কলেজ যাওয়া আসার সময় চোখে পড়ে
হাজারো কপোত-কপোতি
কেউ হয়ত একসাথে রিক্সায় চেপে খুনশুটি
করতে করতে যাচ্ছে, আর কেউ হয়ত রেষ্টুরেণ্ট এ
বসে একজন আরেকজনকে খাইয়ে দিচ্ছে।
মন না চাইলেও চোখ ঐদিকে চলে যায়।
তখন মনে মনে একপ্রকার ঈর্ষা অনুভব করি।
কিন্তু তখনই আমার নীলপরী আমার বুকের
বাম পাশ থেকে জানান দেয় "আমি আছি"
জানো নীলপরী, আমার চেতনা জুড়ে শুধু তুমিই
আছ।
জানি তুমি শুধু আমার কল্পনা মাত্র। কিন্তু তোমাকে
নিয়ে স্বপ্ন দেখা যে ছেড়ে দিতে পারি না।
কি করব বল???? আমার অবচেতন মন যে তোমায় খুব
ভালোবেসে ফেলেছে।
জানো, এখন প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠি এলার্ম এর শব্দে।
উঠেই চিন্তা করি, কোন সময় হয়ত আমার নীল পরী একটা
মিষ্টি চুমু দিয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গাবে।
জানো, হোস্টেলের বিস্বাদ খাবার খেতে একদম ভাল্লাগে না।
কলেজ যাওয়ার সময় চিন্তা করি, ইশ আমার নীলপরীটা
যদি আমার নাস্তা বানিয়ে দিত।
প্রতিদিন ক্লাসে গিয়ে দেখি একটি মেয়ে আমার আগেও ক্লাসে
এসে বসে থাকে। মনে হয়না কোনদিন ওর আগে ক্লাসে যেতে পারব।
জানো, ক্লাসে বসে তোমার সাথে ঐ মেয়েটার মাঝে মিল খুঁজি।
কিন্তু কি জানো, মেয়েটা খুব অহঙ্কারী টাইপের।
একদম তোমার মত না। তোমার মত এত মনভোলা,প্রাণোচঞ্চল
কাউকে দেখি না। জানি না, নীলপরী তুমি আমার কল্পনা থেকে
নেমে এসে এই চামড়ার চোখে ধরা দিবে কি না।
কিন্তু সত্যি বলছি, তুমি বাস্তবে না আসলেও আমার
ভালোবাসা বিফল হবে না।
কারণ, সত্যিকারের ভালোবাসা প্রকাশ করতে দুইটি
দেহের সংস্পর্শ লাগে না।
আর তোমাকে এই চামড়ার চোখে না দেখলেও
আমার মনের ক্যানভাসের পুরোটা জুড়ে শুধুই
তুমি।
সেখানে তোমার হরিণের মত চোখ দুটি, আমার মনে
দোলা দিয়ে যায়।তোমার কপালের ঐ ছোট কালো
টিপ দেখে মনে হয় স্বর্গের অপ্সরীরাও তোমাকে দেখে
হিংসা করবে।
তোমার রক্তিম ঠোঁট আর ঠোঁটের ওপরে ঐ কালো তিল
দেখে মনে হয় যেন, বিধাতা সব সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে।
জানো, তোমার কথা আমি কাউকে বলিনি।
জানি সবাই আমাকে পাগল ভাববে।
সবাই বলে মানুষ প্রেমে পড়লে অপ্রকৃতস্থ হয়ে যায়।
আবার কেউ কেউ বলে প্রেমে পড়লে মানুষ নাকি সাহিত্যিক
হয়ে যায়। আমি বোধ হয় দুটিই হয়ে গেছি। একে অপ্রকৃতস্থ তার ওপর সাহিত্যিক।
এক কথায় অপ্রকৃতস্থ সাহিত্যিক।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪১