভালোবাসা গড়ে উঠতে পারে। কারও সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে ইচ্ছে হতেই পারে। সেটাও প্রেম।
বর্তমান যুগের ভালোবাসার সম্পর্ক এতো বেশি ঠুনকো হয়ে গিয়েছে যে কারো উপর বিশ্বাস রেখে চলাটাকে শুধুই বোকামি বলে ধরে নেয়া হয়। মানুষের মানসিকতা এতো বেশি নিচু হয়েছে ইদানীং যে ভালোবাসার মতো পবিত্র সম্পর্কটিকেও খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা একেবারে চোখ কান বন্ধ করে বিশ্বাস করেন ভালোবাসার মানুষটিকে তাদেরকেই খেতে হয় ধোঁকা। আজকাল একসাথে সারাটি জীবন পাশে থাকার জন্য ভালোবাসার মতো মানুষের বেশ অভাব দেখা যায়। কিন্তু শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক এবং কিছুদিন সময় কাটানোর জন্য ভালোবাসার অভিনয় করা মানুষের অভাব নেই। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার ভালোবাসা মানুষটি শুধুই সময় কাটানোর জন্য সম্পর্ক করেছেন? চলুন জেনে নেয়া যাক কিছু লক্ষণ।
১) আপনিই প্রতিবার প্রথমে তার খোঁজ খবর নেন। দিনের বেশীরভাগ সময় আপনি ফোন দিয়ে কোথায় আছেন, কী করছেন তা জানতে চান। তিনি আপনার খোঁজ নেন না বা নিলেও তা বেশ কম।
২) আপনি তার বন্ধুবান্ধব একেবারেই চেনেন না। আপনি তার বন্ধুবান্ধবের সাথে তেমন মেশেননি কারণ তিনি আপনাকে তার বন্ধুবান্ধবের সাথে পরিচয় করাতে চান না।
৩) তিনি নানা বাহানা দিয়ে রাতে আপনার সাথে কথা বলতে চান না একেবারেই। সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে বা বাবা-মা রাতে কথা বলা পছন্দ করেন না। কিন্তু তাকে ঠিকই ফেসবুকে দেখা যায় অথবা আপনি হুট করে ফোন দিলে কল ওয়েটিং পান।
৪) তিনি আপনার টেক্সট মেসেজের রিপ্লাই খুব বেশি দেন না। দিলেও অনেক দেরি করে দিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন আপনারা একসাথে থাকেন তখন বেশীরভাগ সময় তিনি ফোনের সাথেই লেগে থাকেন।
৫) তিনি আপনার সাথে তখনই দেখা করতে আসেন যখন তার সময় হয় বা এককাজে দুই কাজ করার মতো করে আপনার সাথে দেখা করেন। আপনি দেখা করতে চাইলেও তিনি সময় দেন না।
৬) তিনি সবসময় আপনাদের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতে চান। এমনকি নানা বাহানা দিয়ে আপনাকেও সম্পর্কটি সম্বন্ধে কাউকে জানাতে নিষেধ করেন।
৭) তিনি সব সময় আপনার সাথে একাকী সময় কাটানোর সুযোগ খোঁজেন। মাঝে মাঝে যৌন মিলনের জন্য আপনার সম্মতি চান এবং এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যাতে আপনার সাথে যৌন মিলন সম্ভব হয়।
৮) আপনাদের মধ্যে যোগাযোগটা বেশ কম হয়। হয়তো আপনি দেখলেন আপনার বন্ধুদের সম্পর্ক থাকলে দিনে ৪/৫ বারও কথা হয় যা আপনাদের মধ্যে হয় না। এর কারণ হিসেবে তিনি শুধুই কাজের ব্যস্ততা দেখান।
৯) তিনি সবসময় নিজের কথাই বলেন। এবং নিজেকে নিয়েই মগ্ন থাকেন। আপনি কি চান বা আপনার কি ইচ্ছে তা তার কাছে মুখ্য বিষয় নয় একেবারেই।
১০) তিনি যদি আপনার প্রশংসা করেন তবে তা হয় শুধুই আপনার শরীর বৃত্তীয় এবং বাহ্যিক সৌন্দর্য সম্পর্কে।
১১) আপনাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার কোনো ধরণের কোনো মাথাব্যথা নেই। এমনকি আপনার পরিবার যদি বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে থাকেন তাহলেও তার মধ্যে কোনো ধরণের কিছুই কাজ করে না।
এইসকল লক্ষণ যদি আপনার পছন্দের মানুষটির মধ্যে দেখতে পান তবে খুব সতর্ক হয়ে যান। তার প্রতিটি পদক্ষেপের খোঁজ নিন। এরপর নিজেকে বুঝিয়ে দিন যে তিনি আপনার জন্য সঠিক মানুষ নন। তিনি ভালো হয়ে যাবেন সে আশা করতে যাবেন না, নিজের ভালো চাইলে সরে আসুন তার কাছ থেকে।
একটু দেখা, কিছুটা পরিচয়, মোবাইলে কথোপকথন আর এক সময় পার্কে বসে আড্ডা বা সিনেমা দেখা। আর এভাবেই একটি ছেলে বা মেয়ের সাথে সৃষ্টি হয় প্রেমের সর্ম্পক। পরবর্তীতে এই প্রেমের আড়ালে বিভিন্ন পার্ক বা থিয়েটারে বসে বাদাম খাওয়া, ছোলা খাওয়ার আড়ালে যা হচ্ছে তা রীতিমত পশ্চিমাদেরও হার মানিয়েছে দেশ। প্রেম ভালোবাসার নামে এখানে সেখানে অবাধ মেলামেশা আর ছেলে মেয়ের যৌন চাহিদা হরহামেশাই পূরণ হয়ে যাচ্ছে। কখনো কখনো স্কুল কলেজের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে আবাসিক কোন হোটেলে।
দেশে সমবয়সীদের সাথে ভালোবাসার বিষয়টি বেশি লক্ষনীয়। যার কোন ভবিষ্যত নাই। ছেলেটির যোগত্যা অর্জনের বহু আগেই মেয়েটির পাড়ি জমাতে হয় শ্বশুরবাড়ি, অতঃপর সন্তানের জননী হয়ে দিব্বি সংসারি হয়ে যায়। অথচ এরাই লেখাপড়া নামে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সমবয়সীদের সাথেই অবাধ মেলামেশায় জড়িয়ে পড়ে। কথনো কথনো গর্ভবতীও হয়ে পড়ে। আর পরিবারকে সে কখা না জানাতে পেরে অনেকেই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। মূলত, এই প্রেমের আড়ালে চলছে নারী দেহ ভোগ আর উভয়ের যৌন চাহিদা পূরণ। নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য মোটামুটি একটি প্রেমিক বা প্রেমিকা হলেই হয়। যার মন বা আচরণ ভালো হোক না হোক দেহটা তার সুন্দর হলেই আজকাল প্রেম হয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্ক ঘুরে দেখা গেছে প্রেমের নামে তারা লুটোপুটি খাচ্ছে একজন আরেকজনের উপরে। সন্ধ্যা বা বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রমনা পার্ক বা আশপাশ এলাকায় গেলে দেখা যায় হরেক রং বেরঙের কাপড় পরে তারা বেড়িয়েছে শুধু প্রেম করার জন্য। আর প্রেম ভালোবাসার নামে কখনো প্রকাশ্যেই একে অপরকে জড়িয়ে চুমু খাচ্ছে আলিঙ্গন করছে। ভদ্রলোকদের দেখে হাত দিয়ে চোখ ঢেকে চলাফেরা করতেও দেখা গেছে। দিনের আলোতেই এসব এলকায় ভদ্রলোকদের জন্য চলাফেরায় লজ্জায় পড়তে হয় আর সন্ধ্যার পরতো ভাবাই যায় না কি হয় এখানে।
প্রেমের নামে সাময়িক সুখ পেতে জলাঞ্জলি দিচ্ছে নিজেদের আত্মসম্মান। শুধু তাই শারীরিক সেই ‘নষ্টামি’ সুখ স্মৃতি ধরে রাখতে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হয যখন তখন। এসব ভিডিও কম্পিউটার এর মাধ্যমে পৌছে যায় সবার হাতে । সমাজের ছোট বড় সব বয়সের ছেলে মেয়েরা দেখতে থাকে অতি আধুনিক প্রেমিক প্রেমিকাদের দ্বারা তৈরী করা এসব ভিডিও । বিষয়টি ঘৃণার নয় লজ্জার হলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই । এমন কি প্রেমিক প্রেমিকাদের হাতে তৈরী করা এসব নোংরা ভিডিও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মেমোরি কার্ডে তে কপি হচ্ছে বিদ্যুতের চেয়েও দ্রুত গতিতে । বিদেশি পর্ণো ভিডিও নয় আমাদের দেশের পর্ণো ভিডিও দিয়েই সয়লাব প্রতিটি কম্পিউটার ।
বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে অনুসন্ধান করে যারা গেছে, তাদের কম্পিউটার ড্রাইভে সামাজিক গান ছবি বা নাটকের চেয়ে অনেক বেশি পর পরিমাণে যৌন বিষয়ক ভিডিও সংরক্ষণ করা আছে যার বেশির ভাগই দেশি পর্নো ভিডিও। রাজধানীর বিভিন্ন কম্পিউটারের মেমোরি কার্ড লোড করার নামে জানা যায় তাদের কাছে এই পর্নো বেশি পরিমাণে নেয়া হয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন পর্নো আসছে কি না তা জানতে ভদ্রবেশি কাস্টমাররা ভিড় করে দোকানে। তবে আধুনিক আর মোবাইলে মেমোরি প্রযুক্তি আসাতে কেউ আর তেমন পর্নো সিডি ভিডিও কেনে না বলেও জানান দেকানদাররা। মোবাইলে পর্নো ভিডিও নেয়া কাস্টমারের মধ্যৈ সব বয়সী থাকলেও এর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে তরুণরাই বেশি বলেও জানা যায়। এছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেমিক প্রেমিকাদের দিয়ে তৈরি করা হাজার হাজার পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে। lobএর মধ্যে ৯৯ ভাগ ভিডিওই হচ্ছে স্কুল কলেজের পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের ।ইন্টারনেটে পাওয়া পর্নো ভিডিও গুলোর মধ্যে রাজধানী নামিদামি স্কুল কলেজসহ রয়েছে কয়েকটি জেলা কলেজেরও নাম। যারা নিজেরা যৌন চাহিদা মিটিয়ে আর এই দৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন সূত্র ও তথ্য মতে প্রাপ্ত পর্নো ভিডিও গুলো যাচাই করে দেথা গেছে, বেশিরভাগক্ষেত্রেই ভিডিওতে ছাত্রীরা নিজ ইচ্ছেই মিলিত হয়েছে শারীরিক সম্পর্কে ।